গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসমূহ
বাংলাদেশ সংবিধানের কত নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে কর্ম কমিশন গঠিত হচ্ছে? – ১৩৭ নং (দায়িত্ব ১৪০নং অনুচ্ছেদে)।
বাংলাপিডিয়া প্রকাশের উদ্যোক্তা কে? – বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি।
বাংলা একাডেমি
বাংলা একাডেমি ভবনের পুর্বতন নাম কী? – বর্ধমান হাউস।
বাংলা একাডেমি কে উদ্বোধন করেন? – পূর্ব বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার।
বাংলা একাডেমি’র প্রথম মহাপরিচালক কে? – ড. মাযহারুল ইসলাম।
কবে থেকে বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রবর্তিত হয়? – ১৯৬০ সাল থেকে।
’বাংলা একাডেমী’ নামের বানান ‘বাংলা একাডেমি’ কবে করা হয়? – ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
বাংলা একাডেমি কবে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করে? – ২০১০ সালে।
বাংলা একাডেমি’র প্রথম প্রকাশনা কোনটি? – বাংলা একাডেমী পত্রিকা (১৩৬৩ বঙ্গাব্দ, ইংরেজি ১৯৫৭)।
‘নজরুল চত্বর’ ও ‘নজরুল মঞ্চ’ কোথায় অবস্থিত? – বাংলা একাডেমী।
বাংলা একাডেমি’র মূল ভবনে কবে ‘ভাষা আন্দোলন জাদুঘর’ উদ্বোধন করা হয়? – ১ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
এশিয়াটিক সোসাইটি
এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা কে? – স্যার উইলিয়াম জোনস।
স্যার উইলিয়াম জোনস কে? – সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন কনিষ্ঠ বিচারক। (বাংলাপিডিয়া সূত্রে)
পাকিস্তান এশিয়াটিক সোসাইটি কবে প্রতিষ্ঠিত হয়? – ৩ জানুয়ারি ১৯৫২।
এশিয়াটিক সোসাইটির প্রকৃতি কীরূপ? – এটি একটি আন্তর্জাতিক অরাজনৈতিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (BPSC)
বাংলাদেশ সংবিধানের কত নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে কর্ম কমিশন গঠিত হয়েছে? – ১৩৭ নং (কর্মকমিশনের দায়িত্ব ১৪০ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত)।
কমিশনের সদস্যগণের পদমর্যাদা কাদের সমান? – সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সমান।
কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ কিভাবে অপসারিত হন? – জাতীয় সংসদ কর্তৃক চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ অপসারিত হবেন। [বাংলাদেশ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অনুযায়ী, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ জাতীয় সংসদে পাশ হয়।]
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আঞ্চলিক অফিস কয়টি ও কোথায় অবস্থিত? – ৫টি। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এবং সিলেট।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রথম চেয়ারম্যান কে? – ড. এ. কিউ. এম. বজলুল করিম। (১৫.০৫.১৯৭২ – ১৫.১২.১৯৭৭)
বাংলাদেশে সরকারি কর্ম কমিশনের প্রথম মহিলা চেয়ারম্যান কে? – অধ্যাপিকা ড. জেড. এন. তাহমিদা বেগম।
সরকারি কর্ম কমিশনের বর্তমান সদস্য কত জন? – ১৩ জন। [চেয়ারম্যান ১ জন, সদস্য ১৩ জন ও সচিব ১ জন (১৪ জানুয়ারি ২০১৫)]
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (BCS) ক্যাডার কতটি? – ২৮টি। (কারণ বিসিএস বিচার বর্তমানে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায়।)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার সমূহ :
১ সেপ্টেম্বর ১৯৮০ সালে সরকারি সিভিল সার্ভিস কাঠামোকে ১৪টি ক্যাডার এবং ১৪টি সাব-ক্যাডারে (সর্বমোট ২৮টি ক্যাডার ও সাব-ক্যাডার) পুনর্গঠিত করে। এরপর সিভিল সার্ভিসকে মোট ৩০টি ক্যাডারে বিভক্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে সরকার বিসিএস (সচিবালয়) ক্যাডারকে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের সাথে একীভূত করে। ফলে সিভিল সার্ভিস ক্যাডারের সংখ্যা হয় ২৯টি। ২০০৭ সালে ‘বিচার’ ক্যাডারকে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে ন্যস্ত করায় বর্তমানে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডারের সংখ্যা ২৮ টি।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
