↬ শিক্ষাঙ্গন ও ছাত্ররাজনীতি
↬ ছাত্ররাজনীতি
↬ ছাত্ররাজনীতি ও সন্ত্রাস
ভূমিকা :
‘আমরা তাজা খুনে লাল করেছি সরস্বতীর শ্বেত কমল। আমরা ছাত্রদল।’
সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে অদ্যবধি মহান লক্ষ্য ও আদর্শকে আমরা রেখে যতগুলো সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে তন্মধ্যে ছাত্রসংগঠন অন্যতম। লেখাপড়ার পাশাপাশি দেশবরেণ্য ছাত্রসমাজ তাদের নিজেদের ও দেশমাতৃকার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট শোষক শ্রেণির বিরুদ্ধে যে ভূমিকা পালন করে তাই ছাত্ররাজনীতি। ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে ছাত্ররা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বহুমুখী কারণে ঐতিহ্যবাহী ছাত্ররাজনীতি আজ বিতর্কের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে।
পটভূমি : বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে ছাত্ররাজনীতি শুরু হয়েছে। আমাদের দেশে ছাত্ররাজনীতির সূচনা খুব একটা আগে নয়। ঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে ছাত্ররাজনীতি বাংলার রাজনীতিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করে। বিশ শতকের প্রথম পাদে বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন, স্বদেশী আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্ররাজনীতি একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পরিগ্রহ করে। এর আগেও যে ছাত্র-রাজনীতি ছিল না এমন নয়, তবে তা উল্লেখযোগ্য নয়। আসলে ১৯২১ সালে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ অঞ্চলে ছাত্র-রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
সেকাল-একালের সমাজ-পরিবেশ ও রাজনীতি : একদিন নিরুদ্বিগ্ন শান্ত পরিবেশে অধ্যয়নই ছিল ছাত্রদের তপস্যা। রাজনৈতিক-সামাজিক অসন্তোষের কল্লোল সেদিন ছিল না। সেদিন গুরুগৃহেই হত বিদ্যাশিক্ষার আরম্ভ ও সমাপন। অধ্যয়নই ছাত্রদের তপস্যা- এই সুভাষণকে তারা অক্ষরে অক্ষরে পালন করত। সামাজিক বিবর্তনে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থারও গুণগত রূপান্তর হল। রাজনীতি এখন সমাজের অন্যতম নিয়ন্ত্রণ-শক্তি। বর্তমান সামাজিক জীবন রাজনীতি নির্ভর।
ছাত্ররাজনীতির গুরুত্ব : ছাত্ররাজনীতির যথেষ্ট গুরুত্ব বর্তমান। জাতীয় কবি নজরুলের ‘আমরা শক্তি আমরা বল – আমরা ছাত্রদল’ -এ কথার মধ্যেই ছাত্র-রাজনীতির বীজ লুকায়িত আছে। আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রসমাজ যে ভূমিকা পালন করেছে সচেতন লোক মাত্রই তা স্বীকার করতে হবে।
ভাষা আন্দোলনে ছাত্রদের ভূমিকা : ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট দেশবিভাগের পরে বাঙালি জাতি যে সুখের স্বপ্ন দেখেছিল, পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক ও শোষকগোষ্ঠী সে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেয়। তারা প্রথমেই আঘাত হানে আমাদের ভাষার ওপর। ফলে বাংলার ছাত্রসমাজ বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। ‘৫২’র ২১ শে ফেব্রুয়ারি, সরকারের জারিকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ছাত্ররা বাংলা ভাষা রক্ষার জন্য মিছিলে নামে। কিন্তু শাসকগোষ্ঠীর লেলিয়ে দেয়া পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ অনেকে প্রাণ হারায়। অবশেষে ১৯৫৬ সালে সরকার বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। এই জাতীয় আন্দোলনে ছাত্রদের অবদান সুজ্ঞাত ও সর্বজনস্বীকৃত। কিন্তু ভাষা সমস্যার সমাধান হলেও ছাত্র-আন্দোলন থামে নি।
’৬২’র শিক্ষা-আন্দোলন ও ছাত্রসমাজ : ‘৬২’র শিক্ষা আন্দোলনে বাংলার ছাত্রসমাজ যে ভূমিকা রেখেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। পাকিস্তান সরকারের সেদিনকার শিক্ষামন্ত্রী মি. শরীফ সাহেব পূর্ব পাকিস্তানের স্বার্থবিরোধী যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেন, তার বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ দুর্বার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
