রচনা : শিক্ষার মান উন্নয়ন

↬ মানসম্মত শিক্ষা


ভূমিকা : শিক্ষাই উন্নতির চাবিকাঠি। জাতীয় জীবনের অগ্রগতির মূলমন্ত্র হল শিক্ষা। সমাজ ও যুগের চাহিদা, সমকালীন জ্ঞানের যে বিস্তার ঘটেছে তার দিকে লক্ষ্য রেখে শিক্ষার মানোন্নয়ন অপরিহার্য। বিচিত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করা হচ্ছে। এর লক্ষ্য শিক্ষাপদ্ধতি থেকে সর্বোত্তম ফল লাভ করা। সেজন্য শিক্ষাক্ষেত্রে গবেষণার অন্ত নেই। নিত্য নতুন পদ্ধতির প্রয়োগ করে শিক্ষাকে অর্থবহ করার উদ্যোগ চলছে। আমাদের দেশে নানা রকম উদ্যোগ সত্ত্বেও শিক্ষাব্যবস্থা থেকে সর্বোত্তম ফল লাভ করা হচ্ছে না। বরং শিক্ষার মান ক্রমাগত নিম্নমুখী হওয়ায় প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির ওপর মানুষের আস্থার অভাব ঘটছে। শিক্ষাক্ষেত্রে মানের ক্রমাবনতি রোধ না করতে পারলে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে এবং প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা অর্থহীন বলে বিবেচিত হবে। প্রসঙ্গত অধ্যাপক আবদুল্লা আবু সায়দ বলেছেন,
‘শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষার আসলে কোনো অর্থ নেই।’ 

মানসম্মত শিক্ষার উদ্দেশ্য : দেশ ও জাতির বড় সম্পদ হচ্ছে তার জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়- এটা আজ স্বীকৃত সত্য। অর্থনীতিবিদরাও স্বীকার করেছেন দীর্ঘমেয়াদে ভাল শিক্ষাই উন্নয়নের সর্বশ্রেষ্ঠ পথ। যে সব দেশ আজ উঁচু আয় এবং সামাজিকভাবে উন্নতি করেছে সেসব দেশের শিক্ষার মান বরাবরই ভাল ছিল। আমাদের পাশের দেশ ভারত এবং শ্রীলঙ্কাতেও উন্নতির সঙ্গে ক্রমঅগ্রসরমান শিক্ষা ব্যবস্থার নিবিড় সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়। এসব দেশের নেতৃত্ব ঠিক সময়েই অনুভব করতে পেরেছিলেন যে তাদের দেশের ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা নির্ধারিত হচ্ছে তাদের স্কুলের শ্রেণীকক্ষে। শিক্ষা সেই অর্থে ভবিষ্যৎধর্মী। তাই শিক্ষার মানের প্রশ্নে তারা আপোস করেন নি। সমাজও শিক্ষার মূল্য বুঝেছে, ভাল শিক্ষার জন্য যথেষ্ট বিনিয়োগও করেছে। 