বাংলাদেশের প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে ছিলেন? – বিচারপতি এম. ইদ্রিস।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে? – কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ (একাদশ)।
বাংলাদেশ সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা বিষয়ক বিধান রয়েছে? – ১১৮ অনুচ্ছেদে।
নির্বাচন সম্পর্কে জাতীয় সংসদের বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে? – ১২৪নং অনুচ্ছেদে।
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের কথা উল্লেখ আছে? – ১১৯ (১) ও ১১৯ (২) অনুচ্ছেদে।
ভোটার তালিকায় নামভুক্তির যোগ্যতা সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে? – ১২২নং অনুচ্ছেদে।
বাংলাদেশে প্রথম ভোটার তালিকা কবে প্রণয়ন করা হয়? – ৩০ জানুয়ারি, ১৯৭৩ সালে।
ন্যাশনাল আইডি কার্ড কবে প্রণয়ন হয়েছে? – ২০০৭ সাল থেকে।
বাংলাদেশে প্রথম EVM পদ্ধতির ব্যবহার করা হয় কোথায়? – ২০০৭ সালে ঢাকার অফিসার্স ক্লাবের কার্যকরী সংসদ নির্বাচনে।
বাংলাদেশে Electronic Voting Machine (EVM) এর উদ্ভাবক কে? – প্রকৌশলী ড. এস এম লুৎফুল কবির।
বিশ্বের প্রথম EVM পদ্ধতি চালু হয় কবে, কোথায়? – ১৯৬০ সালে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
প্রথমবারের মতো পুরো নির্বাচনে EVM পদ্ধতির মাধ্যমে ভোট দেয়া হয় কবে, কোথায়? – ৫ জানুয়ারি ২০১২ সালে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে।
সর্বশেষ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী দেশে মোট ভোটার কত? – ৯,৬১,৯৮,৬৫২ জন (পুরুষ ৪,৮৪,৫১,৬৪২ জন এবং মহিলা ৪,৭৭,৪৭,০১০ জন)।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
দুর্নীতি দমন কমিশন কত সদস্য বিশিষ্ট? – ৩ সদস্য বিশিষ্ট (১ জন চেয়ারম্যান ও ২ জন সদস্য)।
দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান কে? – বিচারপতি সুলতান হোসেন খান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সদস্যদের পদমর্যাদা কী? – হাইকোর্টের বিচারপতির সমান (সাংবিধানিক পদ)।
দুর্নীতি দমন কমিশনের মেয়াদকাল কত বছর? – ৪ বছর। (কার্যালয় – ঢাকার আগারগাঁও)।
দুর্নীতি দমন কমিশনের অধীন প্রথম মামলা হয় কোথায়? – বরিশালে।
পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রথম দুর্নীতি দমন কমিশন কোনটি? – বাংলাদেশের স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন।
দুর্নীতি দমন কমিশন কোন প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে গঠিত হয়? – দুর্নীতি দমন ব্যুরো। (২১ নভেম্বর ২০০৪ সালে।)
মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (CAG)
Comptroller and Auditor General (CAG) এর পদ সৃষ্টি করা হয় কবে? – ১৯৭৩ সালে। (কাকরাইল, ঢাকা)
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক নিয়োগ দেয়া হয়? – ১২৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী।
ভারত উপমহাদেশে প্রথম মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক পদে নিয়োগ দেয়া হয় কবে? – ১৮৫৮ সালে।
বাংলাদেশের প্রথম মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কে? – এফ কে এম এ বাকুয়ি (১১ মে ১৯৭৩-৩১ ডিসেম্বর ১৯৭৫)
মহা হিসাব নিরীক্ষক কত সময়কাল পর্যন্ত তার পদে বহাল থাকেন? – ৬৫ বছর বয়স অথবা দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার মধ্যে যেটি আগে ঘটে।
মহা হিসাব নিরীক্ষক কী উপায়ে পদত্যাগ করেন? – তিনি রাষ্টপতিকে উদ্দেশ্য করে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করতে পারেন। [অনুচ্ছেদ ১২৯(৩)]
মহা হিসাব নিরীক্ষাকের বার্ষিক রিপোর্ট সম্পর্কে ১৩২ ধারায় কী বলা হয়েছে? – প্রজাতন্ত্রের হিসাব সম্পর্কিত মহাহিসাব নিরীক্ষকের রিপোর্টসমূহ রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হবে এবং রাষ্ট্রপতি তা সংসদে পেশ করার ব্যবস্থা করবেন।
মহা হিসাব নিরীক্ষককে অপসারণ করার ক্ষেত্রে তদন্তকারী ক্ষমতাশালী প্রতিষ্ঠানের নাম কী? – সুপ্রিম জুড়িশিয়াল কাউন্সিল।
Thank You
ReplyDelete