বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন চুক্তি ও সনদ
গঙ্গা পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় কবে? – ১২ ডিসেম্বর ১৯৯৬।
টিপাইমুখ বাঁধ ভারতের কোন রাজ্যে অবস্থিত? – মণিপুর রাজ্যের চুয়াচাঁদপুর জেলায়।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ট্রেন চলাচল চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়? – ৪ জুলাই ২০০০।
ঢাকা-কলকাতা বাস চলাচল চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়? – ১৭ জুন ১৯৯৯।
বাংলাদেশ CTBT চুক্তি স্বাক্ষর করে কোন তারিখে? – ২৪ অক্টোবর ’৯৬ (১২৯তম দেশ হিসেবে)।
শান্তি বাহিনীর রাজনৈতিক সংগঠনের নাম কী? – জনসংহতি।
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি কত বছরের জন্য স্বাক্ষরিত হয়? – ২৫ বছর।
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কে কে? – বাংলাদেশের পক্ষে শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের পক্ষে ইন্দিরা গান্ধী।
বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত সীমান্ত চুক্তিটি ভারতের লোকসভায় কবে পাশ হয়? – ০৭ মে ২০১৫। (রাজ্যসভায় পাস হয় – ০৬ মে ২০১৫ খ্রি.)
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী ছিটমহল বিনিময় কার্যকর হয় কবে? – ১ আগস্ট ২০১৫।
[এর ফলে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশ পাবে আর আয়তন ১৭ হাজার ১৬০ একর আর ভারতের ভূখণ্ডে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারত পাবে যার আয়তন ৭ হাজার ১১০ একর। সীমান্ত চুক্তি প্রটোকল অনুযায়ী যাঁরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে ফিরতে চান, তাঁরা নভেম্বর ২০১৫ এর মধ্যে চলে যেতে হবে। এ ছাড়া দুই দেশের ছিটমহলের অন্য লোকজন যে যেখানে আছেন, সেখানেই থেকে যাবেন।]
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে অপদখলীয় জমি কোন দেশ কতটুকু পায়? – বাংলাদেশ পায় ৬টি স্থানে ২২৬৭.৬৮২ একর এবং ভারত পায় ১২টি স্থানে ২৭৭৭.০৩৮ একর।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে অমীমাংসিত সীমানার কতটুকু চিহ্নিত হয়? – ৪.৫ কিলোমিটার আর ফেনীর মহুরীর চরের ২ কিলোমিটার সীমানা অচিহ্নিত থেকে যায়।
গঙ্গা পানি চুক্তি
গঙ্গা পানি চুক্তি কত বছরের জন্য স্বাক্ষরিত হয়? – ৩০ বছরের। (নয়াদিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউসের মুঘল ডাউনিং হলে।)
গঙ্গা পানি চুক্তিতে কে কে স্বাক্ষর করেন? – বাংলাদেশের পক্ষে শেখ হাসিনা এবং ভারতের পক্ষে দেব গৌড়া।
গঙ্গার পানি বণ্টন সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের শীর্ষ বৈঠক প্রথম কবে অনুষ্ঠিত হয়? – ১৯৭৪ সালের ১৬ মে।
মার্শাল টিটোর মধ্যস্থতার পর দু দেশের মধ্যে ৫ বছর মেয়াদী এই চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়? – ১৯৭৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর।
প্রথম পঞ্চবার্ষিকী গঙ্গা চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় কবে? – ১৯৮২ সালে।
ভারত কখন ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে? – ১৯৬১-১৯৭৪ সালে। লম্বা- ৭,৩৬৩ ফুট।
বাংলাদেশ ফারাক্কা প্রসংগে জাতিসংঘে উত্থাপনের পর ভারত বাংলাদেশের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন? – যুগোস্লাভিয়ার তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো।
জাতিসংঘের কোন অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফারাক্কা ইস্যু উত্থাপন করা হয়? – ৩১তম অধিবেশনে (জিয়াউর রহমান ১৯৭৬)।
জাতিসংঘের দ্বিতীয়বারের মত গঙ্গার পানি প্রবাহ প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়? – ১৯৯৩ সালে।
ফারাক্কা বাঁধ চালু হয় কবে? – ১৯৭৫ সালে।
ফারাক্কা বাঁধ প্রসঙ্গে যেসব সম্মেলন উত্থাপন করা হয়
যে সম্মেলনে উত্থাপিত
|
সময়কাল
|
সম্মেলনে স্থান
|
ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
|
মে ১৯৭৬
|
ইস্তাম্বুল, তুরস্ক
|
ন্যাম শীর্ষ সম্মেলন
|
আগস্ট ১৯৭৬
|
কলম্বো, শ্রীলংকা
|
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের
৩১তম অধিবেশন
|
১৯৭৬
|
ইউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
|
কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলন
|
অক্টোবর ১৯৯৩
|
সাইপ্রাস
|
দ্বিতীয়বার জাতিসংঘ সাধারণ
পরিষদে উত্থাপিত
|
১৯৯৫
|
নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
|
টিপাইমুখ বাঁধ
টিপাইমুখ বাঁধ ভারতের কোন রাজ্যে অবস্থিত? – মণিপুর রাজ্যের চুয়াচাঁদপুর জেলায়।
ভারত টিপাইমুখ বাঁধ কোন নদীর ওপর নির্মাণ করেছে? – বরাক নদী। সিলেট জেলার অমলসীদ থেকে ১০০ কিমি।
টিপাইমুখ বাঁধ সমুদ্র সমতল থেকে কত মিটার উঁচুতে? – প্রায় ৫৯০ ফুট বা ১৮০ মিটার। দৈর্ঘ্য ১৫০০ ফুট বা ৫০০ মিটার।
টিপাইমুখ বাঁধের নির্মাণ কবে উদ্ভোধন করা হয়? – ২৪ নভেম্বর ২০০৫।
পার্বত্য শান্তি চুক্তি
পার্বত্য শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কে কে? – বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চীন হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংহতি সমিতির পক্ষে জোতিন্দ্র বধিপ্রিয় লারমা (সন্তুলারমা)।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের অভিষেখ সম্পন্ন হয় কবে? – ২৭ মে, ১৯৯৯।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি অনুযায়ী আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত? – ২২ জন (চেয়ারম্যানসহ)।
অন্যান্য চুক্তি
HANA কী? – Humanitarian Assistance Needs Assesment.
বাংলাদেশ CTBT চুক্তি অনুমোদন করে কোন তারিখে? – ৮ মার্চ ২০০০ (২৮তম)।
CTBT এর পূর্ণরূপ কী? – Comprehensive Test Ban Treaty.
ঢাকা-ইয়াঙ্গুন রুটে কবে পুনরায় বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়? – ২৯ আগস্ট ২০১৩।
১৫ জানুয়ারি ২০১৩ বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে কি কি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়? – (১) পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রস্তুতিমূলক কাজে অর্থায়নে সহযোগিতার চুক্তি, (২) অস্ত্র ক্রয় সংক্রান্ত ঋণ চুক্তি এবং (৩) পরমাণু শিল্প ও তথ্যকেন্দ্র স্থাপন চুক্তি।
বাংলাদেশ ও বেলারুশের মধ্যে কি কি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়? – দ্বৈত কর পরিহার ও পণ্য রফতানি ঋণ সংক্রান্ত চুক্তি। (৯ জুলাই ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত হয়)