’৬৯’র গণঅভ্যত্থান ও ছাত্রসমাজ : মৌলিক গণতন্ত্র আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ও পাকিস্তানের মার্শাল ডিক্টেটর আইয়ুব খানের নির্মম নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলার সর্বত্র ১৯৬৯ সালে এক দুর্বার গণআন্দোলন শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে ছাত্রসমাজ ১১ দফা কর্মসূচি নিয়ে গণআন্দোলনে শরিক হয়। আন্দোলনের ভয়ে ভীত হয়ে অবশেষে আইয়ুব খান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে।
’৭১’র মুক্তি-সংগ্রাম ও ছাত্রসমাজ : ‘৭১’র মুক্তি সংগ্রামে বাংলার ছাত্রসমাজ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। ‘৭১’র ২৫ মার্চের রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত নাগরিকদের ওপর যে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় তার বিরুদ্ধে এ দেশের ছাত্রসমাজ প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য অন্যান্য মুক্তি পাগল মানুষের সাথে ছাত্ররা ভারত থেকে গেরিলা ট্রেনিং নেয় এবং দেশে ফিরে এসে পশ্চিমা নরপশুদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে ‘৭১’র স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার ছাত্রসমাজ যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে, দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে তা স্মরণ করবে।
’৯০’র স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রসমাজ : ‘৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রসমাজ মুখ্য ভূমিকা পালন করে। স্বৈরাচার এরশাদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্রের ঘোষিত কর্মসূচিকে বাংলাদেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, চিকিৎসক ও প্রকৌশলীসহ সকল পেশার লোক পূর্ণ সমর্থন করে। ২৭ নভেম্বর পুলিশের গুলিতে ডাক্তার মিলনের মৃত্যুতে এ আন্দোলন আরো জোরদার হয়। ২৮ নভেম্বর ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা মিছিলে নামলে সেনাবাহিনী ও পুশিলের লোকেরা ছাত্রদেরকে সমর্থন জানায়। উপায়ান্তর না দেখে এরশাদ সরকার পদত্যাগ করে। এর মাধ্যমে স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে : ছাত্ররাজনীতি আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছাত্ররাজনীতি রয়েছে। যেমন কয়েক বছর আগে ইন্দোনেশিয়ার ছাত্রসমাজ সে দেশের তিন দশকেরও অধিককালের স্বৈরশাসক সূহার্তোকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। ইন্দোনেশিয়ার ছাত্রসমাজকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনসহ গোটা বিশ্বের নেতৃবৃন্দ জোরালো সমর্থন জানিয়েছিলেন। আজকের বিশ্বের কেবল যে উন্নয়নশীল দেশের ছাত্ররাই রাজনীতিতে অংশ নিচ্ছে তাও নয়। ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি ইত্যাদি দেশেও ছাত্ররা রাজনৈতিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত হচ্ছে। ছাত্ররাজনীতির যে প্রয়োজনীয়তা আছে তা আজ গোটা বিশ্ববাসী উপলব্ধি করে।
ছাত্ররাজনীতির ক্রমাবনতি ও ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি : ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষেত্রে ছাত্ররা ঐক্য ও শক্তির পরিচয় দিলেও তৎকালীন ছাত্ররাজনীতির অত্যুচ্চ ভাবমূর্তিটি অব্যাহত রাখা সম্ভব হয় নি। নানা কারণে এর দ্রুত অবক্ষয় ঘটছিল। এর প্রথম কারণ ছিল ছাত্ররাজনীতিতে স্বকীয়তার অভাব। ছাত্রসংগঠনগুলো ক্রমেই পৃষ্ঠপোষক রাজনৈতিক দলের উপাঙ্গ হয়ে উঠেছিল। ছাত্রদের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টায় সবগুলো প্রধান রাজনৈতিক দল ও উপদল ছাত্রসংগঠনের নেতৃত্বে অ-ছাত্রদের অনুপ্রবেশ ঘটাতে থাকে। নানা সংগঠনের অ-ছাত্র নেতারা নিজ দল ও অন্যান্য দলের মধ্যেকার কোন্দলে ছাত্রদের ব্যবহার করতে শুরু করে।
বিশ শতকের আশি ও নব্বইয়ের দশকের ছাত্ররাজনীতিতে অস্ত্র ব্যবহারের প্রবণতা দেখা দেয়, যা পরবর্তী সময়ে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৯৩ সালে নিউইয়র্ক টাইমস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘বিশ্বের সর্বাধিক সংঘাতপূর্ণ শিক্ষাঙ্গন’ বলে চিহ্নিত করে। ‘তিন দশকব্যাপী শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা’ শিরোনামে দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত (৪ মে ২০০১) একটি জরিপে দেখা গেছে যে, ১৯৭৪ সাল থেকে তিন দশকে শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতায় খুন হয়েছে ১২৮ জন, মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে ৪২৯০ জন। ফলে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি উঠেছে নানা মহল থেকে।
