ভূমিকা : বাবসা-বাণিজ্য এক ধরনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ও অগ্রগতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান যুগে ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়া কোনো দেশ চলতে পারে না। ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিশীলতা না থাকলে জাতীয় জীবনও হয়ে পড়ে স্থবির ও মন্থর। একসময় বিজ্ঞানের হাত ধরে ইউরোপে যে শিল্পবিপ্লব ঘটে গিয়েছিল তখন স্বল্প খরচে পণ্য উৎপাদন ও দেশে দেশে বাজার সম্প্রসারণের প্রয়োজনে পাশ্চাত্যে গড়ে উঠেছিল বাণিজ্যবিদ্যা। আর এখন যে কোনো দেশেই এ বিদ্যা শিক্ষা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এবং দিন দিন এর গুরুত্ব ও উপযোগিতা বাড়ছে।
বাংলাদেশে বাণিজ্য শিক্ষার প্রেক্ষাপট : সুপ্রাচীন কালেই আমাদের পূর্বপুরুষরা ব্যবসা-বাণিজ্যের ঐতিহ্য সৃষ্টি করেছিলেন। সে কালে আরব, পর্তুগিজ, ওলন্দাজ, চীনা ইত্যাদি জাতির সঙ্গে এদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কও গড়ে উঠেছিল। প্রাচীন ও মধ্যযুগের সাহিত্যে তার কিছু পরিচয় পাওয়া যায়। কিন্তু ইংরেজরা বাণিজ্যসূত্রে এদেশে এসে ক্ষমতার রাজদণ্ড করায়ত্ত করার পর সুকৌশলে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যের দরজা বন্ধ করে দেয়। তাদের প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থায় এদেশে বাণিজ্যবিদ্যা শেখার যে সামাণ্য সুযোগ ছিল তার লক্ষ ছিল কেবল কেরাণি তৈরি করা। ফলে বাণিজ্যবিদ্যার পাঠ্যক্রম বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অগ্রসর হতে পারে নি। অনেক পেছনে মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল। পাকিস্তানি আমলেও শাসকগোষ্ঠী আমাদের দেশে বাণিজ্যবিদ্যা শিক্ষাকে অগ্রসর করার পদক্ষেপ নেয় নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জনগণের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন উৎসাহ সৃষ্টি হয়। কিন্তু বাণিজ্যবিদ্যা শিক্ষা যুগোপযোগী আধুনিকায়িত না হওয়ায় মেধাবী, শ্রমনিষ্ঠ, বিজ্ঞানমনস্ক তরুণরা এই বিদ্যা শিক্ষার ক্ষেত্রে আগ্রহী ও অগ্রসর হয় নি।
বাণিজ্যবিদ্যা শিক্ষাক্রমের নবায়ন : সাম্প্রতিককালে বাণিজ্যবিদ্যা শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও সম্প্রসারিত করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়েই বাণিজ্যবিদ্যাকে আলাদা শাখার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠ্য তালিকা সম্প্রসারিত হওয়ায় এখন বাণিজ্যবিদ্যা শাখায় অর্থনীতি, বাণিজ্যিক ভূগোল, কারবার সংগঠন ও পরিচালনা, বীমা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা, বাণিজ্যিক ও শ্রম আইন, পরিসংখ্যান ইত্যাদি বিষয় অধ্যয়ন করা যায়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে যেটি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, এতদিন বাণিজ্যবিদ্যায় কেবল পুঁথিগত তাত্ত্বিক দিকই প্রাধান্য পেয়ে আসছিল। তার সঙ্গে বাস্তব ব্যবহারিক শিক্ষার কোনো সুযোগ ছিল না। বর্তমানে শিক্ষাক্রমে তাত্ত্বিক শিক্ষার সঙ্গে ব্যবহারিক শিক্ষার দিকটিকেও গুরুত্ব সহকারে সমন্বিত করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঙ্গে বিভিন্ন শিল্প-বাণিজ্য সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে সহযোগী বাস্তব শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এভাবে ব্যবহারিক শিক্ষার ক্ষেত্রে যতই সম্প্রসারিত হবে ততই এই ক্ষেত্রে দক্ষ, পারদর্শী, সৃজনশীল সম্ভাবনাময় কর্মীর সৃষ্টি হবে। বর্তমানে বাণিজ্যবিদ্যা শিক্ষায় এসব সুযোগ ও সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ায় এই বিদ্যা শিক্ষায় যথেষ্ট উৎসাহ ও আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। নারীসমাজের মধ্যেও এ বিদ্যা শিক্ষার বিপুল আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাণিজ্যবিদ্যা শিক্ষা প্রদানের জন্যে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে।
বাণিজ্যবিদ্যার অপরিহার্য ক্ষেত্র : একসময় অশিক্ষিতরাও ব্যবসা-বাণিজ্যে অসাধারণ উন্নতি করতে পারত। তখন এত প্রতিযোগিতা ছিল না। ব্যবসা-বাণিজ্যে এত জটিলতাও ছিল না। তখন সাফল্য আসত পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমানে বাণিজ্যবিদ্যা অধ্যয়ন না করে কিংবা এ বিদ্যায় শিক্ষিত ও দক্ষ কর্মীদের সহায়তা না নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য চালানো অসম্ভব। কারণ হিসাবরক্ষণ, পরিসংখ্যান, আয় কর, বিক্রয় কর, ভ্যাট, কোম্পানি আইন ইত্যাদি নানা রকম জটিল বিষয় ব্যবসার সঙ্গে এখন সম্পৃক্ত।
