ধৈর্যের ন্যায় মহৎ গুণ আর নেই।
মূলভাব : সহিষ্ণুতা মানব চরিত্রের একটি শ্রেষ্ঠ গুণ। ধৈর্য ধারণ করা না শিখলে কোনো মানুষই জীবনে সাফল্য লাভ করতে পারবে না। সহনশীল ব্যক্তিরাই জীবনে অধিক দিন টিকে থাকে।
সম্প্রসারিত ভাব : জীবনের চলার পথে বাধা-বিপত্তি প্রায় নৈমিত্তিক ঘটনা। চলার পথকে সুগম করতে হলে এসব বাধা-বিপত্তিকে ধৈর্য সহকারে অতিক্রম করতে হবে। অনেকে না বুঝে অন্যায় আচরণ করে থাকে। কিন্তু ধৈর্য ধরে সে আচরণ সহ্য করতে না পারলে কলহের সৃষ্টি হবে। কখনো বা তার রূপ হতে পারে ভয়ঙ্কর। বৃদ্ধার ফেলে রাখা পথের কাঁটা বার বার সরিয়ে মহানবি (স.) পথ চলতে পেরেছিলেন বলেই তাঁর ধৈর্যের মহিমা আজ প্রকাশিত হয়ে পড়েছে। সম্রাট নেপোলিয়ান কয়েকবার চেষ্টার পর ওয়াটার লু যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন। ধৈর্য ধারণ ছাড়া কোনো মহৎ কাজই আজ পর্যন্ত সফল হয়নি। যে ছাত্র যত ধৈর্য ধরে পড়াশোনা করতে পারে, সে ছাত্রের ভবিষ্যৎ ততই উন্নত হবে। তাছাড়া দুঃখ-কষ্ট ও দারিদ্র্যের মাঝে বুক বেঁধে দাঁড়াতে না পারলে এগুলোকে জয় করা সম্ভব হবে না। অনেক আঘাত অপমান সহ্য করতে পেরেছিলেন বলেই অতিশয় নিম্ন বর্ণের হয়েও বি.আর. আম্বেদকর ভারত-বিখ্যাত হয়েছিলেন।
মন্তব্য : পৃথিবীতে অমরত্ব লাভ করতে হলে ধৈর্যের সাধনা করতে হবে। কোনো কাজে অধৈর্য হযে পড়লে সাফল্য অর্জন অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই সাফল্য অর্জনে ধৈর্যের মহৎ গুণ আত্মস্থ করা অত্যাবশ্যক।