বর্তমানে দেশে শিক্ষার মান : দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থা সম্প্রসারণশীল হলেও শিক্ষার গুণগত মানের ক্রমাগত অবনতি লক্ষ্য করা যায়। মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যবস্থাপনা ও মান, দুটি প্রসঙ্গেই তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। বিস্তর সংখ্যায় আছে বেসরকারি স্কুল, যেখানে আছে উপযুক্ত শিক্ষক মণ্ডলীর অভাব। এগুলোর সরকারিকরণেরও কোনো পরিকল্পনা নেই। বেসরকারি কলেজের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বিরাজমান। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বিফলতার উচ্চহার থেকে ধরা পড়েছে শিক্ষাদান ও শিক্ষাগ্রহণ, উভয়ক্ষেত্রেই যোগ্যতার অভাব। স্বভাবতই, বিদ্যমান পরিস্থিতি জন্ম দিয়েছে সকল পর্যায়ে ও সকল মহলে, সরকারি মহলেও, এক গুরুতর দুশ্চিন্তার। এই অভিশপ্ত অবস্থার প্রধান কারণ হল আমাদের শিক্ষার মান যুযোপযোগী নয়। এর চাক্ষুষ প্রমাণ হল বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীরা। তাদের জ্ঞানের গভীরতা ও পরিধি সম্পর্কে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশ্ন ওঠে। কেননা ডিগ্রি অর্জন করে তা থেকে যোগ্য প্রতিদান দেওয়া অনেকের পক্ষে সম্ভবপর হয় না। আবার অনেকে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে জ্ঞানের সংকীর্ণতার পরিচয় দেয়, সেখানে ব্যর্থতা বড় হয়ে ওঠে। শিক্ষার মান নিচু হয়ে যাওয়ায় জীবনের সর্বক্ষেত্রে অক্ষমতার পরিচয় প্রকাশ পায় এবং জাতীয় জীবনে সামগ্রিক দৈন্যের পরিচয় প্রকট হয়ে ওঠে। ফলে বুদ্ধি, মেধা ও প্রতিভার বিকাশের তেমন কোনো সাফল্য পরিলক্ষিত হয় না। বিশ্বের জ্ঞানের রাজ্যে তখন কিছু অবদান রাখা সম্ভব হয় না। বরং উন্নত দেশের তুলনায় নিজেদের জ্ঞান রাজ্যের পশ্চাৎপদতা সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। শিক্ষার মানের অবনতির ফলে শিক্ষা সম্পর্কে জনসাধারণের আগ্রহ কমে যাচ্ছে এবং জাতীয়জীবনে ব্যাপক অবক্ষয় নেমে আসছে। লেখাপড়ার দীনতা থাকায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় পাস করে যেন-তেন প্রকারে ডিগ্রি অর্জনের জন্য অবৈধ পন্থা অবলম্বন করছে। ফলে পরীক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতির অনুপ্রবেশ ঘটছে। শিক্ষার মান নেমে আসায় জ্ঞানের প্রতি বিতৃষ্ণ শিক্ষার্থী কোচিং সেন্টারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে, পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হওয়ার জন্য। ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে ফেলের হার। এসব কারণে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এমন নিদারুণ সংকটে আবর্তিত হচ্ছে। শিক্ষা পদ্ধতির কর্ণধারেরা এখন নানাবিধ সংস্কারের চিন্তায় নিয়োজিত। 

শিক্ষার গুণগত মানের অবনতির কারণ : শিক্ষার গুণগত মানের অবনতির কারণ অনেক। 
১। শিক্ষাক্ষেত্রে সুস্পষ্ট ও বিস্তৃত শিক্ষানীতির অভাব। 
২। শিক্ষা-সংস্কারমূলক পদক্ষেপের অভাব এবং সংস্কারমূলক পদক্ষেপের ধীরগতি। 
৩। অতীতে অনেক শিক্ষা-সংস্কৃারমূলক চিন্তা বিফল হয়েছে দুটি প্রধান কারণে : কার্যক্রম বাস্তবায়নে সরকারের সংকল্পে দৃঢ়তার অভাব এবং সম্পদের অপ্রতুলতা। 
৪। সম্প্রতি যে কারণটি শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করছে তা হল রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। 

