লাহোর প্রস্তাব
ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব কে উত্থাপন করেন? – শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব কত সালে উত্থাপিত হয়? – ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ।
ইংরেজ গভর্নরের পর উপমহাদেশীয় প্রথম কোন গভর্নর বাংলায় নিযুক্ত লাভ করেন? – ফিরোজ খান নুন।
লাহোর প্রস্তাবের মূলকথা কী ছিল? – স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহ গঠনের প্রস্তাব।
খাজা নাজিমুদ্দিনের নেতৃত্বে মুসলিম লীগ বাংলার মন্ত্রিসভা গঠন করে কখন? – ১৯৪৩ সালের ১৩ এপ্রিল।
মুসলিম লীগ কখন দেশব্যাপী প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস পালনের ডাক দেয়? – ১৯৪৬ সালের ১৬ মে।
দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রবক্তা কে? – মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
কে প্রথম বাংলা বিভক্ত করার প্রস্তাব দেন? – ভারত সরকারের সচিক রিজলী।
ভারতবর্ষের বিভক্তি ঘটে কখন? – ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট।
ভারতবর্ষের বিভক্তিকালে বাংলাদেশের নাম কী ছিল? – পূর্ববঙ্গ।
কবে সিলেটবাসীরা গণভোটে পূর্ববঙ্গে যোগ দেওয়ার পক্ষে রায় দেয়? – ৬ জুলাই, ১৯৪৭।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় বাংলার গভর্নর কে ছিলেন? – ফ্রেডরিক বোর্ন।
স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন? – মুহম্মদ আলী জিন্নাহ।
পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন? – লিয়াকত আলী খান।
পাকিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন? – ইস্কান্দার মির্জা।
শহীদ সোহরাওয়ার্দি কবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন? – ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬। চৌধুরী মুহম্মদ আলী সরকারের পতনের (৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৬) পর।
সোহরাওয়ার্দির পদত্যাগের পর কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন? – আই. আই, চুন্দ্রীগড়।
মালিক ফিরোজ খান নুন কবে প্রধানমন্ত্রী হন? – ১৬ ডিসেম্বর ১৯৫৭।
পাকিস্তানের প্রথম সামরিক আইন কে জারি করেন? – ইস্কান্দার মির্জা [২৭ অক্টোবর ১৯৫৮]
পাকিস্তানে প্রথম সামরিক আইনের প্রধান প্রশাসক কে নিযুক্ত হন? – জেনারেল মুহাম্মদ আইয়ুব খান।
পাকিস্তানে দ্বিতীয় সামরিক আইন কে জারি করেন? – আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান (২৫ মার্চ ১৯৬৯)।
পূর্ব বঙ্গ প্রদেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে হন? – খাজা নাজিমউদ্দিন।
ভাষা আন্দোলন
উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত কবে, কোথায় গৃহীত হয়? – ডিসেম্বর ১৯৪৭; করাচিতে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান সরকারের শিক্ষা সম্মেলনে। পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি জানান কে? – কুমল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (কংগ্রেস দলীয় সদস্য)।
‘তমুদ্দিন মজলিস’ নামক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সূত্রপাত ঘটে কখন? – ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ অধ্যাপক আবুল কাসেমের নেতৃত্বে।
‘তমুদ্দিন মজলিস’ ভাষা আন্দোলন বিষয়ক যে পুস্তিকা প্রকাশ করে তার নাম কী? – ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ পুস্তিকার লেখক কে ছিলেন? – ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ কবে গঠিত হয়, এর আহবায়ক কে ছিলেন? – অক্টোবর ১৯৪৭, নুরুল হক ভূঁইয়া।
পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে দূরত্ব কত ছিল? – ১৬০০ কি. মি. (প্রায়)।
পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন কবে বসে? – ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ (করাচীতে)।
রাষ্ট্রভাষা দাবিকে বাস্তবায়নের জন্য কবে, কোথায়, কার সভাপতিত্বে একটি সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়? – ২ মার্চ ১৯৪৮, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে কামরুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে।
‘উর্দু, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’ কে, কবে, কোথায় এ ঘোষণা দেন? – মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ২১ মার্চ ১৯৪৮ সালে ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)।
