কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ পথ
উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ?
মূলভাব : দীর্ঘ পথ দেখে পথিক যদি পথ চলা বন্ধ করে দেয় তাহলে তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর আকাঙ্ক্ষা আর পূরণ হয় না। উপযুক্ত উদ্যম ও পরিশ্রম ছাড়া জীবনের বাঞ্ছিত লক্ষ্যে পৌঁছানোও সম্ভব নয়। সেজন্য দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে লক্ষ্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য চাই দৃঢ় সংকল্প ও গভীর মনোবল।।
সম্প্রসারিত-ভাব : জীবনের চলার পথে মানুষ অনবরত বাধার সম্মুখীন হয়। সেসব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করতে পারলে মানুষের জীবন হয় সফল ও মহিমান্বিত। তাই উৎসাহ উদ্দীপনা বা উদ্যম ছাড়া মানুষ তার জীবনে সাফল্যের মুখ দেখতে সক্ষম হয় না। যারা আত্মবিশ্বাসী ও কর্মোদ্যোগী তারাই শুধুমাত্র জীবনের বাঞ্ছিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। প্রবাদ আছে, ‘বীরভোগ্যা বসুন্ধরা অর্থাৎ, কর্মদ্যোগী ও সফল মানুষদের জীবন সত্যিকার অর্থে সার্থক হয়ে উঠে। সেজন্য জীবনের সব বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করেই জীবনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। বৃহত্তর অর্থে জাতীয় জীবনেও এ উদ্যমের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রবল উদ্যমের জোরে একটি জাতি বড় হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু উদ্যম ছাড়া তার ব্যর্থতা পদে পদে। সেখানে ফুটে উঠে কাপুরষতার লক্ষণ। কিন্তু এ বাধা অতিক্রম করে ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে সাফল্যের চরম শিখরে উঠা যায়। সাফল্যের আনন্দে জীবন পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। জীবন হয়ে উঠে অর্থপূর্ণ। আর্থাৎ, পরিশ্রম ছাড়া কোন জাতি জীবনে উন্নতি লাভ করতে পারে না।
এই ভাবসম্প্রসারণটি অন্য বই থেকেও সংগ্রহ করে দেয়া হলো
মূলভাব : উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য উদ্যম অপরিহার্য।
সম্প্রসারিত ভাব : দীর্ঘ পথ দেখে ভীত পথিক যদি থমকে দাঁড়ায়, তাহলে পথের প্রান্তে পৌঁছা তার পক্ষে মোটেই সম্ভবপর হবে না। যথার্থ উদ্যোগ না নিলে জীবনের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে কর্তব্য সম্পাদন করে জীবনকে সফল করে তুলতে হবে।জীবন চলার পথে মানুষকে বিস্তর বাধার মুখোমুখি হতে হয়। সাহস, কৌশল ও বুদ্ধির প্রয়োগে সেসব বাধা বিপত্তি জয় করতে পারলে জীবনে সাফল্য আসে, মানুষ গৌরবান্বিত হয়ে উঠে। তাই উদ্যম বা উৎসাহ উদ্দীপনা জীবনে সাফল্যের জন্য অপরিহার্য। যার মধ্যে যত উদ্যম বিদ্যমান, সে তত সার্থকতা অর্জন করতে পারে। জাতীয় জীবনেও উদ্যম বা উৎসাহ উদ্দীপনা জীবনের সাফল্যের জন্য অপরিহার্য। জাতীয় জীবনে উদ্যম থাকলে সে জাতি বড় হয়ে উঠে। কিন্তু কাজের পরিমাণ যদি খুব বেশি হয় তাহলে উদ্যমের অবসান ঘটিয়ে মানুষ ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। এটা কাপরুষের লক্ষণ। আসলে কর্তব্য যত বড়ই হোক না কেন তা সাহসের সঙ্গে সমাধান করার চেষ্টা করলে তাতে সফল হওয়া যায়। কিন্তু পরিণাম দেখে যদি আগেই ভয় পাওয়া হয়, তাহলে সাল্য অর্জন সম্ভব নয়। পথ দীর্ঘ হলেও সাধনা থাকলে এক সময় তা অতিক্রম করা সম্ভব। কিন্তু পথের শুরুতেই পথের দূরত্ব দেখে উৎসাহহীন হয়ে পড়লে সে পথ পাড়ি দেওয়া যাবে না। তেমনি জীবনের কোনো লক্ষ্য বা মনের কোনো ইচ্ছা পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যম গ্রহণ করতে হবে। মানুষের চেষ্টার অসাধ্য কিছুই নেই এ কথা মনে রেখে জীবনের লক্ষ্য অর্জনে মানুষকে তৎপর হতে হবে।
It's really good
ReplyDelete