পিতা-মাতা গুরুজনে দেবতুল্য জানি,
যতনে মানিয়া চল তাহাদের বাণী
মূলভাব : বাবা, মা ও অভিভাবকবৃন্দ আমাদের জীবন গঠন ও পরিচালনার জন্য যেসব উপদেশ দেন, সেগুলো মেনে চলা কর্তব্য।
সম্প্রসারিত ভাব : পিতা-মাতা আমাদের জীবন দান করেন এবং অনেক কষ্ট করে লালন-পালন করেন। পিতা-মাতার সঙ্গে অন্য গুরুজনরাও আমাদের সুস্থ জীবন বিকাশে সহায়তা করেন এবং অনেক কষ্ট স্বীকার করে আমাদের বড় করে তোলেন। এঁরা সবাই বয়সে, জ্ঞানে, বুদ্ধিতে, প্রজ্ঞায় আমাদের থেকে অনেক বড়। তাঁরা আমাদের স্নেহ করেন, ভালোবাসেন এবং সর্বদাই মঙ্গল কামনা করেন। অভিজ্ঞতার আলোকে তাঁরা জানেন কী করলে আমাদের ভালো হবে। নবীনতা ও অনভিজ্ঞতার কারণে এই কঠিন ও জটিল পৃথিবীর অনেক কিছুই আমাদের অজানা। সে জন্য পিতা-মাতা, গুরুজন ও বিশ্বের মহান ব্যক্তিদের উপদেশ চলার পথে আলোকবর্তিকা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। আর তা না করতে পারলে জীবনে সফলতা আসবে না। প্রতি মুহূর্তে আমরা হোঁচট খাব। আমরা জানি, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বায়েজিদ বোস্তামি কীভাবে গুরুজনদের আদেশ-উপদেশ পালন করেছেন। আর সে কারণেই তাঁরা আজ সকলের শ্রদ্ধার পাত্রে পরিণত হতে পেরেছেন। তাই পিতা-মাতা, গুরুজন আদর্শস্থানীয় বেতুল্য এবং আরাধনাযোগ্য। তাঁদের বাণী অনুসরণ করে নিজের জীবন গড়তে হবে এবং দেশ, জাতি তথা সমগ্র বিশ্বকে শাশ্বত কল্যাণের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
সিদ্ধান্ত : পিতা-মাতা, গুরুজন ও বিশ্বের মহান ব্যক্তিদের উপদেশ মানলে নিজের জীবন সুন্দর ও বিকশিত হবে এবং দেশ ও জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারবে।
এই ভাবসম্প্রসারণটি অন্য বই থেকেও সংগ্রহ করে দেয়া হলো
মূলবাব : এ পৃথিবীতে পিতা-মাতার মতো আপনজন আর কেউ নেই। তারা সবসময় আমাদের কল্যাণ কামনা করেন। তাই তাদের আদেশ-উপদেশ মেনে চলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
সম্প্রসারিত ভাব : আমাদের জন্মদান ও লালন-পালনের মূল দায়িত্ব পিতা-মাতার। তারা সারাজীবন নিজেদের সুখ বিসর্জন দিয়ে আমাদের সুখের জন্য কাজ করেন। তারাই আমাদের সুখী-সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে সহায়তা করেন। তারা তাদের স্নেহ-ভালোবাসার চাদরে আগলে রাখেন সবসময়। আমাদের জন্য যা ভালো ও কল্যাণের বার্তা বয়ে আনতে সক্ষম, তারা তা-ই সম্পাদন করেন পরম যত্নে। তারা আমাদের অভিভাবক ও অনেক অভিজ্ঞতাসম্মন্ন মানুষ। জন্মের পর আমাদের জন্য এ পৃথিবীর সবকিছুই কঠিন পরীক্ষার ক্ষেত্র হয়ে ওঠে। তারা আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে আমাদের পথ দেখান। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের আদেশ-উপদেশ আমাদের মেনে চলা উচিত। তাদের আদেশ-উপদেশ আমাদের আশীর্বাদস্বরূপ। যা আমাদের জীবনে সফলতা বয়ে আনতে সহায়তা করবে। পৃথিবীর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যারা মহান ও শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরেছেন তারা সবাই পিতামাতার আদেশ মেনে চলেছেন। উদাহরণস্বরূপ বলা হয়, হযরত ইউসুফ (আ.), হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রাহ.), বায়েজিদ বোস্তামী (রহ.), রামচন্দ্র, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সবাই পিতামাতার উপদেশকে জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্রহন করেছিলেন। তাদের উপদেশের বাণী আমাদের কাছে দেবতার বাণীর মতোই পূজনীয়। তাই তাদের বাণী অনুসরণ করে জীবন গড়তে হবে- যা আমাদের জীবনের পাশাপাশি সমাজ, দেশ ও পৃথিবীতে কল্যাণের বার্তা বয়ে আনতে সহায়তা করবে।
সিদ্ধান্ত : পিতা-মাতা আমাদের গুরুজন। তাই তাদের উপদেশ মাথা পেতে নেওয়ার মাধ্যমেই আমাদের কল্যাণ নিশ্চিত হবে।
so useful
ReplyDeleteএখানে ইংরেজিতে কিছু লেখা নেই কিন্তু অনেক ভালো হয়েছে।
ReplyDelete