ভূমিকা : জনসংখ্যা একটি দেশের সম্পদ। জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করেই একটি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো সুদৃঢ় হয়। জনসংখ্যাবিদগণ একটি দেশের জনসংখ্যা কাঠামোকে বয়সের ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করেন। তাদের এই বিভক্তিকরণে দেখা যায় কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর আধিক্য ঘটলে দেশের নির্ভরশীল জনসংখ্যার হার কমতে থাকে। ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি ঘটে। কোনো দেশ যদি এ সুযোগকে ভালভাবে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়, তাহলে সে দেশ সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়। জনসংখ্যাবিদগণ জনসংখ্যা কাঠামোর এ অবস্থাকে Demographic Dividend বা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকাল হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকাল : হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড ব্লুম এবং ডেভিড ক্যানিং প্রথম Demographic Dividend বা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকাল প্রত্যয়টি ব্যবহার করেন। তাদের মতে, জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকাল হলো জনসংখ্যার বয়স কাঠামোর এক ধরনের পরিবর্তন যা জন্মহার ও মৃত্যুহার হ্রাসের মাধ্যমে কর্মক্ষম জনসংখ্যার আধিক্য ঘটায়। জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকাল হলো কোনো দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যার (১৫-৬৪ বছর বয়সী) আধিক্য। জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালে একটি দেশের অধিকাংশ মানুষ কর্মক্ষম বয়সের মাঝে অবস্থান করে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (UNFP) সংজ্ঞা অনুযায়ী, যখন কোনো দেশের কর্মহীন মানুষের চেয়ে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বেশি থাকে এবং সেটা যখন অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে তখন তাকে জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকাল বলা হয়।
জনসংখ্যাবিদ জন রস বলেন, জনসংখ্যার বয়স কাঠামো পরিবর্তনের এক পর্যায়ে যখন জন্মহার ও মৃত্যুহার হ্রাসের মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনীতি দ্রুত উন্নতি লাভ করে, তখন তাকে জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকাল বলে। জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের ফলে একটি দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের পর্যায় : জনসংখ্যাবিদগণের মতে, জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের দুটি পর্যায় রয়েছে – ১. প্রথম পর্যায় ও ২. দ্বিতীয় পর্যায়।
প্রথম পর্যায় : জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের প্রথম পর্যায়টি সাধারণত ৫০ বছর কিংবা তারও বেশি সময় চলতে থাকে। এ দীর্ঘ সময়ে একটি দেশের জন্মহার, মৃত্যুহার কমতে থাকে। জন্মহার ও মৃত্যুহার হ্রাস পাওয়ায় বিপুলসংখ্যক তরুণ জনযোগষ্ঠী কর্মক্ষম হয়ে উঠে। অন্যদিকে নির্ভরশীল জনসংখ্যা (০-১৫ বছর এবং ৬৫ বছর থেকে বেশি) কমতে থাকে। ফলে সরকারকে নির্ভরশীল জনসংখ্যার পেছনে তেমন রাজস্ব ব্যয় করতে হয় না। এ সময় সরকার জনসংখ্যাকে দক্ষ করে তুলতে বেশি রাজস্ব ব্যয় করতে পারে। ফলে দেশে একটি স্থিতিশীল কর্মক্ষম জনশক্তি বিরাজমান থাকে, যারা দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখে। এতে দেশের প্রবৃদ্ধির হার দ্রুত বৃদ্ধি পায়। জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের প্রথম পর্যায়ে একটি দেশে পর্যাপ্ত জনশক্তি থাকায় শিল্পকারখানায় উৎপাদন ও বিনিয়োগ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। এ সময় নারীরা ঘরের বাইরে কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করে। এ সময় জনগণের মাথাপিছু আয় ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পায়।
দ্বিতীয় পর্যায় : জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়। জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি দেশের অর্থনীতি সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়। এ সময় একটি দেশের সবচেয়ে বেশি জনশক্তি কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত থাকে। এ সময় জনগণের মধ্যে সঞ্চয়ের স্পৃহা বৃদ্ধি পায়। শিল্পক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাপকহারে বাড়তে থাকে। ফলে দেশে ব্যাপকহারে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও দেশের বাইরে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করা সম্ভব হয়। এতে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে সক্ষম হয়। এ পর্যায়ের শেষ দিকে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বয়স্ক জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়। তারা কর্মক্ষেত্র থেকে অবসর নেয়। ফলে বিপুল এ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা, অবসর ভাতা, সামাজিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন খাতে সরকারকে প্রচুর রাজস্ব ব্যয় করতে হয়।
জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকাল ও বাংলাদেশ : ২৬ এপ্রিল ২০১৬ জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (UNDP) এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এখন তরুণ জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্র। এ অঞ্চলের ৪৫টি দেশের জনসংখ্যাভিত্তিক তথ্যবিশ্লেষণ করে সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশ এসব দেশের মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতির নিখুত সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এ দেশের কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ৫৬ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার ৬৬%। অর্থাৎ বাংলাদেশ এখন জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের সুবিধা ভোগ করছে। UNDP’র মতে, এ পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। ২০২১ সালে রূপকল্প বাস্তবায়ন, ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে হলে অবশ্যই জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের সুবিধাসমূহ অর্জন করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। সেগুলো হলো –
