সঙ্গদোষে লোহা ভাসে
মানুষ যে সমাজের ওপর নির্ভর করে জীবনযাপন করে সে-সমাজে আছে নানা ধরনের লোক- জ্ঞানী-মূর্খ, ভাল-মন্দ, সৎ-অসৎ নানারকম মানুষের সমাবেশ সেখানে। সঙ্গ নির্বাচনে একমাত্র বিবেচনার দিক হল গুণবানের বৈশিষ্ট্য- যার সহায়তায় জীবন হয়ে ওঠে উজ্জ্বল। সেখানে দুর্জন বা চরিত্রহীন ব্যক্তির অনুপ্রবেশের কোন সুযোগ নেই। তাই সমস্ত জীবন ভরে কুসঙ্গ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।
মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ তার চরিত্র। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, ‘The crown and glory of life is character.’ চরিত্রের গুণেই মানুষ শ্রেষ্ঠ আদর্শের মর্যাদা পায়। এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ঠিক রেখে অপরাপর বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটানো আবশ্যক। তাই কুসঙ্গ নয়, সৎসঙ্গের মধ্য দিয়ে নিজেকে বিকশিত করতে হবে। কুসঙ্গে মানুষ অমানুষ হয়ে ওঠে, তার সদগুণসমূহ নষ্ট হয়ে গিয়ে সে হয় পশুর মতো অধম। মানুষ গুণগতভাবেই সত্যের পূজারি, সুন্দরের অনুসারী। আর অসৎ পথে যাওয়ার মূল কারণ অসৎসঙ্গ। অসৎসঙ্গের মধ্য দিয়েই মানুষের চরিত্র কলুষিত হয়। যেমন- লোহা ওজনে খুব ভারী বলে তা পানিতে ডুবে যায়। কিন্তু এ ভারী লোহা যদি হালকা কাঠ বা অসার কোনো পদার্থের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া যায়, তহলে লোহা ভেসে ওঠে, ডুবে না। মানুষের মধ্যেও অসৎ সঙ্গের সাহচর্যের প্রভাব এভাবেই কার্যকরী হয়। সঙ্গদোষে মানুষ পরিবর্তিত হয়ে যায়। কুসংসর্গ চরিত্রহীনতার অন্যতম কারণ। অথচ চরিত্রের মাধ্যমেই ঘোষিত হয় জীবনের গৌরব। চরিত্র দিয়ে জীবনের যে গৌরবময় বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় তা আর কিছুতেই সম্ভব নয় বলে সবার ওপরে চরিত্রের সুমহান মর্যাদা স্বীকৃত। যার পরশে জীবন ঐশ্বর্যমণ্ডিত হয় এবং যার বদৌলতে মানুষ জনসমাজে শ্রদ্ধা ও সম্মানের পাত্র হিসেবে আদৃত হয়, তার মূলে রয়েছে উত্তম চরিত্র। স্পর্শমণির ছোঁয়ায় লোহা যেমন সোনা হয়ে ওঠে তেমনি সৎ চরিত্রের প্রভাবে মানুষের পশুপ্রবৃত্তি ঘুচে যায়, জন্ম নেয় সৎ, সুন্দর ও মহৎ জীবনের আকাঙ্ক্ষা। আবার সঙ্গদোষে মানুষ তার চরিত্রকে হারিয়ে পশুর চেয়েও অধম হয়ে যায়। এ জগতে যত লোকের অধঃপতন হয়েছে অসৎ সংসর্গই এর অন্যতম কারণ। মানুষ সতর্ক থাকলেও কুসংসর্গে পড়ে নিজের অজ্ঞাতে পাপের পথে পরিচালিত হয়। তাই সঙ্গ নির্বাচনে আমাদের সতর্ক হতে হবে।
এই ভাবসম্প্রসারণটি অন্য বই থেকেও সংগ্রহ করে দেয়া হলো
মূলভাব : কথায় বলে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। একথাটি যদিও প্রবাদ বাক্য তবুও দ্রুব সত্য।
সম্প্রসারিত ভাব : সংসর্গের প্রভাব অনস্বীকার্য। লোহা ওজনে ভারি। তাই লোহা পানিতে ডুবে যায়। কিন্তু এ ভারি লোহাকে যদি হালকা কাষ্ঠ খণ্ডের সাথে গেঁথে দেয়া হয় তবে সঙ্গগুণে সেই লোহাও ভাসতে থাকবে। মানুষের মধ্যেও এ সাহচর্যের প্রভাব বিশেষভাবে কার্যকর হয়। সঙ্গদোষে মানুষ পরিবর্তিত হয়ে যায়। কুসংসর্গে চললে মানুষের স্বভাব ও চরিত্র খারাপ না হয়ে পারে না। কারণ কুসংসর্গ চরিত্রহীনতার অন্যতম কারণ। কুসংসর্গদোষে মানুষ পশুর চেয়েও অধম হয়ে যায়। এ জগতে যত লোকের অধঃপতন হয়েছে, অসৎ সংসর্গই এর কারণ। মানুষ সতর্ক থাকলেও কুসংসর্গে পড়ে নিজের অজ্ঞাতে পাপের পথে পরিচালিত হয়।
তাই আমাদের সকলের কুসংসর্গ সযত্নে পরিহার করে চলা উচিত।
thanks for helping
ReplyDeleteGive me your fb id name
DeleteThanks for that
ReplyDeleteThanks for halping.Good job.
ReplyDeletethanks at lot for helping us...🙂
ReplyDeleteThanks for this. It's really helpful.
ReplyDeleteIt helps me formy exam; thanks
ReplyDeleteধন্যবাদ
DeleteThanks a lot. Hopefully now I'm gonna pass in my exams
ReplyDeleteReally,, it's amazing.... It's help me a lot.......
ReplyDeleteGood Writing
ReplyDeleteThank You very Much
ReplyDeleteThank you very much for your article
ReplyDelete