রচনা : বিশ্ব পরিবেশ দিবস : ৫ জুন

ভূমিকা : পরিবেশ মানবসভ্যতার এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সভ্যতার ক্রমবিকাশ থেকেই মানুষ ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছে তার পরিবেশ। মানুষের রচিত পরিবেশ তারই সভ্যতা-বিবর্তনের ফসল। পরিবেশই প্রাণের ধারক, জীবনীশক্তির যোগানদার। যুগে যুগে পরিবেশ বা পারিপার্শ্বিকের সঙ্গে প্রাণীর মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতার ওপরেই তার অস্তিত্ব নির্ভরশীল। পরিবেশ প্রতিকূল হলে জীবের ধ্বংস ও সর্বনাশ অবশ্যম্ভাবী। পরিবেশের বিরুদ্ধতা বেঁচে থাকার পথকে অবলীলাক্রমে রুদ্ধ করে। পরিবেশের ওপর সম্পৃক্ত হয়ে মানুষ, অন্যান্য উদ্ভিদ ও প্রাণী-জীবনের বিকাশ ঘটে। তাই পরিবেশ ও মানুষের মধ্যে রয়েছে এক নিবিড় যোগসূত্র। কিন্তু নানা কারণে পরিবেশ দূষণ সমস্যা প্রকট হওয়ায় মানবসভ্যতা আজ চরম হুমকির সম্মুখীন। এ থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। এ ব্যাপারে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসংঘ ৫ জুনকে ঘোষণা করেছে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে।

পরিবেশ দূষণের কারণ : পরিবেশ দূষণের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তন্মধ্যে প্রধান কয়েকটি কারণ নিম্নরূপ :
১। জনসংখ্যা বৃদ্ধি
২। অপরিকল্পিত নগরায়ন
৩। বনভূমির অপরিকল্পিত ব্যবহার
৪। প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার
৫। দ্রুত শিল্পায়ন
৬। সার ও কীটনাশকের ব্যবহার
৭। বনভূমি উজাড়
৮। কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ
৯। গাড়ির বিষাক্ত ধোঁয়া
১০। ওজোন স্তরের ক্রমাবনতি
১১। এসিড বৃষ্টি
১২। অপরিকল্পিত গৃহ নির্মাণ
১৩। দারিদ্র্যতা
১৪। প্রসাধন সামগ্রী
১৫। প্লাস্টিক ইত্যাদি।

দূষণের ভয়াবহতা : মানুষ একদিন প্রকৃতিকে জয় করার নেশায় মেতেছিল। প্রকৃতিকে জয় করেও মানুষের সেই নেশার অবসান হল না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ জলে স্থলে মহাশূন্যে আধিপত্য বিস্তার করল। কিন্তু মানুষের এই বিজয় মানুষকে এক পরাজয়ের মধ্যে ফেলে দিল। আজ আমরা এক ভয়ঙ্কর সংকটের মুখোমুখি। এ সংকট কোনো বিশেষ দেশের নয়, বিশেষ জাতির নয়। এ সংকট আজ বিশ্ব জুড়ে। বিশ্বের পরিবেশ আজ নানাভাবে দূষিত। এই দূষণ আজ ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সেই ভয়াবহ দিনের কথা স্মরণ করেই আজ বিশ্বের মানুষ এগিয়ে এসেছে। ৫ জুন সেই বিশেষ দিন। এই দিন সব দেশের ঐক্যবদ্ধভাবে সক্রিয় হওয়ার দিন।

ভয়াবহ পরিবেশ-দূষণের কবলে পড়ে আজ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ শঙ্কায় ধুঁকছে। অপেক্ষা করছে এক মহাধ্বংস। আজ জলে বিষ। বাতাসে আতঙ্ক। মাটিতে মহাত্রাস। আজ বিগত ষাট বছরে ৭৬টির বেশি প্রজাতির প্রাণী নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কয়েক’শ প্রজাতির গাছপালা বিলুপ্ত। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। এ পরিণামে বাতাসে প্রতিবছর ২০ কোটি টন কার্বন মনোক্সাইড সঞ্চিত হচ্ছে। বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড, গ্যাসের আনুপাতিক হার ক্রমশ বাড়ছে। তার ফলে বৃষ্টির জলে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হচ্ছে। এই অ্যাসিড বর্ষণ অরণ্যে মহামারীর সৃষ্টি করছে। খাদ্যশস্যকে বিষাক্ত করছে। দ্রুত গতিতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সবুজ অরণ্য। সারা বিশ্বে বর্তমান মোট ৮০ শতাংশ হল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অরণ্য। এর মধ্যে প্রতি মিনিটে ২০ হেক্টর কৃষিযোগ্য জমি বন্ধ্যা হয়ে গেছে। প্রতিবছর ৭০ লক্ষ হেক্টর জমি মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। প্রতি মিনিটে ৪৫ হেক্টর উর্বর জমি বালুকাকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিবছর বাতাসে বিপুল পরিমাণ অক্সিজেন কমছে। বিজ্ঞানের অপব্যবহারে ভূ-প্রকৃতির ওপর অত্যাচার বাড়ছেই। শস্য রক্ষার জন্য নানা ধরনের কীটনাশক ওষুধ তৈরি ও প্রয়োগ হচ্ছে। এইসব বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্যের অনুপ্রবেশ ঘটছে মানুষের শরীরে। পরিবেশ দূষণের জন্য পৃথিবীর ৮০ শতাংশ নতুন নতুন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ অব্যাহত থাকলে বৈজ্ঞানিকদের আশঙ্কা পৃথিবীপৃষ্টের উষ্ণতা এক-দুই ডিগ্রি বেড়ে বা কমে যেতে পারে। এর ফলে পৃথিবীর বহু জায়গা ভেসে যাবে বা প্রচণ্ড তুষারপাতে জমাট বেঁধে যাবে। বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তরের আয়তন ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। ফলে সূর্যের মারাত্মক অতিবেগুনি রশ্মি প্রাণিজগৎকে স্পর্শ করবে। দূষণের ফলে উদ্ভিদ ও জীবজগৎ আজ বিপন্ন। সমুদ্রে-নদীতে-জলাশয়ে মাছের সংখ্যা কমছে। মাছের নানা রোগ দেখা দিচ্ছে।

শব্দদূষণ : জল মাটি বায়ু ছাড়াও আরও এক ধরনের দূষণ আজ মানুষকে এক ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছে। বর্তমান সভ্যতার এ এক অপ্রতিরোধ্য পরিণতি। শব্দদূষণের ক্ষতি ধীরে ধীরে ও অপ্রত্যক্ষভাবে ঘটে। শব্দদূষণ শুধু শ্রমশক্তিকেই দুর্বল করে না, মানুষের স্বাস্থ্যেরও প্রভূত ক্ষতি করে। মাথা ধরা, ক্লান্তি, অনিদ্রা, ক্ষিধের অভাব, বমির উদ্রেক – এগুলোরও অন্যতম কারণ শব্দ দূষণ। এই দূষণ আন্ত্রিক ক্ষতেরও সৃষ্টি করে। শব্দ শরীরে ও মনে বিরূপ আবেগের সৃষ্টি করে, নানারকম পরিবর্তন ঘটায়। শব্দবিবর্ধক যন্ত্রের যথেষ্ট ব্যবহার, এয়ার হর্ন বাজানো, ডিজেল চলিত জেনারেটর চালানো, দুমদাম বোমা পটকা ফাটানো, প্রবল শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতির ব্যবহার, মিছিল-মিটিং-এ হঠাৎ হঠাৎ চিৎকার, মাইকে চড়া সুরে গান, উৎসব-অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্রের উৎকট ব্যবহার ইত্যাদি শব্দদূষণের কারণ।

বিশ্বপরিবেশ দিবসের গুরুত্ব : আজ সবচেয়ে জরুরি, বিশ্বপরিবেশ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা। সচেতন করা পরিবেশ দূষণের ভয়াবহতা সম্পর্কে। এ দিনটি তাই নিছক আনন্দ-অনুষ্ঠানের দিন নয়। শুধু বক্তৃতা বা আলোচনাও এর একমাত্র লক্ষ্য নয়। প্রয়োজন দিনটির গুরুত্ব উপলব্ধি করা। বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রই প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করে দিনটিকে তাৎপর্যমণ্ডিত করে তুলবে। পরিবেশদূষণ থেকে মুক্তির নতুন উপায় উদ্ভাবনে ব্রতী হবে। সেখানে শুধু সরকারই নয়, দেশের অগণিত মানুষের সমবেত প্রয়াসেই সেই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে। এভাবেই পুঁজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদীদের প্রভাবে পৃথিবীর বুকে সমগ্র প্রাণিজগতে যে ভয়াবহ বিপদের সূচনা হয়েছে, আজ সেই বিপদ-মুক্তির প্রায়শ্চিত্ত করার সময় এসেছে। সমাজতান্ত্রিক দেশে সরকার ও জনগণ একসঙ্গে পরিবেশ রক্ষার কাজে হাত লাগিয়েছে। পরিবেশদূষণ রোধ করতে সেখানে নিরন্তর ব্যাপক, সুচিন্তিত কর্মসূচি গ্রহণ ও তা কার্যকর হচ্ছে। আজ কি ধনতান্ত্রিক কি সমাজতান্ত্রিক, কি উন্নত কি অনুন্নত সব দেশই সমবেত উদ্যোগে একদিকে দূষণমুক্তি অন্যদিকে পরিবেশ রক্ষায় ব্রতী হয়েছে। ভয়াবহ এই পরিবেশ দূষণের পরিপ্রেক্ষিতে, পরিবেশ দিবস উদ্‌যাপনের আহ্বান প্রকৃতপক্ষে সমবেতভাবে বিশ্ববাসীকে দূষণবিরোধী কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ারই আহ্বান। এ একটি নির্দিষ্ট আচরণবিধি ও কর্মকাণ্ডে স্বপ্রণোদিত আত্মোৎসর্গের আহ্বান। যুদ্ধ নয় শান্তি, প্রকৃতির ধ্বংস নয়, তাকে শ্যামল সবুজ করে তোলা। এই হল বিশ্বদিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব।

বিশ্বপরিবেশ দিবসের কর্মসূচি : জাতিসংঘ প্রতিবছর এই দিনটিতে পরিবেশ সম্পর্কে পৃথিবীর মানুষকে সজাগ হওয়ার ডাক দেয়। এ জন্যে দেশে দেশে প্রয়োজনীয় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। চলতি বছরেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিশেষভাবে বিশ্বপরিবেশ দিবসে আলোচনার জন্যে নির্ধারিত হয়েছে। প্রতিবছরই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অগণিত মানুষের জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে সম্পত্তি। ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত, খরা, বন্যার শেষ নেই। বিজ্ঞানীদের চিন্তা ধ্বংসের এই তাণ্ডবলীলার মাত্রা কমিয়ে আনার উপায় উদ্ভাবন। জাতিসংঘ ঘোষিত পরিবেশ দিবসের আলোচ্য সূচিতে ‘দুর্ঘটনাকবলিত মানুষের স্বাস্থ্য’ বিষয়টি যুক্ত হল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবেই। সেজন্যে আগাম সংবাদ দিয়ে সবাইকে সতর্ক করে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। দুর্যোগের কারণ অনুসন্ধানের সঙ্গে সঙ্গে তার ভয়াবহ প্রতিফল কমিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাদি গ্রহণ করতে হবে। দুর্গতদের জন্যে সর্বপ্রকার সাহায্যের বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা চাই। সব দেশেই আজ পরিবেশ দিবসের গুরুত্ব স্বীকার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহেই অস্ট্রেলিয়া সরকার এক লক্ষ কোটি গাছ লাগাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বৃক্ষরোপণ করেন। এতে দূষণের পরিমাণ কমে। গাছগুলো তাড়াতাড়ি বাড়ে এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড সমেত কলকারখানার বর্জ্য গ্যাস শুষে নেয়।

বিশ্বপরিবেশ দিবস ও বাংলাদেশ : বাংলাদেশে ৫ জুন প্রতিবছর বিশ্বপরিবেশ দিবস হিসেবে উদ্‌যাপিত হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় বিশ্বের মানুষ আজ এগিয়ে এসেছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশও নিশ্চেষ্ট হয়ে বসে নেই। তবু পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। এখনও এদেশের মানুষের মধ্যে পরিবেশদূষণের ভয়াবহতা সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই। পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব পালনে সে উদাসীন। আজও অরণ্য নাশে মানুষ উৎসাহী। তার সজীব, নির্জীব ও ভৌত পরিবেশ নানাভাবে দূষিত। যত্রতত্র কলকারখানা গড়ে উঠছে। বায়ু দূষিত হচ্ছে। পানিতে বিষের পরিমাণ বাড়ছে। পরিবেশ রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল অরণ্য-ধ্বংস বন্ধ করা, ভূমিক্ষয় রোধ করা।

একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাশ্য রক্ষার জন্যে মোট ভূমির শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, আমাদের দেশে মোট ভূমির মাত্র ১৬ ভাগ বনভূমি রয়েছে যা দেশের প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তবে এটি সরকারি হিসেব, প্রকৃত-প্রস্তাবে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৯%, আর ওয়ার্ল্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতে মাত্র ৫%। দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৩.৫%। তাই ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। দেশে সময়মতো বৃষ্টিপাত হচ্ছে না এবং অসময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে নির্বিচারে বৃক্ষনিধনের ফলে শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বপরিবেশে দেখা দিয়েছে গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া।

বাংলাদেশে পরিবেশ দিবসের কর্মসূচি : দেরিতে হলেও বাংলাদেশে পরিবেশ সচেতনতা বাড়ছে। প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বা হচ্ছে। এখানেও সমারোহ সহকারে পরিবেশ দিবস উদ্‌যাপিত হয়েছে। সরকারের পরিবেশ দপ্তর, বনদপ্তর নানা অনুষ্ঠানসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্‌যাপন করছে। আলোচনাচক্রের অনুষ্ঠান করেছে। পরিবেশ রক্ষায় জনগণের সক্রিয় সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। জেলায় জেলায় মিছিল, সেমিনার হয়েছে।

উপসংহার : প্রতিবছরিই দিনটি আসে। প্রতিবারেই দিনটি বিশ্ববিবেককে নাড়া দিয়ে যায়। এই দিনে বিশ্বের মানুষ নতুন করে শপথ গ্রহণ করে। অনুভব করে পরিবেশ সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা। এই দিনেই বিশ্বের মানুষ একটি নির্দিষ্ট আচরণবিধি মেনে নেওয়ার তাগিদ অনুভব করে। পরিকল্পিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পরিবেশ দূষণের বিষ-ছোবল থেকে বাঁচতে চায়। এই দিনেই সব দেশের মানুষ এক নির্দিষ্ট কর্মসূচিতে একত্রিত হয়। পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার অঙ্গীকারে বদ্ধ হয়।


আরো দেখুন :

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post