কেন আমরা বেশি করে পানি পান করবো তার কারণ জানা থাকা দরকার-
ওজন কমাতে:
পানি ওজন কমাতে সাহায্য করে এমন কি পুরুষত্বও বাড়ায়। যখন পেটে পানি থাকে তখন অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করা যায় না এবং অতিরিক্ত খেতে অনিহা সৃষ্টি করে। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পানিতে কোন ক্যালরি নাই।
সতেজ ত্বক:
পানি সহজে ত্বককে শুষ্ক ও রুক্ষ হতে দেয় না যা ত্বককে সতেজ রাখে। এটা সাধারণত হয়ে থাকে এইভাবে যে পানি ত্বকের টিসুতে পানি সরবরাহ করে, ত্বককে ভিজা ভাব করে (moisturize) করে এবং নমনীয়তা বাড়ায়। যখন আপনার শরীরে যথেষ্ট পানি থাকবে তখন আপনার শরীর সতেজ, নরম, উজ্জ্বল ও মসৃণ হবে। এমন কি আপনার ত্বকে ভাঁজ, ক্ষত চিহ্ন, ব্রণ, আকুঁচন সহ কেন লক্ষণ দেখা দিতে বাধা দেয়।
মাথা ব্যাথা ও মাইগ্রেন:
হঠাৎ যখন আপনার মাথা ব্যাথা এবং মাইগ্রেন সমস্যা হবে, সর্বপ্রথম যা করতে হবে তা হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করে নিতে হবে। বেশি ভাগ ক্ষেত্রেই মাথা ব্যাথা ও মাইগ্রেনের সমস্যা পেছনে থাকে পানিশূণ্যতা।
অবসাদ দূর করতে:
যখন আপনি ঘন ঘন ক্লান্তি অনুভব করবেন, তখন বুঝতে হবে আপনার শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি খরচ হয়ে গেছে। পানি শরীরের ত্বকের সাহায্যে শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় ময়লা বের করে দেয় কিন্তু যদি শরীরে যদি প্রয়োজনীয় পানি না থাকে কিন্তু যদি আপনার শরীরে কম পানি থাকে তবে আপনার হৃদপিণ্ডকে অধিক পাম্প করবে শরীরর প্রতি কোষে রক্ত সরবরাহ করার জন্য এর ফলে শরীরর অন্য প্রত্যঙ্গগুলোও ক্লান্ত হয়ে যাবে। এর ফলে পরিশ্রম না করলেও আপনাকে সব সময় ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্থ দেখাবে।
মানসিক অবস্থার উন্নতির ক্ষেত্রে:
পনি আমাদের শরীরকে ভালো অনুভব ও শক্তি বড়াতে সাহয্য করে। অর্থাৎ যখন আপনার শরীর ভালো অনুভব করবে ও কাজ করার শক্তি থাকবে তখন শরীর মস্তিষ্কে পজেটেভ সিগনাল পাঠাবে যা আপনার মানসিক অবস্থাকে সুখ দিবে। মানসিক অবস্থাই আমাদের কাজ কর্মে প্রভাব বিস্তার করে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান আবশ্যক।
হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর:
পানি হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কম পনিই কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করে। কিন্তু যখন আপনার শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ পানি থাকবে তখন খাদ্য গলাধকরণে ও বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে।
দেহের উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ:
দেহে যখন ঘাম হয় তখন শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ঘাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঘাম ও দেহের তাপ ব্যায়াম ও খেলার সময় অনেক ক্ষমতা দেয় এবং মাসলল্ এ পর্যাপ্ত ইন্ধন যোগায় এবং দেহ সন্ধি (Joints) ও মাংসপেশিকেকে পিচ্ছিল করে ফলে সংকোচন এবং মচকানো থেকে রক্ষা করে।
ক্যন্সার সারাতে সাহয্য করে:
ডাক্তারা মুত্রথলির ক্যন্সার এবং মলাশয় ক্যন্সার এড়াতে বেশি পরিমাণ পানি পান করার নির্দেশ দেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
পানি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাতো বাড়াই সাথে কিছু কিছু রোগ প্রতিরোধও করে থাকে। ভালো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা মানে আপনার শরীরর ফ্লু, কিডনিতে পাথর এবং হার্টএটাক এর বিপরীতে কাজ করে। পানি আবার বাত রোগ নিরাময়েও সাহায্য করে।
নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধও দূর করে:
নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধই প্রমাণ করে আপনার শরীরে প্রচুর পানি দরকার। আমাদের মুখের লালা আমাদের দাঁতকে ব্যক্টেরিয়ায় আক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং আমাদের জিহ্বাকে ভিজা রাখে। এমন কি আপনি খাওয়ার পর পানি পান করার সময় মুখের ভিতরের দিকটা হালকা নাড়িয়ে দাঁতও মাড়ি পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এতে মুখ ব্যক্টেরিয়ার আক্রমণ ও মুখে দুর্গন্ধ দূর হয়।