সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা বা নীতি
সততা পরম দুঃখ-কষ্টে অর্জিত ধন বা বীর্যের দ্বারা লভ্য। সততা একটি পরম গুণ। একমাত্র সততা দ্বারাই জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করা সম্ভব।
এ পৃথিবীতে ভালো-মন্দ, সৎ-অসৎ, সত্য-মিথ্যা পাশাপাশি বিরাজমান। জীবনে প্রকৃত ও স্থায়ী সাফল্য লাভ করতে হলে সৎ পথে জীবন চালিত করাই উত্তম কাজ। এখানে সাধু ও সৎ পথের যাত্রী যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মিথ্যা ও অসৎ পথের যাত্রী। সজ্ঞানে ও সতর্কতার সঙ্গে অসৎ পথ পরিহার করতে হবে, কারণ সিদ্ধি লাভে সৎ পথের কোনো বিকল্প নেই। জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে সততার মূল্য সবকিছুর উর্ধ্বে। একমাত্র একজন সৎ লোকই সবার কাছে বিশ্বস্ত ও শ্রদ্ধাভাজন হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় অনেকে অসৎ পথে চলেও বিরাট উন্নতি সাধন করেছে। কিন্তু মনে রাখা উচিত তার এ উন্নতি সাময়িক ও ক্ষণস্থায়ী; তাসের ঘরের মতো যেকোনো মুহুর্তে তা ভেঙে যেতে পারে। অসৎ পথে অর্জিত সাফল্য একদিন না একদিন ধ্বংস হবেই। অসৎ পথের যাত্রী যত দুঃখকষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করুক না কেন, মানুষের কাছে সে শ্রদ্ধার পাত্র। ব্যবসায়-বাণিজ্য, রাজনীতি, সমাজনীতি ইত্যাদি যেকোনো ক্ষেত্রে একমাত্র সৎ পথের যাত্রীই পরিণামে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে আরোহণ করতে পারেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রতি দুষ্টিপাত করলে এ কথা সহজেই অনুধাবন করা যায়।
সততার দরুনই একমাত্র আমেরিকা বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সর্বউন্নত ও সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে আজ বিশ্বরাষ্ট্রে নেতৃত্ব দেয়ার সাহস অর্জন করেছে। আমরা ইতিহাসের পাতা থেকে জানতে পারি, ‘অগ্নিবীণা’র কবি কাজী নজরুল ইসলাম একজন অতি দরিদ্র লোক ছিলেন। কিন্তু কবি এ দরিদ্র অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কোনো অসৎ পথ অবলম্বন করেন নি। এ কারণে বিভিন্ন অভাব অভিযোগ, দুঃখকষ্টের মাঝেও এক নন্দিত কবি ও সাহিত্যিক। মহৎ কাজ করতে গেলে ও সৎ পথে চলতে গেলে হাজার দুঃখকষ্ট এসে আমাদের পথ রোধ করে দাঁড়াবে। কিন্তু এসব দুঃখকষ্টকে বাধা হিসেবে না মেনে, সত্যের পথ পরিত্যাগ না করে কর্মক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়া উচিত। মনে রাখা দরকার যে, একদিন না একদিন সততার জয় এবং অসততার পরাজয় অবশ্যম্ভাবী।
মানবজীবনে চলার পথে সততা সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা বা নীতি এতে কোনো সন্দেহ নেই। সুতরাং বলা যায়, “Honesty is the best policy.”
এই ভাবসম্প্রসারণটি অন্য বই থেকেও সংগ্রহ করে দেয়া হলো
সততা একটি পরম গুণ। এই সততা পরম দুঃখে-কষ্টে অর্জিত ধন। কর্মক্ষেত্রে একমাত্র সততার দ্বারাই প্রতিষ্ঠা লাভ সম্ভব।
এ পৃথিবীতে ভালো-মন্দ, সৎ-অসৎ, সত্য-মিথ্যা পাশাপাশি বিরাজমান। এখানে সাধু ও সৎপথের যাত্রী যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে মিথ্যা ও অসৎ পথের যাত্রী। জীবনের প্রকৃত ও স্থায়ী সাফল্য লাভ করতে হলে সৎপথে জীবন চালিত করাই উত্তম কাজ। কেননা সৎ পথের কোনো বিকল্প নেই। জীবনের যে কোনো ক্ষেত্রে সততার মূল্য সবকিছুর উর্ধ্বে। একমাত্র সৎলোকই সবার কাছে বিশ্বস্ত ও শ্রদ্ধাভাজন হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, অনেকে অসৎ পথে চলেও অনেক উন্নতি সাধন করেছে। কিন্তু মনে রাখা উচিত তার এ উন্নতি সাময়িক ও ক্ষণস্থায়ী। তাসের ঘরের মতো যে কোনো মুহূর্তে তা ভেঙে যেতে পারে। অসৎ পথে অর্জিত সাফল্য একদিন না একদিন ধ্বংস হবেই। তাছাড়া অসৎ পথের যাত্রী টাকার জোরে সম্মান ও প্রতিপত্তি লাভ করলেও মানুষ তাকে মনের দিক থেকে ঘৃণা করে। পক্ষান্তরে সৎ পথের যাত্রী যত দুঃখ ও দীনতার মধ্যেই জীবন-যাপন করুক না কেন, মানুষের কাছে সে শ্রদ্ধার পাত্র। ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি ইত্যাদি যে কোনো ক্ষেত্রে একমাত্র সৎপথের যাত্রীই সাফল্যের স্বর্ণশিখরে আরোহণ করতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে এ কথা সহজেই অনুধাবন করা যায়। ইতিহাসের পাতায় যাঁরা স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছেন তাঁদের অনেকেই চরম দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে থেকেও কখনো অসৎ পথ অবলম্বন করেন নি। তাই জীবনকে পরিপূর্ণ সার্থক করতে হলে সততাই একমাত্র পথ। যে পথে মানুষ পরশপাথরের মতো আলোকিত হয়ে ওঠে।
মহৎ কাজ করতে গেলে ও সৎপথে চলতে গেলে শত-সহস্র দুঃখ-কষ্ট এসে আমাদের চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিন্তু এসব দুঃখ-কষ্টকে বাধা হিসেবে না মেনে, সত্যের পথ পরিত্যাগ না করে কর্মক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়া উচিত। মনে রাখা দরকার যে, শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় এবং অসত্যের পরাজয় ঘটে।
কিছু ভুল আছে বানানে
ReplyDelete