অধিকার পাওয়া এবং অধিকারী হওয়া এক বস্তু নয়
মূলভাব : কোন বস্তু বা সামগ্রীর অধিকার পাওয়া বড় সুখের। এ অধিকারের ফলে কখনও বিরোধী শক্তির পরাজয় ঘটিয়ে আপন আধিপত্য বিস্তার সম্ভব হয়। ভোগবাদী পৃথিবীতে অধিকার পাওয়ার সাথে সাথে প্রতিদিন অসংখ্য কণ্ঠে ধ্বনিত হয়ে উঠে বন্দনা। চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে তার প্রতাপ।
সম্প্রসারিত-ভাব : এ অধিকার পাওয়ার জন্য, প্রভুত্ব বিস্তারের নেশায় মানুষ নিষ্ঠুর ধ্বংসলীলা ঘটাতেও কুণ্ঠিত হয় না। মিথ্যাচার, শঠতা, গুপ্তচরবৃত্তি, নিরস্ত্রকে হত্যা ইত্যাদি পাপের স্রোত বয়ে যায়। ঐশ্বর্যের মোহে মনুষ্যত্ব যে কত কলঙ্কিত হয় তার ইয়ত্তা নেই। অথচ অধিকারী হওয়ার জন্য যে শ্রেষ্ঠ গুণাবলির দরকার তা হিংস্র মানুষের কোনদিন আয়ত্ত হয় না। বস্তুত সিংহাসনে বসা এবং বিরোধী শক্তিকে দমন করাই রাজার একমাত্র কাজ নয়। যিনি প্রকৃত রাজা হবেন, প্রজাকে সন্তানবৎ সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে রক্ষা করার দায়িত্ব তো তারই। তাকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে প্রজার হৃদয়ের সিংহাসনে বসতে হবে।
সম্প্রসারিত-ভাব : এ অধিকার পাওয়ার জন্য, প্রভুত্ব বিস্তারের নেশায় মানুষ নিষ্ঠুর ধ্বংসলীলা ঘটাতেও কুণ্ঠিত হয় না। মিথ্যাচার, শঠতা, গুপ্তচরবৃত্তি, নিরস্ত্রকে হত্যা ইত্যাদি পাপের স্রোত বয়ে যায়। ঐশ্বর্যের মোহে মনুষ্যত্ব যে কত কলঙ্কিত হয় তার ইয়ত্তা নেই। অথচ অধিকারী হওয়ার জন্য যে শ্রেষ্ঠ গুণাবলির দরকার তা হিংস্র মানুষের কোনদিন আয়ত্ত হয় না। বস্তুত সিংহাসনে বসা এবং বিরোধী শক্তিকে দমন করাই রাজার একমাত্র কাজ নয়। যিনি প্রকৃত রাজা হবেন, প্রজাকে সন্তানবৎ সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে রক্ষা করার দায়িত্ব তো তারই। তাকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে প্রজার হৃদয়ের সিংহাসনে বসতে হবে।
তাই প্রকৃত অধিকারী তিনিই যিনি অধিকৃত বস্তু বা সামগ্রিকে হৃদয়ের সাথে এক করে নিতে পারেন। তবেই সে অধিকার পাবে এবং সবাইকে অধিকারী করবে।