ভূমি ও সম্পত্তি হস্তান্তরের পদ্ধতি ব্যাপক সহজতর করার লক্ষ্যে আমাদের দেশের শত বর্ষের আইনের ব্যাপক সংশোধন করা হয়েছে। এই সংশোধনের ফলে আমাদের দেশের জনগণের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন, প্রি-এমশনে পাওয়া আদালতের দলীল রেজিস্ট্রেশন, বায়নানামা রেজিস্ট্রেশন, বন্ধকী সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন করতে ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব হবে। গত ১ জুলাই ২০০৫ থেকে উপরোক্ত কর্মকাণ্ডে সংশোধিত বিধি বিধান অনুসরণ করা হচ্ছে।
দলিল লিখনের ক্ষেত্রে আগে ভেন্ডারগণ কোন বাধাধরা নিয়ম ছাড়াই তাদের ইচ্ছামত লিখতেন। এক্ষেত্রে অনেক সময় দলিলে অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য বাদ পড়তো এবং অনেক অপ্রয়োজনীয় বিষয় উপস্থাপিত হতো। নতুন এই নিয়মে এই সমস্যাটি আর হবে না। এখন ভেন্ডারদের থেকে স্ট্যাম্প ক্রয় করে তাতে তাদের দ্বারা সরকারীভাবে সরবরাহকৃত নির্দিষ্ট ফরমেটে বা ছকে লিখে বা টাইপ বা কম্পিউটার কম্পোজ করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
সরকার ১৮৮২ সালের ভূমির রেজিস্ট্রেশন আইন, ভূমি হস্তান্তর আইন, ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন এবং ১৯০৮ সালের তামাদি আইন সংশোধন করেছেন। শত বছরের পুরাতন আইন কানুন সম্পূর্ণ বাদ না করে ভূমি ব্যবস্থাপনা সহজী করার জন্য এর ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এ আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হয় এবং তা জুলাই ০১, ২০০৫ তারিখ থেকে কার্যকর করা হয়। এ সংশোধনের ফলে এখন থেকে সব ধরনের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির হস্তান্তর রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকার ভূমি হস্তান্তরের জন্য সার্বজনীন দলিল তৈরির একটি নির্দিষ্ট ফরমেট বা ছক প্রকাশ করেছে। সরা দেশে দলিল তৈরির ক্ষেত্রে এই একই ছক ব্যবহৃত হবে। এই আইনের গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনগুলো পরবর্তী পর্বগুলোতে আলোচনা করা হলো।
সবগুলো পর্ব একসাথে পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন >> জমিজমা ও ভূমি বিষয়ক আইন
সবগুলো পর্ব একসাথে পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন >> জমিজমা ও ভূমি বিষয়ক আইন