যে সমাজ গতিবিশিষ্ট, সেই সমাজ উন্নতিশীল
মূলভাব : গ্রিক পণ্ডিত হেরাক্লিটাস বলেছিলেন, ‘পরিবর্তনই প্রকৃতির অপরিবর্তনীয় বিধান’। যে সমাজ এগিয়ে চলে সবেগেই সে ক্লেদ-গ্লানি-কুসংস্কার সরিয়ে ফেলে স্বপথ তৈরি করে নেয়।
সম্প্রসারিত ভাব : চলমান জাতি ও সমাজ নতুনকে বরণ করে নেয় বলে চিরভাস্বর হয়ে থাকে। তাতে কুসংস্কার, অ-বিজ্ঞান বাসা বাধতে পারে না। জ্ঞানের আলো সমাজে সর্বত্রগামী হয়। ফলে সেই সমাজ অচিরেই প্রতিষ্ঠা পায়। কিন্তু নদীর মত সমাজও যখন গতি হারায় তখন সেই সমাজে পচন ধরে। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তৈরি হয়, কুসংস্কারে আবদ্ধ হয় নরনারী। শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে স্থবিরতা সমাজে ঘোর অমঙ্গল ডেকে আনে। শুরু হয় মনুষ্যত্ব হারিয়ে পশুত্বে এগিয়ে যাবার পাঠ। কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্করের কথায়, ‘আচার রক্ষা করিতে হইলে বিচার করার কোন প্রয়োজন হয় না।’ লোকাচারের অলঙ্কারে সমাজ সেজে উঠে। বিধিনিষেধের গণ্ডীতে আবদ্ধ হয়ে সমাজ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়।
অর্থাৎ, যে সমাজ গতিশীল সে সমাজ অবশ্যই উন্নতি লাভ করবে।