আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা
ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয় কবে? – ১৯৬৮ সালের জানুয়ারি। আগারতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামী কে ছিলেন? – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী কতজন ছিল? – ৩৫ জন।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচারের জন্য গঠিত বিশেষ আদালতের বিচারপতিদের নেতৃত্বে কে ছিলেন? – তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস. এ রহমান।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কোন আসামীকে কবে হত্যা করা হয়? – সার্জেন্ট জহুরুল হক, ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান জহুরুল হক হলের পূর্ব নাম কী ছিল? – ইকবাল হল।
কবে, কোথায় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচার কাজ শুরু হয়? – ১৯ জুন, ১৯৬৮; কুর্মিটোলা সেনানিবাসে।
গণঅভ্যুত্থান, ১৯৬৯
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কবে গঠিত হয়? – ১৯৬৯ সালের ৫ জানুয়ারি। গণঅভ্যুত্থানে নিহত আসাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন? – আইন বিভাগের।
গণঅভ্যুত্থানে আসাদ কবে শহীদ হন? – ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি।
১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি নিহত মতিউর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিল? – ঢাকার বকসিবাজার নবকুমার ইনস্টিটিউটের।
১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান কীসের ভিত্তিতে হয়? – আওয়ামী লীগের ছয় দফা, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এগার দফা এবং গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদের আট দফার ভিত্তিতে।
বর্তমান আসাদ গেটের পূর্ব নাম কী ছিল? – আইয়ুব গেট।
আসাদকে নিয়ে কোন কবি কবিতা রচনা করেন এবং কবিতার নাম কী? – কবি শামসুর রাহমান, আসাদের শার্ট।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কাকে বেয়নেট দিয়ে হত্যা করা হয়? – অধ্যাপক শামসুদ্দোহা; আসাদের শার্ট।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কাকে বেয়নেট দিয়ে হত্যা করা হয়? – অধ্যাপক শামসুদ্দোহা; ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে।
কবে শেখ মুজিবসহ জেলে আটক কারাবন্দিরা মুক্তি লাভ করেন? – ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯।
১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যক্ষ ফলাফল কী ছিল? – আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার এবং আইয়ুব খানের ক্ষমতা হস্তান্তর।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কখন প্রত্যাহার করা হয়? – ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯।
কোন কোন ছাত্র সংগঠন মিলে এগার দফা প্রণয়ন করে? – ছাত্রলীগ (তোফায়েল), ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া), ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন) এবং এনএএফ (বিদ্রোহী গ্রুপ)।
কবে, কোথায় কার উদ্যোগ শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়? – ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ রেইসকোর্স ময়দানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে তৎকালীন ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন।
কবে ফিল্ডমার্শাল আইয়ুব খান পদত্যাগ করেন? – ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯।
প্রেসিডেন্ট আইউয়ুব কবে, কার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন? – ২৫ মার্চ, ১৯৬৯। তদানীন্তন প্রধান সেনাপতি আগা মোহম্মদ ইয়াহিয়ার নিকট।
আইয়ুব খানের পর কে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন? – জেনারেল ইয়াহিয়া খান।
পূর্ব বাংলায় প্রথম চীফ সেক্রেটারি কে ছিলেন? – আজিজ আহম্মদ।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন কোথায় বসে? – ঢাকায়।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন
পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কবে? – ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদ এবং ২৭ ডিসেম্বর প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের কতটি আসন ছিল? – ১৬৯টি। (পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ছিল ৩১৩টি)।
১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কতটি আসন লাভ করে? – ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি। বাকি ২টি আসন যথাক্রমে পিডিপি ও স্বতন্ত্র সদস্য লাভ করে।
পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইন পরিষদের কতটি আসন পেয়েছিল? – ৩০০টি।
আওয়ামী লীগ প্রাদেশিক পরিষদের কতটি আসন পেয়েছিল? – ১৮২টি।
সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে ভুট্টোর দাবি কী ছিল? – দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ট দল হিসেবে ক্ষমতার অর্ধেক লাভ করা।
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান কবে, কেন আইন কাঠামো আদেশ (Legal Frame Work Order) জারি করেন? – ৩০ মার্চ, ১৯৭০। নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের দ্বারা দেশের সংবিধান রচনা করার জন্য। এক ব্যক্তি এক ভোট।
জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশনের স্থান ও তারিখ কবে কোথায় হবে বলে ঘোষণা করা হয়? – ঢাকায়; ৩ মার্চ ১৯৭১।
৩ মার্চ, ১৯৭১ এর জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান না করার কথা ভুট্টো কবে ঘোষণা করেন? – ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১।
৬ মার্চ, ১৯৭১ এর ঘোষণানুযায়ী জাতীয় পরিষদের অধিবেশন কবে বসার কথা? – ২৪ মার্চ, ১৯৭১।
৭ মার্চ, ১৯৭১ এ শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক ভাষণের বৈশিষ্ট্য কী? – অহিংস ও অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি প্রদান, স্বাধীনতার পরোক্ষা ঘোষণা, পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের অসামরিক প্রশাসন চালু করা।
ঢাকায় মুজিব ইয়াহিয়া বৈঠক কবে শুরু হয়? কত দিন পর্যন্ত আলোচনা চলে? – ১৬ থেকে ২৫ মার্চ, ১৯৭১ পর্যন্ত মোট ১০ দিন।
আলোচনা ভেঙে দিয়ে ইয়াহিয়া খান কবে ঢাকা ত্যাগ করেন? – ২৫ মার্চ রাতে।
অসহযোগ আন্দোলন ১৯৭১
- বঙ্গবন্ধু তাঁর ৭ মার্চের ভাষণে আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশ পরিচালনার ঘোষণা দেন। তিনি তাঁর ভাষণে কোর্ট-কাচারী, অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার ঘোষণা করেন।
- বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘যে পর্যন্ত আমার দেশের মুক্তি না হচ্ছে ততদিন খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করে দেয়া হলো।’ ২৫ মে জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের পূর্বশর্ত হিসেবে চারটি দাবি তিনি ঘোষণা করেন। পাকিস্তান সরকার এ দাবিগুলো মেনে না নেয়া পর্যন্ত তিনি অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন।
- পাকিস্তান সরকারও দাবিগুলো মেনে নেয়নি, ফলে বাঙালির আন্দোলন বেগবান হয়ে ওঠে।