কুকুরের কাজ কুকুরে করেছে কামড় দিয়েছে পায়।
তা বলে কুকুরে কামড়ানো কি মানুষের শোভা পায়।
মূলভাব : কুকুর নিম্নশ্রেণীর জীব। তার কাজ শত্ৰুবোধে প্রাণী নির্বিশেষে কামড়ানো। হিংসার বশে, প্রতিহিংসা চরিতার্থে কুকুর তেড়ে গিয়ে যেমন কামড়াকামড়ি করতে পারে বিবেকসম্পন্ন মানুষ তা পারে না। প্রকৃতিগত পার্থক্যেই শুধু নয় বিবেকের পার্থক্যেই নিম্নশ্রেণীর প্রাণী কুকুরের চেয়ে মানুষ শ্রেষ্ঠ, আবার স্বার্থপর মানুষের থেকে বিবেকসম্পন্ন স্বার্থশূন্য মানুষ শ্রেষ্ঠ।
সম্প্রসারিত-ভাব : এ পৃথিবীতে কুকুরের মত নিম্নশ্রেণীর এক ধরনের মানুষ আছে। যারা উপকারীর উপকার স্বীকার করে না। আপন স্বার্থ সবসময় আগলিয়ে রাখে। এমনকি আঘাত আসার আশঙ্কায় সর্বদাই অন্যকে আঘাত হেনে চলে। এরা প্রবৃত্তিতে নিম্ন, মনুষ্যত্বে খাট। প্রতিহিংসা এবং অন্যায়ের পথ ধরে চলে বলেই এদের পরিণাম ভয়াবহ। সাধককে যারা সাধনার পথ থেকে সরাতে উদ্যত, জ্ঞানী ও গুণীজনদের যারা অপমান করে তাদের বংশ গৌরব যতই থাকুক মনুষ্যত্ব নিশ্চয়ই থাকে না। পক্ষান্তরে, এ জগতে আর এক শ্রেণীর মানুষ আছেন যারা জ্ঞানী ও গুণীজনদের প্রাপ্য মর্যাদাটুকু দেন, আপন সম্পদ দেশ ও দশের কল্যাণে নিয়োজিত রাখেন, সকলের সাথে ভাগ করে খান আহার্য, এরাই প্রকৃত মানুষ। পৃথিবী এদের গর্ভে ধারণ করে গর্বিত। আঘাতে জর্জরিত হলেও এরা কখনও প্রত্যাঘাত করতে চায় না।
তাই সত্য ও সুন্দরের পূজারী এসব মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে অল্প। কিন্তু এরা যদি না থাকত তাহলে মানুষ মনুষ্যত্ব হারাত, পৃথিবী ভরে উঠত কুকুরের মত নিম্নশ্রেণীর জীবে।
ঠিক বলেছেন
ReplyDeleteTumi ko peyecho....
ReplyDelete