ব্যবসায় শিক্ষার গুরুত্ব : অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনে ব্যবসা শিক্ষার গুরুত্ব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বহুবিচিত্র পণ্য উৎপাদন, পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, সম্পদের সর্বাধিক ব্যবহার সুনিশ্চিতকরণ, নগরায়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, জাতীয় আয় বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে সব ধরনের পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য মানুষের সব ধরনের প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ও সেবার জোগান দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রায় সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যের জোগান দেয়। ফলে বাণিজ্যবিদ্যা অত্যন্ত জীবনঘনিষ্ঠ বিদ্যায় পরিণত হয়েছে।
ব্যবস্থাপনা শিক্ষার গুরুত্ব : ব্যবস্থাপনা শিক্ষার মাধ্যমে ব্যবসায়ের বাস্তব কলাকৌশল সম্বন্ধে জ্ঞান এবং ব্যবসায় সংগঠন পরিচালনার দক্ষতা অর্জন করা যায়। বর্তমানকালে মুক্তবাজার অর্থনীতির ফলে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিকল্পনা, সংগঠন, নির্দেশনা, নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ-এর শিক্ষা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ব্যবস্থাপনা শিক্ষার মাধ্যমে এই যোগ্যতা অর্জন করা যায়। ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষার গুরুত্ব যে বর্তমানে কত ব্যাপক তার জন্যে একটি উদাহরণই যথেষ্ট। পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পর্যন্ত সব ধরনের সংগঠন এবং ছোট মুদির দোকান থেকে শুরু করে বৃহদায়তন কলকারখানা পরিচালনায় ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা কমবেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এমনকি কেউ কেউ এমনও মনে করেন যে, প্রযুক্তি ও পুঁজির চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ব্যবস্থাপনা।
হিসাববিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব : ব্যবসায়ী-অব্যবসায়ী নির্বিশেষে সবার কাছেই হিসাববিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে তো বটেই, কলেজ-হাসপাতাল ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানসহ রাষ্ট্রীয় তথা সামাজিক জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে হিসাব অপরিহার্য। উৎপাদন ও ব্যয় ব্যবস্থাপনা, সম্পদের সুষম ও সুপরিকল্পিত ব্যবহার, ব্যয় সংকোচন, সঞ্চয় ও বিনিয়োগ, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার ব্যবস্থা, কল্যাণমুখী আর্থিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞানের ভূমিকা ও গুরুত্ব সীমাহীন। এসব ক্ষেত্রে পরিকল্পনা প্রণয়ন, কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন, আর্থিক সম্পৃক্তি নিয়ন্ত্রণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় হিসাববিজ্ঞানের জ্ঞান ছাড়া অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়।
অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ভূগোল পাঠের গুরুত্ব : অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ভূগোল পড়লে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উৎপন্ন দ্রব্য ও অর্থনৈতিক সম্পদ সম্পর্কে সঠিক ধারণা জন্মায়। এর সাহায্যে আমরা কোন দেশ থেকে কী আমদানি করতে পারি এবং কোন দেশে আমাদের কোন পণ্যের বাজার রয়েছে তা বুঝে নিয়ে সেই অনুযায়ী আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চালাতে পারি।
বাণিজ্যিক ও শিল্প আইন শিক্ষার গুরুত্ব : ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পর্কিত যাবতীয় ক্রিয়াকলাপ সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্যে বাণিজ্যিক ও শিল্প আইন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা চাই। নানারকম চুক্তি, পণ্য বিক্রয়, অংশীদারি কারবার, যৌথ কোম্পানি, হস্তান্তরযোগ্য পত্র, পণ্য পরিবহন, সালিশি ও দেউলিয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে যেসব আইন প্রচলিত রয়েছে সেগুলোর সঙ্গে ধারণা জন্মায় বলে বাণিজ্য শিক্ষার উপযোগিতা অধিকতর বৃদ্ধি পেয়েছে।