১৯৪৮ সালে করাচিতে অনুষ্ঠিত নিখিল পাকিস্তান শিক্ষা সম্মেলনে কী প্রস্তাব করা হয়? – আরবি হরফে বাংলার প্রচলন করা।
পাকিস্তান জন্মের সাথে সাথেই কী নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়? – রাষ্ট্রভাষা নিয়ে।
তৎকালীন পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা কী ছিল? – বাংলা (৫৬%), উর্দু (৬%)।
পাকিস্তান মুসলিম লীগের বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রথম কোন রাজনৈতিক দল গঠিত হয়? – পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ।
পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে ছিলেন? – যথাক্রমে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও শামসুল হক।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নাজিমউদ্দিন কবে, কোথায় উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’ ঘোষণা দেন? – ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি, ঢাকায়।
২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘ভাষা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত কে, কবে নেন? – সর্বদলীয় রাষ্টভাষা সংগ্রাম কমিটি, ৩০ জানুয়ারি ১৯৫২ সালে।
রাষ্ট্রভাষা বাংলা আন্দোলন সমর্থন করে কবে, কোন পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করা হয়? – ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে; পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকা।
‘পাকিস্তান অবজারভার’ পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক কে ছিলেন? – আব্দুস সালাম।
কবে, কোথায় সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়? – ৩১ জানুয়ারি, ১৯৫২ ঢাকা বার লাইব্রেরি হলে।
পাকিস্তান গণপরিষদের কোন অধিবেশনে উর্দু ও ইংরেজির সাথে বাংলাকে গণপরিষদের ভাষা হিসেবে গ্রহণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়? – প্রথম অধিবেশনে।
১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনের সময় তৎকালীন পাকিস্তানের জনসংখ্যার শতকরা কত ভাগ মানুষের মাতৃভাষা ছিল বাংলা? – ৫৬ ভাগ।
১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন? – খাজা নাজিমউদ্দিন।
১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন? – নূরুল আমীন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আনুষ্ঠানিকভাবে কবে উদ্বোধন করা হয়? – ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন কে? – শহীদ শফিউরের পিতা।
কী উদ্দেশ্যে, কবে পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের জন্ম হয়? – ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে একটি অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন গড়ার উদ্দেশ্যে।
কবে, কারা বর্তমান শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন? – ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ সালে পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার, মাওলানা ভাসানী ও শহীদ বরকতের মা।
বাংলা ভাষাকে পাকিস্তান গণপরিষদ কোন তারিখে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়? – ৯ মে ১৯৫৪।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে উর্দুর পাশাপাশি জাতীয় পরিষদ কবে স্বীকৃতি দেয়? – ১৯৫৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি।
১৯৫৬ সালে সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে বাংলা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে? – ২১৪ নং অনুচ্ছেদে।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সংগ্রাম পরিষদ
বা কমিটি
নাম
|
গঠন
|
আহ্বায়ক
|
প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম
পরিষদ
|
১ অক্টোবর ১৯৪৭
|
এ এস এম নরুল হক ভুঁইয়া
|
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম
পরিষদ (নতুন গঠিত)
|
জানুয়ারি ১৯৪৮
|
|
সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা
সংগ্রাম পরিষদ
|
২ মার্চ ১৯৪৮
|
কামরুদ্দিন আহমেদ
|
পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটি
|
৯ মার্চ ১৯৪৯
|
মওলানা আকরাম খাঁ (সভাপতি)
|
বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা
সংগ্রাম পরিষদ বা কমিটি
|
১১ মার্চ ১৯৫০
|
আবদুল মতিন
|
সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা
সংগ্রাম পরিষদ বা কমিটি
|
৩১ জানুয়ারি ১৯৫২
|
কাজী গোলাম মাহবুব
|