পঞ্চম সংশোধনী
উত্থাপন – ৪ এপ্রিল, ’৭৯
গৃহীত – ৫ এপ্রিল, ’৭৯
রাষ্ট্রপতির অনুমোদন – ৬ এপ্রিল ’৭৯
বিষয়বস্তু :
বিষয়বস্তু :
এ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধভাব ক্ষমতা গ্রহণের মানসিকতাকে উৎসাহিত করা হয় এবং ’৭৫ থেকে ’৭৯ পর্যন্ত জারিকৃত সকল ফরমানসমূহের বৈধতা দান করা হয়। এ সংশোধনীর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য –
উত্থাপনকারী – শাহ আজিজুর রহমান
উত্থাপন – ১ জুলাই ’৮১
গৃহীত – ৯ জুলাই ’৮১
রাষ্ট্রপতির অনুমোদন – ৯ জুলাই ’৮১
বিষয়বস্তু :
গৃহীত – ১০ নভেম্বর ’৮৬
রাষ্ট্রপতির অনুমোদন – ১১ নভেম্বর ’৮৬
বিষয়বস্তু :
- সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ সংযোজন।
- চার মূলনীতির অন্যতম সমাজতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতাকে উপড়ে ফেলা হয় এবং জাতীয়তাবাদের প্রবর্তন করা হয়।
- সংবিধানের প্রস্তুাবনায় ‘মুক্তিসংগ্রাম’ শব্দগুচ্ছের পরিবর্তে ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ’ শব্দগুচ্ছ সন্নিবেশিত করা হয়।
- ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বৈধ করা হয়। [এ সংশোধনীকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করে]
ষষ্ঠ সংশোধনী
উত্থাপন – ১ জুলাই ’৮১
গৃহীত – ৯ জুলাই ’৮১
রাষ্ট্রপতির অনুমোদন – ৯ জুলাই ’৮১
বিষয়বস্তু :
এ সংশোধনী ছিল এক ব্যক্তি ও দলের স্বার্থ চরিতার্থের জন্য। প্রেজিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত দলটির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নির্বাচনের জন্যই এ সংশোধনী আনা হয়। ইতোপূর্বে সংবিধানে উল্লেখ ছিল যে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির পদকে অলাভজনক ঘোষণা করা হয় এবং উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত করা হয়।
সপ্তম সংশোধনী
উত্থাপনকারী – এ কে এমন নুরুল ইসলাম
উত্থাপন – ১০ নভেম্বর ’৮৬ গৃহীত – ১০ নভেম্বর ’৮৬
রাষ্ট্রপতির অনুমোদন – ১১ নভেম্বর ’৮৬
বিষয়বস্তু :
এটি ছিল পঞ্চম সংশোধনীর ধারাবাহিকা মাত্র। পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে উত্থাপিত ও গৃহীত এই বিলটি একই দিনে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাভ করে। এ সংশোধনীর মাধ্যমে জেনারেল এরশাদ তার সামরিক শাসন আমলে গৃহীত সকল অবৈধ ফরমানসমূহের বৈধতা দান করে। এছাড়া ৯৬ অনুচ্ছেদের ১নং দফায় ‘বাষট্টি’ শব্দের পরিবর্তে ‘পয়ষট্টি’ শব্দটি প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
অষ্টম সংশোধনী
উত্থাপন – ১১ মে ’৮৮
গৃহীত – ৭ জুন ’৮৮
রাষ্ট্রপতির অনুমোদন – ৯ জুন ’৮৮
বিষয়বস্তু :
- এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান হতে চূড়ান্তভাবে ধর্মনিরপেক্ষতাকে উঠিয়ে দেয়া হয়।
- ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা।
- হাইকোর্ট বিভাগের ছয়টি বেঞ্চ স্থাপন।
- বিদেশী রাষ্ট্র থেকে কোন ভূষণ বা উপাধি গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা।
- রাজধানীর বানান ও ভাষার নাম পরিবর্তন।
নবম সংশোধনী
উত্থাপন – ৬ জুলাই ’৮৯
গৃহীত – ১০ জুলাই ’৮৯
রাষ্ট্রপতির অনুমোদন – ১১ জুলাই ’৮৯
বিষয়বস্তু :
- এ সংশোধনীর মাধ্যমে মার্কিনী কায়দায় রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি জনগণের পত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হওয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
- এক ব্যক্তির দুই মেয়াদের অধিক প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় এবং বিভিন্ন প্রেসিডেন্সিয়াল নিয়ম-কানুন জারি করা হয়। অবশ্য দ্বাদশ সংশোধনীর পর এ সংশোধনীর আর কার্যকারিতা নেই।
দশম সংশোধনী
উত্থাপন – ১০ জুন ’৯০
গৃহীত – ১২ জুন, ’৯০
রাষ্ট্রপতির অনুমোদন – ২৩ জুন, ’৯০
বিষয়বস্তু :
এ সংশোধনীর মাধ্যমে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ৩০টি মহিলা আসনকে আরো ১০ বছরের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছিল।
একাদশ সংশোধনী
উত্থাপন – ২ জুলাই ’৯১
গৃহীত – ৬ আগস্ট ’৯১
রাষ্ট্রপতির অনুমোদন – ১০ আগস্ট ’৯১
বিষয়বস্তু :
- এ সংশোধনীর মাধ্যমে তিন জোটের অঙ্গীকার অনুযায়ী অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি পূর্বপদে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
- অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির সকল কর্মকাণ্ডের বৈধতা প্রধান করা হয়।
দ্বাদশ সংশোধনী
উত্থাপন – ২ জুলাই ’৯১
গৃহীত – ৬ আগস্ট ’৯১
রাষ্ট্রপতির অনুমোদন – ১৮ সেপ্টেম্বর ’৯১
বিষয়বস্তু :
- এ সংশোধনীর মূল লক্ষ্য ছিল তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির পরিবর্তে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রবর্তন।
- এ সংশোধনী মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বা তাঁর কর্তৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সকল নির্বাহী ক্ষমতা প্রযুক্ত হয় এবং সরকারের সকল নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির নামে পৃহীত হয় বলে ঘোষণার ব্যবস্থা করা হয়। প্রকৃতপক্ষে এ সংশোধনী ছিল জনগণের প্রত্যাশার সাতে সঙ্গতিপূর্ণ।
ধারাবাহিক ভাবে সংবিধানের সংশোধনীসমূহের উপর সাধারণ জ্ঞান দেখুন :
- সংবিধান সংশোধনীসমূহ ও বিষয়বস্তু (প্রথম থেকে চতুর্থ সংশোধনী)
- সংবিধান সংশোধনীসমূহ ও বিষয়বস্তু (পঞ্চম থেকে দ্বাদশ সংশোধনী)
- সংবিধান সংশোধনীসমূহ ও বিষয়বস্তু (ত্রয়োদশ থেকে ষোড়শ সংশোধনী)