সুষ্ঠু পরিকল্পনা : জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের সুবিধা অর্জনে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সুষ্ঠু পরিকল্পনা। বিশ্বের অন্যান্য দেশ (চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, শ্রীলংকা ও ভারত) জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের সুবিধা অর্জনের লক্ষ্যে সুষ্ঠু পরিকল্পনা তৈরি করে সে অনুযায়ী কাজ করে সফল হয়েছে। তাই বাংলাদেশকেও বিশ্ববাজারের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ : যুগের চাহিদা অনুযায়ী উদ্যোগ গ্রহণে ব্যর্থ হলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থবির হয়ে যেতে পারে। শ্লথ হয়ে যেতে পারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের গতি। তাই অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা বাঞ্চনীয়।
বিনিয়োগ বৃদ্ধি : সরকারকে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য সরকারকে অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য সরকারকে অবশ্যই আমলাতান্ত্রিক ও অন্যান্য জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি : জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের সুবিধা অর্জনে বিশ্ব বাজারের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের বিপুল কর্মক্ষম মানুষকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে প্রত্যেকটি জেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টি : দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদকে দেশের উন্নয়নে অংশীদার করতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান। চাহিদা অনুযায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে না পারলে দেশে বেকারত্বের মাত্রা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। তাই সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রয়োজন।
উদ্যোক্তা সৃষ্টি : সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে দেশের সকল মানুষের চাহিদানুযায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। তাই দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে সঠিক প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে মানুষ চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেই নিজের কর্মসংস্থান করতে পারবে। এমনকি তারা অন্যের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করতে পারবে।
শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ণ : বাংলাদেশে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা বৈশ্বিক মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ শিক্ষাব্যবস্থা দিন দিন দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। তাই জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের সুবিধা অর্জনের জন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনা অত্যন্ত জরুরি। আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী, একটি দেশের মোট জিডিপি’র অন্তত ৬ শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করার কথা। কিন্তু বাংলাদেশের জিডিপি’র মাত্র ২ শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করা হয়। তাই শিক্ষাব্যবস্থাকে বৈশ্বিক মানে উন্নীত করতে হলে অবশ্যই শিক্ষাখাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থবরাদ্দ দিতে হবে।
কারিগরি শিক্ষার প্রসার : প্রতিটি নাগরিকের কর্মসংস্থানের জন্য কারিগরি শিক্ষার প্রসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় সকল নাগরিকের কর্মসংস্থান সম্ভব নয়। তাই মাধ্যমিক পর্যায় থেকেই কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে একজন শিক্ষার্থী শিক্ষা জীবন শেষ করেই কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারে।
নারীর সমাজের উন্নয়ন : দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারী সমাজকে উপেক্ষা করে কোনোভাবেই জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের সুবিধা অর্জন করা সম্ভব হবে না। নারী সমাজকে সম্পদে পরিণত করতে হলে তাদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষাজীবন শেষ করে একজন নারী যাতে নির্বিঘ্নে কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করতে পারে তার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রবাসী আয় বৃদ্ধি : বর্তমানে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়ের খাত প্রবাসীদের আয়। দেশের প্রায় এক কোটি প্রবাসী শ্রমিক বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত রয়েছে। দক্ষতার অভাবে আমাদের দেশের প্রবাসীরা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম আয় করছে। তাই জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের সুবিধা অর্জনে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে দক্ষ করে তুলতে হবে।
মানবসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা : সুষ্ঠু মানবসম্পদের ব্যবস্থাপনা ছাড়া একটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। আমাদের দেশে এমনও দেখা যায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করে কেউ একটি প্রতিষ্ঠানের হিসাব রক্ষকের কাজ করেন কিংবা কম্পিউটার সায়েন্স-এ পড়াশোনা করে কেউ রায়িং হাউজে চাকরি করছেন। তাই মানবসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চাহিদা ও সময় উপযোগী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন : বৈশ্বিক চাহিদা অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পরিকল্পনা গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই গবেষণার মাধ্যমে এর উপযোগিতা যাচাই করে দেখতে হবে।
উপসংহার : একটি জাতির জীবনে জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকাল আর্শীবাদ হিসেবেই আবিভূত হয়। এ সময় দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকায় জাতীয় জীবনে সার্বিক উন্নতি সাধিত হয়। বিশ্বব্যাংকের গবেষণা অনুযায়ী, ২০৪২ সালে বাংলাদেশে জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের সুযোগ শেষ হবে। তাই এ সুবিধা ভোগ করতে হলে বাংলাদেশকে অবশ্যই সুষ্ঠু পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। অন্যথায় রূপকল্প ২০২১, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন স্বপ্ন এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন বাংলাদেশের জন্য অধরা থেকে যাবে। এছাড়াও দেশের জনগণ দেশের সম্পদে পরিণত না হয়ে বোঝা হিসেবে আবির্ভূত হবে।