পরিসংখ্যার শিক্ষার গুরুত্ব : ব্যবসা-বাণিজ্যে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব দিন দিনই বাড়ছে। পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ইত্যাদির ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান ব্যবসায়ের লাভ-ক্ষতি নিরূপণের সঙ্গে গভীরভাবে সংশ্লিষ্ট। বাজারের তেজি বা মন্দাভাব নির্ধারণ করে পণ্য বাজারজাতকরণের নীতি প্রণয়নে পরিসংখ্যানের প্রয়োগ এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এছাড়া সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায়ও পরিসংখ্যান সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ব্যাংক, বিমা, রেলওয়ে, মোটর পরিবহন সংস্থা, কলকারখানার ব্যবস্থাপকের হাতিয়ার বা পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে পরিসংখ্যান। পরিসংখ্যান শিক্ষা কেবল বাণিজ্যবিদ্যার ক্ষেত্রেই নয়, রাষ্ট্রীয় কাজে, জাতীয় অর্থনীতিতে, সামাজিক ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে কম্পিউটার বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতি ও প্রসারের ফলে পরিসংখ্যান শিক্ষার ব্যবহারিক গুরুত্ব অনেক বেড়েছে।
পরিসংখ্যার শিক্ষার গুরুত্ব : ব্যবসা-বাণিজ্যে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব দিন দিনই বাড়ছে। পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ইত্যাদির ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান ব্যবসায়ের লাভ-ক্ষতি নিরূপণের সঙ্গে গভীরভাবে সংশ্লিষ্ট। বাজারের তেজি বা মন্দাভাব নির্ধারণ করে পণ্য বাজারজাতকরণের নীতি প্রণয়নে পরিসংখ্যানের প্রয়োগ এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এছাড়া সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায়ও পরিসংখ্যান সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ব্যাংক, বিমা, রেলওয়ে, মোটর পরিবহন সংস্থা, কলকারখানার ব্যবস্থাপকের হাতিয়ার বা পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে পরিসংখ্যান। পরিসংখ্যান শিক্ষা কেবল বাণিজ্যবিদ্যার ক্ষেত্রেই নয়, রাষ্ট্রীয় কাজে, জাতীয় অর্থনীতিতে, সামাজিক ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে কম্পিউটার বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতি ও প্রসারের ফলে পরিসংখ্যান শিক্ষার ব্যবহারিক গুরুত্ব অনেক বেড়েছে।
অর্থনীতি শিক্ষার গুরুত্ব : দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিতকরণের সঙ্গে অর্থনীতি শিক্ষার রয়েছে অপরিহার্য যোগসূত্র। আমাদের দেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে অর্থনীতি শিক্ষা আরো বেশি গুরুত্ব দাবি করে। দীর্ঘকাল ধরে আমাদের দেশে অর্থনীতি চর্চা ছিল কেতাবি তাত্ত্বিক বিদ্যা নির্ভর। কিন্তু বর্তমানে অর্থনীতিবিদ্যাকে যুগোপযোগী, জীবনঘনিষ্ঠ ও কর্মমুখী করা হয়েছে। এর ফলে অর্থনীতির পাঠ নিয়ে যে কর্মীরা বের হয়ে আসবে তারা দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিরাজিত সমস্যাবলি মোকাবেলা করে জাতীয় উন্নয়নে অধিকতর কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে।
কর্মসংস্থানের সুযোগ : আজকাল প্রতিযোগিতার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে হলে কিংবা স্বউদ্যোগে ব্যবসা-বাণিজ্যিক কাজ পরিচালনা করতে চাইলে বাণিজ্য-শিক্ষা অপরিহার্য বিবেচিত হয়। ব্যাংক, বিমা ইত্যাদি অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠান তো বটেই, প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানেরই কোনো-না-কোনো শাখায় বাণিজ্যিক শিক্ষায় শিক্ষিত কর্মীর প্রয়োজন হয়। এদিক থেকে দেশে বাণিজ্যিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও কাজের সুযোগ অনেক বেড়েছে।
উপসংহার : নানা কারণে বর্তমান বিশ্ব হয়ে উঠেছে অনেক বেশি পরিভোগমুখী লাভ-ক্ষতিই হয়ে পড়েছে আজ মুখ্য চিন্তার বিষয়। অর্থমূল্যই সমাজে সুখ, প্রতিপত্তি, সম্মান ও ক্ষমতার মাপকাঠি বলে বিবেচিত হচ্ছে। ফলে বিশ্ব পরিসর এবং আমাদের দেশে বাণিজ্য শিক্ষার গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। এই কাণে আমদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সাম্প্রতিককালে বাণিজ্য শিক্ষা বিশেষ গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়েও বাণিজ্য শিক্ষা প্রবর্তিত হয়েছেঃ। এই অবস্থায় সাধারণ ছাত্ররা যদি বাণিজ্য শিক্ষা লাভে আগ্রহী হয়ে এগিয়ে আসে তবে দেশে বেকারত্বের ওপর চাপ যেমন কমবে তেমনি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।