সাধারণ জ্ঞান : সংবিধানের সংশোধনীসমূহ

সংবিধানের সংশোধনীসমূহ
বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর বিষয়বস্তু কী? – সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা।

বাংলাদেশের ১৩তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে কোনটি গ্রহণ করা হয়? – তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।

কোন সাংবিধানিক দ্বারা বাংলাদেশে ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়? – অষ্টম।

বাংলাদেশের সংবিধান থেকে সমাজতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতা কোন সালে বাদ পড়ে? – ১৯৭৮ সালে।

বাংলাদেশের সংবিধানে এখন পর্যন্ত কতটি সংশোধনী আনা হয়েছে? – ১৫ বার।

সংবিধানের কোন কোন অংশ সংশোধনের জন্য গণভোটের প্রয়োজন হয়? – সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং ৮, ৪৮, ৫৬ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধনের জন্য গণভোটের প্রয়োজন হয়।

বাংলাদেশের সংবিধানে এ পর্যন্ত কতটি সংশোধনী আনা হয়েছে? – ১৬টি (২০১৪ পর্যন্ত)।

সংবিধান সংশোধনের জন্য কত শতাংশ ভোটের প্রয়োজন হয়? – দুই-তৃতীয়াংশ।

সংবিধান সংশোধন বিল রাষ্ট্রপতি কতদিনের মধ্যে পাশ করবেন? – ৭দিন।

বেরুবাড়ীকে ভারতের নিকট হস্তান্তর করা হয় কোন সংশোধনীর মাধ্যমে? – ৩য় সংশোধনী, ২৭ নভেম্বর, ১৯৭৪।

বাংলাদেশের সংবিধান থেকে সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা বা পড়ে কবে? – ১৯৭৮ (৫ম সংশোধনী)।

বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রবর্তিত হয় কোন সংশোধনীর মাধ্যমে? – পঞ্চম (৩ মার্চ, ১৯৭৬)।

সংবিধানের মূল চার নীতির পরিবর্তন হয় কোন সংশোধনীর মাধ্যমে? – ৫ম সংশোধনী, ৬ এপ্রিল, ১৯৭৯।

সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনঃ প্রবর্তিত হয় কোন সংশোধনীর মাধ্যমে? – দ্বাদশ, ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৯১।

৯৩ হাজার যুদ্ধ বন্দীদের বিচার অনুষ্ঠান কোন সংশোধনীর মাধ্যমে হয়? – ১ম সংশোধনী, ১৫ জুলাই, ১৯৭৩।

সংবিধানের কততম সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতির পরিবর্তে একদলীয় রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়েছিল? – চতুর্থ।

সংবিধানের কোন সংশোধনীর অংশ বিশেষ সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক বাতিল ঘোষণা করা হয়? – অষ্টম সংশোধনীর অংশবিশেষ।

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় কত সালে? – ১৯৯১ সালে। ১৯৯৬ সালে সাংবিধানিকভাবে।

ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম করা হয় কততম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে? – অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে, ১৯৮৮ সালে।

প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের বৈধতা প্রদান এবং সংবিধানিক আইনের সংশোধন কল্পে বাংলাদেশে এ যাবৎ কয়টি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে? – তিনটি। দু’বার প্রশাসনিক গণভোট এবং একবার সাংবিধানিক গণভোট।

বাংলাদেশে তৃতীয় গণভোট অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য কী ছিল? – সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী আইন প্রস্তাব।

বাংলাদেশের ১৩তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে কোনটি গ্রহণ করা হয়? – নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। (ষষ্ঠ সংসদে)।

সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী পাশ হয় কত তারিখে? – ১৬ মে ২০০৪।

সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর বিষয়বস্তু কী? – ৪৫টি নারী আসন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি সংরক্ষণ, বিচারপতি, পিএসসি চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং সিএজির সয়সসীমা নির্ধারণ, অর্থবিল সংশোধন, সংসদ সদস্যের শপথ পাঠ সংক্রান্ত।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কবে পাশ হয়? – ৩০ জুন ২০১১।

সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন ২০১১ এ রাষ্ট্রপতি কবে স্বাক্ষর করেন? – ৩ জুলাই ২০১১।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মূল বিষয়বস্তু কী ছিল? – প্রস্তাবনার সংশোধন, ৭২-এর মূলনীতি পুনর্বহাল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত, নারীদের জন্য ৫০ আসন সংরক্ষণ, ইসি’র ক্ষমতা বৃদ্ধি, ১২নং অনুচ্ছেদ সংযোজন, অবৈধ ক্ষমতা দখলে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান, ৭ মার্চের ভাষণ ও স্বাধীনতার ঘোষণা সংযোজন ইত্যাদি।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাশ হয় কত তারিখে? – ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়বস্তু কী? – জাতীয় সংসদ কর্তৃক বিচারপতিদের অপসারণ।


ধারাবাহিক ভাবে সংবিধানের সংশোধনীসমূহের উপর সাধারণ জ্ঞান দেখুন :


1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post