অধর্মের ফল হইতে নিষ্কৃতি নাই
মূলভাব : মানুষের ধর্ম পরের উপকার করা। সত্যে ধর্মের উৎপত্তি, দয়াতে বৃদ্ধি, ক্ষমাতে স্থিতি এবং লোভেতে বিনাশ। কিন্তু মানুষ যখন এ ধর্মচ্যুত হয়, তার পরিণাম হয় ভয়াবহ। কুকর্ম, অসত্য ও অন্যায় তাকে জড়ত্বে পরিণত করে। নৈতিক অবক্ষয়ের দরুন পাপবোধ সবসময় তাকে পীড়িত করে তোলে। যার হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব হয় না। পরিণামে তার ধ্বংস অনিবার্য।
সম্প্রসারিত-ভাব : কবি বানার্ডশ লিখেছেন, মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় মানুষ বলেই, আর কিছু নয় (Man is a man for all that)। সত্যবোধই মানুষকে আত্মিক বলে বলীয়ান করে। আর তার ফলেই মানুষ মৃত্যু থেকে অমৃতের দিকে এগুতে পারে। কিন্তু যে অধর্মের পথে চলে সে আপাতদৃষ্টিতে জয়ী হয়েও পরিণামে মানসিক শক্তি হারিয়ে জীবন ব্যর্থ করে তোলে, নিজের এবং আত্মীয়স্বজনের সর্বনাশ ডেকে আনে। আসত্যকে ভিত্তি করে যিনি জীবনের পথে-চলেন মানসিক দিক দিয়ে সবসময় তিনি দুর্বল হয়েই থাকেন। শ্রদ্ধার জগৎ থেকে সর্বদাই থাকেন নির্বাসিত। ধর্মের নীতিচক্র শুধু কথার কথা নয়। তাই নীতিচক্র জগৎ ও জীবনকে সত্যিই নিয়ন্ত্রণ করছে। সৎকর্ম যেমন কল্যাণকামী ও সৃষ্টিশীল, অশুভকর্ম তেমনি অকল্যাণকামী ও ধ্বংসাত্মক। সাধুতার জয় যেমন নিশ্চিত তেমনিই অমোঘ অধর্মের দরুন অন্তরে নরক যন্ত্রণা।
সম্প্রসারিত-ভাব : কবি বানার্ডশ লিখেছেন, মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় মানুষ বলেই, আর কিছু নয় (Man is a man for all that)। সত্যবোধই মানুষকে আত্মিক বলে বলীয়ান করে। আর তার ফলেই মানুষ মৃত্যু থেকে অমৃতের দিকে এগুতে পারে। কিন্তু যে অধর্মের পথে চলে সে আপাতদৃষ্টিতে জয়ী হয়েও পরিণামে মানসিক শক্তি হারিয়ে জীবন ব্যর্থ করে তোলে, নিজের এবং আত্মীয়স্বজনের সর্বনাশ ডেকে আনে। আসত্যকে ভিত্তি করে যিনি জীবনের পথে-চলেন মানসিক দিক দিয়ে সবসময় তিনি দুর্বল হয়েই থাকেন। শ্রদ্ধার জগৎ থেকে সর্বদাই থাকেন নির্বাসিত। ধর্মের নীতিচক্র শুধু কথার কথা নয়। তাই নীতিচক্র জগৎ ও জীবনকে সত্যিই নিয়ন্ত্রণ করছে। সৎকর্ম যেমন কল্যাণকামী ও সৃষ্টিশীল, অশুভকর্ম তেমনি অকল্যাণকামী ও ধ্বংসাত্মক। সাধুতার জয় যেমন নিশ্চিত তেমনিই অমোঘ অধর্মের দরুন অন্তরে নরক যন্ত্রণা।