এছাড়া ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় মনোযোগ কমে আসছে। কী করে পড়ালেখা না করে পরীক্ষায় পাস করা যাবে সেদিকে অনেকের দৃষ্টি। এর জন্য কেউ কেউ অবৈধ উপায়ের অবল্বন করছে। আজকালকার দিনে ডিগ্রি অর্জনের দিকেই সবার দৃষ্টি। জ্ঞানের গভীরতা বা পরিধি বাড়ুক না বাড়ুক সেদিকে খেয়াল নেই। সেজন্যে সবাই হন্যে হয়ে ছুটছে কোচিং সেন্টারের দিকে। সহজে পাস করার পদ্ধতি লাভের নেশা সেখানে। নোট বাই, গাইড বইয়ের ছড়াছড়ি বাজারে। সবচেয়ে কম পড়ার জন্য এসব অবলম্বনের প্রয়োজন। শিক্ষাঙ্গনে এখন সন্ত্রাসের রাজত্ব। অস্ত্রের ঝংকারে শিহরিত হয় ছাত্রসমাজ। রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক বিরোধ প্রবল হয়ে ওঠে শিক্ষাঙ্গনে। ফলে সশস্ত্র হামলা এখন নিয়মিত ঘটনা। পরিণতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা বরাবর ঘটছে। সাধারণ ছাত্ররা এর ফল ভোগ করে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত থাকে ছাত্র-ছাত্রীরা। সেশন জটের কুফল পড়ে শিক্ষার মানের ওপর। এছাড়া শিক্ষকদের অনেকেই শ্রেণীকক্ষের শিক্ষার চেয়ে গৃহশিক্ষকতা অথবা কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে শিক্ষা বিস্তারে অধিকতর তৎপর। বিদ্যা যেখানে অর্থের বিনিময়ে বেচাকেনা হয় সেখানে শিক্ষার মান বড় কথা নয়, ডিগ্রিই মূল লক্ষ্য। তাই পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়। ফলাফল তৈরিতে কারচুপি ঘটে। এমনকি সার্টিফিকেটের জালিয়াতিও কম চলে না। এভাবে দুর্নীতির ব্যাপক প্রসার ঘটায় শিক্ষার মান উন্নয়নের দিকে কারও দৃষ্টি যায় না। অনেক অভিভাবক সন্তানের পাস চান, জ্ঞান চান না। ফলে বিষয়ওয়ালী টিউটর নিয়োজিত হন। পরীক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার মানের অবনতির জন্য অনেকাংশ দায়ী। নৈব্যক্তিক অভীক্ষা পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের সর্বনাশের দ্বারদেশে নিয়ে যাচ্ছে তা ক্রমে ক্রমে উপলব্ধি হচ্ছে। এসব কারণে শিক্ষার গুণগত মানের যে অবনতি ঘটছে তাতে অভিভাবকদের মধ্যে দারুণ নৈরাশ্য দেখা দিয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা এমন বিদেশ থেকে ডিগ্রি অর্জনের মোহে ছুটছে। জাতির শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য তা খুবই অগৌরবের। 

সামাজিক অবক্ষয় ও মূল্যবোধের অভাব : সামাজিক অবক্ষয় থেকে শিক্ষার্থীরা দূরে থাকতে পারে না। তার জন্যও শিক্ষার গুণগত মানের অবনতি ঘটছে। বর্তমানে আমাদের সমাজজীবনে চরম অবক্ষয়ের চিত্র জীবন্ত হয়ে আছে। এ অবক্ষয় যুবসমাজকেও প্রভাবিত করছে, দোলা দিচ্ছে তাদের মন-মানসিকতাকে। আমাদের যুবসমাজের সামনে আজ কোনো আদর্শ নেই। নেই অনুপ্রাণিত করা মতন কোনো মহৎপ্রাণ মানুষ। ঘরে-বাইরে সর্বত্রই আজ মনুষ্যত্বের দীনতার চিত্র। বর্তমান সমাজব্যবস্থায় বড়দের কাছ থেকে কিছু শেখার আশা করা যায় না। বড়রা শিক্ষা বলতে বোঝেন পরীক্ষা ও ডিগ্রি এবং জীবনে উন্নতি বলতে বোঝেন টাকা ও প্রতিপত্তি। ফলে শিক্ষার মধ্যে তরুণ সমাজ খুঁজে পায় না মহত্তর কোনো জীবনবোধ। যুবসমাজকে নতুন চেতনায় উদ্দীপ্ত করার মত কোনো পরিকল্পনা নেই, ফলে তারা প্রতিনিয়ত অবক্ষয়ের দিকে অগ্রসরমান। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ই আমাদের যুবসমাজের অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাও যুবসমাজের অবক্ষয়ের আরেকটি কারণ। একদিকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-কলহ, অপরদিকে অর্থনৈতিক দুর্দশা, ফলে শিক্ষাজগতে নৈরাজ্য, সমাজসেবার নামে নিজের স্বার্থ হাসিল এবং স্বেচ্ছাচারিতা যুবসমাজকে বিপথগামী করছে। তরুণসমাজ আবার বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করে, সমাজে সমাজ-বিরোধীর যে সম্মান, যে প্রতিপত্তি, সেখানে একজন জ্ঞানী, সৎ মানুষের মূল্য তুচ্ছ। সততা সেখানে লাঞ্ছিত, অসহায়। বিবেক সেখানে বিবর্জিত। জ্ঞানী-গুণীরাও তাদের খাতির করে। রাজনৈতিক নেতাদের তারা ডান হাত। জঘন্য, নিষ্ঠুর কাজকর্ম করেও তারা আইনের চোখে নিরাপদ। প্রশাসন প্রয়োজনমতো ওদের ব্যবহার করে। কী তাদের মূলধন? তারা অনায়াসে মানুষ খুন করে, ডাকাতি করে, জনজীবনে ত্রাসের সৃষ্টি করে। এই মূলধন নিয়েই ওরা সমাজের বিশিষ্ট মানুষ। আজ তাই মানবিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধও গৌণ হয়ে উঠেছে। বস্তুত সমাজের সর্বস্তরে আজ যে মূল্যবোধের অভাব, তার মারাত্মক প্রতিক্রিয়া যুবকদের মাঝে প্রতিনিয়ত বিস্তৃতি ঘটছে। 

মান উন্নয়নের উপায় ও গৃহীত পদক্ষেপ : এ মুহূর্তে এ এক সাধারণ প্রত্যয় যে, একটি স্বাধীন জাতির সার্থকতা অর্জনের একমাত্র পথ হল শিক্ষা। বর্তমানে শিক্ষার যে ক্রমাবণতি তাতে করে জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। শিক্ষার মানের এই ক্রমাবনতি অবশ্যই রোধ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের পাঠে যথার্থ মনোযোগী করে তোলাই এর প্রধান উপায়। এর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে হবে। জাতির বৃহত্তম স্বার্থে সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের এ ব্যাপারে সহযোগিতা চাই। রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন হবে সন্ত্রাসমুক্ত। তখন অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে না, আনবে না সেশন জট। ছাত্রদের নিয়মিত লেখাপড়া ও ক্লাসে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার মাধ্যমে শিক্ষাদান চলবে। নিয়মিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং সেমিস্টার পদ্ধতি প্রয়োগ করলে ছাত্ররা পাঠের প্রতি মনোযোগী হবে। পরীক্ষা পদ্ধতি হবে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত। মূল্যায়নে সঠিক পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। সমগ্র পাঠ্যবই যাতে খুঁটিনাটি পড়তে হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। নোট বাই, গাইড বইয়ের ওপর নির্ভরশীলতা রহিত করতে হবে। গৃহ শিক্ষকতা বা কোচিং সেন্টারের দিক থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের মুখ ফিরাতে হবে। দৃষ্টি দিতে হবে বইয়ের পাতায়। শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা দরকার। আর্থিক সমস্যা দূর করার জন্য বৃত্তির সংখ্যা বাড়াতে হবে। শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার দিকে শিক্ষকদের মনোযোগী করতে হবে এবং তাতে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যনুরাগী হবে। সেশন জট দূর করা দরকার। দরকার ভাল বইয়ের। শিক্ষকতায় শ্রেষ্ঠ মেধা আকৃষ্ট করতে হবে এবং শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। 

উপসংহার : উত্তম শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন অনুকূল পরিবেশ। আজ এই পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের। আমাদের দেশের শিক্ষা পদ্ধতির মধ্যে নানারকম অনাচার প্রবেশ করেছে। এ সবকিছু থেকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে মুক্ত করতে হবে। পদ্ধতি পরিবর্তন করে নয়, বরং প্রচলিত পদ্ধতিকে দুর্নীতিমুক্ত করে তা থেকে আশানুরূপ সুফল লাভ করতে হবে। শিক্ষাকে গুণগত মানের দিক থেকে উন্নত করতে পারলেই জাতীয় জীবনে এগিয়ে চলা সহজ হবে। 

উৎস-নির্দেশ : 
১. বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) : শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য এবং সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা। 
২. সাক্ষরতা বুলেটিন, সংখ্যা ১১৭, ২০০৩।


আরো দেখুন :
রচনা : ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক
Composition : Private Tutorship is Threatful

3 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post