যৌবনে অর্জিত সুখ অল্প, কিন্তু সুখের আশা অপরিমিত
মূলভাব : মানবজীবন সময়ের হিসেবে খুবই হ্রস্ব। কিন্তু এ স্বল্প সময়ের পরিসরেও তাতে রয়েছে নানা বৈচিত্র্য ও পরিবর্তন।
সম্প্রসারিত ভাব : শৈশব, কৈশোর যৌবন, বার্ধক্য-এ রকম অনেক ধাপ বা স্তর রয়েছে মানবজীবনের। এর মধ্যে যৌবন কাল নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠ সময়। এ সময় মানুষ আবিষ্কার করে নিজেকে। তার ভেতরের নানা সম্ভাবনা, সৌন্দর্য, স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা, উন্মাদনা প্রবলভাবে সক্রিয় হয়ে উঠে। শৈশবে মানুষ থাকে অসহায়, অন্যের উপর নির্ভর করে তার জীবন মরণ। কৈশোরে দেহমন ধীরে ধীরে পর্ণাঙ্গতা পেতে থাকে। বার্ধক্যে শরীর, মন ও কর্মশক্তি ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হতে থাকে। শুধুমাত্র যৌবনের মানুষ শক্তি, শরীর ও মনের পূর্ণাঙ্গতা পায়। জীবন অমিত সম্ভাসনায় আধার হিসেবে প্রতিভাত হয় এবং মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে বিশাল কর্মযজ্ঞে। তার মন সুখ প্রত্যাশী হয়ে উঠে এবং এ সুখের পেছনে সে তৃষ্ণার্ত হরিণীর মত ছুটতে থাকে। তার কাজকর্ম, চিন্তা-চেতনা, লক্ষ্য সবই ধাবিত হয় সেই সুখের দিকে। কিন্তু সুখ নামক সোনার হরিণ এ সময় খুব কমই ধরা দেয়। জীবনের জটিলতা, কর্মব্যস্ততা ও বৈচিত্র্যময় ব্যাপ্তির কারণে এ সময় সুখ অর্জিত হয় খুবই কম।
মানুষ যেহেতু কল্পনাবিলাসী ও সুখের মায়ায় আবদ্ধ এক সজ্ঞান জীব এবং যৌবন যেহেতু জীবনের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সময়, সেহেতু তার ভেতর সুখের আকাঙ্ক্ষা খুব তীব্রভাবে বিরাজ করে।