পুণ্যে পাপে দুঃখে সুখে পতনে উত্থানে
মানুষ হইতে দাও তোমার সন্তানে
মূলভাব : মানুষের জীবনে সুখ-দুঃখ একটি অতিপ্রাকৃত ঘটনা। এরা একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। এসবের মধ্যেই জীবনকে সুখী ও সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে।
সম্প্রসারিত ভাব : মানব জীবনে ভাল-মন্দ, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না নিয়েই তার স্বরূপ প্রকাশ পায়। জীবনের এ বাস্তব পরিস্থিতির মোকাবেলা করেই মানুষকে বাঁচতে হয়। তার জীবনকে এর মধ্যে সমন্বয় করে বিকশিত করে গড়ে তুলতে হয়।
পৃথিবীর বুকে মানুষের জীবনে নিরবচ্ছিন্ন সুখ নেই। ঠিক তেমনি দুঃখও স্থায়ী হয়ে থাকে না। সুখ-দুঃখ নিয়েই জীবনের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। জীবনে ভালমন্দ আর পাপপুন্য পাশাপাশি বিরাজ করে। একটিকে ছেড়ে অপরটির কোন অস্তিত্ব নেই। সেজন্য এ সংসারে মানুষের জীবন বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় গড়ে উঠে। জীবনের সার্থক রূপায়ণের জন্য জীবনে সুখ-দুঃখ, ভাল-মন্দ উভয়কেই ভোগ করতে হয়। সমভাবে যদি উভয়টিকে মোকাবেলা করা যায় তাহলে জীবন যথার্থই উপভোগ্য হয়ে উঠবে। তাই জীবনে ভাল বা মন্দ উভয়কেই সমানভাবে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনা করতে হবে।
সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, উন্মাদনা-পতনের মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে।
ভাব-সম্প্রসারণ : মানবজীবনে ভাল-মন্দ, সুখ-দুঃখ নিয়েই তার স্বরূপ প্রকাশ পায়। জীবনের এই বাস্তব পরিস্থিতির মোকাবিলা করেই মানুষকে বাঁচতে হয় এবং তার জীবনকে এর মধ্যে সমন্বয় করে বিকশিত করে তুলতে হয়।
জীবন পুষ্পশয্যা নয়। পৃথিবীতে জীবনের চলার পথ কণ্টকাকীর্ণ। এখানে প্রতি পদেই রয়েছে বাধা-বিপত্তি ও সংঘাত। আমাদের সংসারে দুঃখ আছে, বিপদ আছে, লাঞ্ছনা ও অপমানও আছে। এখানে ভয়ের ও বিপদের ভ্রূকুটি আছে, নৈরাশ্যের বেদনা আছে, পরাজয়ের দুঃসহ গ্লানি আছে এবং শোক ও দুঃখের হৃদয়বিদারক আঘাত আছে। এসব জীবনের বৈশিষ্ট্য, জীবনেরই অঙ্গ। এ সব বিরুদ্ধশক্তির সাথে সহনশীলতার মাধ্যমেই যুদ্ধ করে জয়ী হতে হয়। বিপদের বাধা জয় করার মধ্যেই আছে পৌরুষের সার্থকতা, আছে মনুষ্যত্বের বিজয়গৌরব। দুঃখ-শোকের আঘাতে মানুষের সুপ্ত মনুষ্যত্ব অম্লান গৌরব জেগে ওঠে। আগুনে পুড়ে সোনা যেমন খাঁটি হয়- দুঃখ-দুর্দশার আঘাতে আমাদের মনও মালিন্যমুক্ত হয়। বিশ্বনন্দিত বৈজ্ঞানিক ডারউইন প্রাণি-জগতের মধ্যে প্রত্যক্ষ করেন যে, এই সংগ্রামময় পৃথিবীতে যোগ্যতম জীবেরাই শেষপর্যন্ত টিকে থাকে। মানুষের জীবনযাত্রাও এক নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামের ইতিহাস। জীবনের কঠিন-কঠোর বাস্তবতাকে মোকাবেলা করেই মানুষ মানুষের মতো বাঁচে। মোটকথা সুখ-দুঃখ, পাপ-পুণ্য, উত্থান-পতনময় জীবনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই মানুষের জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে।
এই ভাবসম্প্রসারণটি অন্য বই থেকেও সংগ্রহ করে দেয়া হলো
ভাব-সম্প্রসারণ : মানবজীবনে ভাল-মন্দ, সুখ-দুঃখ নিয়েই তার স্বরূপ প্রকাশ পায়। জীবনের এই বাস্তব পরিস্থিতির মোকাবিলা করেই মানুষকে বাঁচতে হয় এবং তার জীবনকে এর মধ্যে সমন্বয় করে বিকশিত করে তুলতে হয়।
জীবন পুষ্পশয্যা নয়। পৃথিবীতে জীবনের চলার পথ কণ্টকাকীর্ণ। এখানে প্রতি পদেই রয়েছে বাধা-বিপত্তি ও সংঘাত। আমাদের সংসারে দুঃখ আছে, বিপদ আছে, লাঞ্ছনা ও অপমানও আছে। এখানে ভয়ের ও বিপদের ভ্রূকুটি আছে, নৈরাশ্যের বেদনা আছে, পরাজয়ের দুঃসহ গ্লানি আছে এবং শোক ও দুঃখের হৃদয়বিদারক আঘাত আছে। এসব জীবনের বৈশিষ্ট্য, জীবনেরই অঙ্গ। এ সব বিরুদ্ধশক্তির সাথে সহনশীলতার মাধ্যমেই যুদ্ধ করে জয়ী হতে হয়। বিপদের বাধা জয় করার মধ্যেই আছে পৌরুষের সার্থকতা, আছে মনুষ্যত্বের বিজয়গৌরব। দুঃখ-শোকের আঘাতে মানুষের সুপ্ত মনুষ্যত্ব অম্লান গৌরব জেগে ওঠে। আগুনে পুড়ে সোনা যেমন খাঁটি হয়- দুঃখ-দুর্দশার আঘাতে আমাদের মনও মালিন্যমুক্ত হয়। বিশ্বনন্দিত বৈজ্ঞানিক ডারউইন প্রাণি-জগতের মধ্যে প্রত্যক্ষ করেন যে, এই সংগ্রামময় পৃথিবীতে যোগ্যতম জীবেরাই শেষপর্যন্ত টিকে থাকে। মানুষের জীবনযাত্রাও এক নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামের ইতিহাস। জীবনের কঠিন-কঠোর বাস্তবতাকে মোকাবেলা করেই মানুষ মানুষের মতো বাঁচে। মোটকথা সুখ-দুঃখ, পাপ-পুণ্য, উত্থান-পতনময় জীবনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই মানুষের জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে।