বন থেকে জানোয়ার তুলে আনা যায়, কিন্তু জানোয়ারের মন থেকে বন তুলে ফেলা যায় না।
ভাব-সম্প্রসারণ : মানুষ প্রাণী হলেও সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে তার মধ্যে মানবীয় গুণাবলি বিদ্যমান। প্রাণীর স্বভাব-বৈশিষ্ট্য গড়ে ওঠে পরিবেশ ও শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে।
জন্তু ও মানুষের মধ্যে স্বভাব ও প্রকৃতিগত পার্থক্য বিদ্যমান। জন্তুর সকল স্বভাব মানুষের মধ্যে বিরাজমান- হিংসা, বিদ্বেষ, পাশবিকতা, হিংস্রতা, লোলুপতা ইত্যাদি মানুষের মধ্যেও রয়েছে। কিন্তু এসব অতিক্রম করে প্রীতি, মমত্ব, সুস্বভাব, সুচরিত্র অর্জন করাই মনুষ্যজীবনের সার্থকতা। এসব গুণাবলির জন্যে মানুষ জন্তু থেকে পৃথক। বন্যপ্রাণীকে বন্য জীবন থেকে সুসভ্য জগতে নিয়ে এলেও জন্তুর জান্তব আচরণের পরিবর্তন হয় না। কেননা তার মনোজগতের অধিবাস বনের মধ্যে। এর মূল কারণ হল মানুষের মধ্যে মানব-স্বভাবের যে উত্তরণ আছে জন্তুর মধ্যে তা নেই। তাই বন থেকে তুলে এনে তাকে যতই সুসভ্য করার চেষ্টা করা হোক না কেন তারা বন্য স্বভাবেরই থেকে যাবে। একইভাবে বৃহত্তর অর্থে মানুষের ক্ষেত্রেও একথা সত্যি। নীচ প্রকৃতি, প্রবৃত্তি বা স্বভাবের মানুষদের আমরা যতই ভালো করার চেষ্টা করি না কেন, তা ব্যর্থ হবে। কারণ স্বভাব কখনো বদলায় না। পরিবেশের পরিবর্তন সহজ হলেও মানুষের স্বভাব সহজে বদলানো যায় না।
জন্তু ও মানুষের মধ্যে স্বভাব ও প্রকৃতিগত পার্থক্য বিদ্যমান। জন্তুর সকল স্বভাব মানুষের মধ্যে বিরাজমান- হিংসা, বিদ্বেষ, পাশবিকতা, হিংস্রতা, লোলুপতা ইত্যাদি মানুষের মধ্যেও রয়েছে। কিন্তু এসব অতিক্রম করে প্রীতি, মমত্ব, সুস্বভাব, সুচরিত্র অর্জন করাই মনুষ্যজীবনের সার্থকতা। এসব গুণাবলির জন্যে মানুষ জন্তু থেকে পৃথক। বন্যপ্রাণীকে বন্য জীবন থেকে সুসভ্য জগতে নিয়ে এলেও জন্তুর জান্তব আচরণের পরিবর্তন হয় না। কেননা তার মনোজগতের অধিবাস বনের মধ্যে। এর মূল কারণ হল মানুষের মধ্যে মানব-স্বভাবের যে উত্তরণ আছে জন্তুর মধ্যে তা নেই। তাই বন থেকে তুলে এনে তাকে যতই সুসভ্য করার চেষ্টা করা হোক না কেন তারা বন্য স্বভাবেরই থেকে যাবে। একইভাবে বৃহত্তর অর্থে মানুষের ক্ষেত্রেও একথা সত্যি। নীচ প্রকৃতি, প্রবৃত্তি বা স্বভাবের মানুষদের আমরা যতই ভালো করার চেষ্টা করি না কেন, তা ব্যর্থ হবে। কারণ স্বভাব কখনো বদলায় না। পরিবেশের পরিবর্তন সহজ হলেও মানুষের স্বভাব সহজে বদলানো যায় না।