রাজনৈতিক দলসমূহের গঠন, ভূমিকা ও কার্যক্রম
আওয়ামী মুসলিম লীগের ছয় দফা কোন সালে পেশ করা হয়েছিল? – ১৯৬৬সালে।
বাংলাদেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা কত? – ৪০টি।
রাজনৈতিক দল এমন এক জনসংগঠন যার সদস্যগণ রাষ্ট্রের সমস্যা সম্পূর্ণ ঐক্যমত পোষণ করে এবং নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট হয়।
রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন রূপ
সংখ্যার ভিত্তিতে দলীয় ব্যবস্থাকে প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে বিভক্তি করা হয় – একদলীয় ব্যবস্থা, দ্বিদলীয় ব্যবস্থা এবং বহুদলীয় ব্যবস্থা।
একদলীয় শাসন ব্যবস্থা : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে জার্মানিতে হিটলারের ‘নাৎসিদল’, ইতালিতে মুসোলিনীর ‘ফ্যাসিস্ট দল’ এবং ১৯১৭ সোভিয়েত রাশিয়ার একদলীয় সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়।
দ্বি-দলীয় ব্যবস্থা : দ্বি-দলীয় ব্যবস্থায় সাধারণত রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রধান দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টি এবং প্রেট ব্রিটেনে রক্ষণশীল দল ও শ্রমিক দল দ্বিদলীয় ব্যবস্থার উজ্জ্বল উদাহরণ।
বহুদলীয় ব্যবস্থা : একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যখন দুটির বেশি দল রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের লড়াইয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করে, তখন তাকে ‘বহুদলীয় ব্যবস্থা’ বলে।
রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম
রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণ উপায়ে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার বদলে সাহায্য করে। সরকার পরিবর্তনের জন্য বিপ্লব বা বিদ্রোহের প্রয়োজন হয় না।
গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় রাজনৈতিক শক্তির মূল উৎস হলো জনগণ। গণতন্ত্রকে সফল করতে হলে প্রয়োজন সক্রিয়, সচেতন ও সদাজাগ্রত জনমত।
গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় বিভিন্ন প্রকার স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে নিজেদের দাবি সরকারের নিকট তুলে ধরে এভাবে রাজনৈতিক দল স্বার্থের গ্রন্থিকরণ করতে সাহায্য করে।