ছাত্র-রাজনীতির নেতিবাচক দিক ও ছাত্রদের কর্তব্য : প্রকৃত ছাত্র-রাজনীতির কোনো নেতিবাচক দিক নেই। যে ছাত্র-রাজনীতির নেতিবাচক দিক বর্তমান, সেটি হচ্ছে অসুস্থ রাজনীতি। আজকাল ছাত্র-রাজনীতি অনেকাংশে অসুস্থ রাজনীতিতেই পরিণত হয়েছে। ছাত্ররাজনীতিতে প্রবেশ করেছে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মারামারি, কাটাকাটি ইত্যাদি। ছাত্র-রাজনীতিতে এহেন পরিস্থিতি দেশ ও জাতিকে ক্রমান্বয়ে নিয়ে যাচ্ছে ধ্বংসের অতল গহ্বরে। সন্ত্রাসের কারণে প্রতি বছর অনেক ছাত্রের তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে, আবার অনেকে চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করছে। শুধু ছাত্ররাই নয় অনেকেই সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে মার্কেটগুলো থেকে সন্ত্রাসীরা প্রচুর চাঁদা আদায় করছে। অস্ত্রের ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে বিভিন্ন সংগঠনের ছাত্ররা মিনি ক্যান্টনমেন্টে পরিণত করেছে শিক্ষাঙ্গনকে বানিয়েছে রণাঙ্গন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমাজের অগ্রসর অংশ হিসেবে ছাত্রসমাজকেই তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করায় সর্বাধিক সচেষ্ট। ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে তারা ছাত্রসমাজকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করায় সর্বাধিক সচেষ্ট। ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে তারা ছাত্রসমাজকে তাদের ক্রীড়নকে পরিণত করেছে। ফলে ছাত্রসমাজ এখন দেশগঠনমূলক আদর্শবাদী রাজনীতির পথ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। এসব সমস্যা নিরসনে ছাত্রদের নিজেদের তৎপর হতে হবে এবং অভিসন্ধিপরায়ণ রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। ছাত্র হিসেবে প্রধান কর্তব্য ভুলে না গিয়ে, অন্তঃসারশূন্য স্লোগানে প্রলুব্ধ কণ্ঠ না মিলিয়ে আদর্শের পথে নিজেকে পরিচালিত করতে হবে।
ছাত্র-রাজনীতির পক্ষে ও বিপক্ষে মত বা সাম্প্রতিক বিরাজমান অবস্থা : অ্যারিস্টটল বলেছেন, মানুষ মাত্রই রাজনৈতিক জীব। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, পূর্ণবয়স্ক নাগরিকের রাজনৈতিক দায়িত্ব যতটা অপ্রাপ্তবয়স্কেরও ততটাই। একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা যতটুকু একজন অধ্যাপক ও গবেষকের ততটা কিছুতেই নয়। এদিক থেকে বলা যায় ছাত্রসমাজের সাধারণ রাজনৈতিক দায়িত্ব থাকলেও প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক দায়িত্ব তেমন নেই। এসব দিক থেকে বিবেচনা করে ছাত্র-রাজনীতি নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ ছাত্র রাজনীতি উঠিয়ে দেয়ার পক্ষে কথা বলেছেন, আবার কেউ কেউ ছাত্র রাজনীতির পক্ষে অভিমত রখছেন। যাঁরা রাজনীতির বিপক্ষে কথা বলছেন, তাঁদের বক্তব্য হল – রাতারাতি বড় হওয়ার আকাঙ্ক্ষা, হীন স্বার্থের মানসে সরকার ও কতিপয় রাজনৈতিক দল কর্তৃক সন্ত্রাসকে উৎসাহ প্রদান ইত্যাদি ছাত্র-রাজনীতিতে সন্ত্রাসের জন্ম দেয়; তাই দেশ ও জাতির স্বার্থে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা দরকার। পক্ষান্তরে, ছাত্র রাজনীতির পক্ষে বক্তারা যুক্তি দেখাচ্ছেন – আমরা মাথাব্যথা হলে ওষুধ সেবন করি – কিন্তু মাথা কেটে ফেলে দিই না। অনুরূপভাবে, দুর্ঘটনা ও বহিষ্কারের ভয়ে আমরা গাড়ি চালনা ও পরীক্ষা গ্রহণ বন্ধ রাখি না। তাই সন্ত্রাসের ভয়ে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার আদৌ কোনো হেতু নেই। ছাত্ররাজনীতিকদের বুঝতে হবে তারা জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রক, তাই তাদেরকে অবশ্যই সন্ত্রাসমুক্ত থাকতে হবে। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের স্বার্থে ছাত্রদের ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা ও নীতিকে ঢেলে সাজাতে হবে।
উপসংহার : অতীতের বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, আমাদের দেশে ছাত্র রাজনীতির গুরুত্ব রয়েছে। আমরা অবশ্যেই সুষ্ঠু ও ইতিবাচক ছাত্র রাজনীতির গুরুত্ব স্বীকার করি। তাই সকল প্রকার সন্ত্রাস ও দুর্বল চিন্তা বিলুপ্ত হয়ে আমাদের সোনার বাংলায় সুষ্ঠু ও সুন্দর ছাত্র রাজনীতি অব্যাগত থাকুক – এটিই সকলের কাম্য।