পরের বেদনা সে-ই বুঝে শুধু যে জন ভুক্তভোগী,
রোগ যন্ত্রণা সে কভু বুঝে না হয়নি যে কভু রোগী।
মূলভাব : অন্যের বেদনা যন্ত্রণা একমাত্র তিনিই বোঝেন যিনি ঐ বেদনার শিকার হয়েছেন। অন্যের রোগ-যন্ত্রণা একমাত্র তিনিই বুঝতে সক্ষম ইতোপূর্বে যিনি সেই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি না হলে মানুষ কখনও অন্যের দুঃখ কষ্ট বুঝতে সক্ষম হয় না।
সম্প্রসারিত-ভাব : ভালো মন্দ মিলিয়েই মানুষ। ভালো মন্দ মিলিয়েই মানুষের সমাজ। আমাদের চারপাশে তাই দেখি একদল মানুষ মানুষের বিপদে এগিয়ে আসছে। আর অন্যদল আন্তরিক সহানুভূতি সহকারে দীন, দরিদ্র, নিরন্ন, আশ্রয়হীন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এরাই প্রকৃত মনুষ্যত্বের অধিকারী। কারণ এরা ব্যক্তি অভিজ্ঞতায় অপরের অবস্থা অনুধাবন করার সামর্থ্য রাখে। আর উপর থেকে যারা দেখে, যারা পরোপকার করে প্রশংসা কুড়োনোর মোহে তাদের ঐসব নিপীড়িত মানুষের দল ধিক্কার জানায়। অন্যের কষ্ট, লাঞ্ছনায় মুখ ফিরিয়ে নেওয়া যেমন অমানবিকতা, উপর থেকে সহানুভূতির জল ছিটানোও তেমনি ধিক্কার যোগ্য। যে ব্যক্তি আজন্ম সুখের স্বর্গে লালিত হন তিনি কখনও ব্যথিতের বেদনা বুঝতে পারেন না। দরিদ্র মানুষ যে কত দুঃখ ভোগ করে, কত বিপদের মুখোমুখি হয় প্রতিদিন তার সংবাদ চিরসুখীজন রাখেন না। এটা অবশ্য কোন আশ্চর্যের ব্যাপার নয়। ধনীরা যদি বুঝতে পারত গরিবদের দুঃখ-কষ্ট, মালিকেরা যদি অনুভব করত শ্রমিকের অভাব, অভিযোগ এবং প্রতিকারের জন্য আন্তরিক হতো তাহলে সমাজে এক স্বর্গীয় সুখ বিরাজ করত। বাস্তবে কিন্তু তা ঘটে খুবই সামান্যই।
অর্থাৎ, যাকে সাপে ধ্বংসন করেনি। সে কিভাবে বুঝবে সাপের কামড়ে কতটুকু বিষ ছড়ায়।