সভ্যতার ইতিহাস
পৃথিবীর প্রাচীনতম ভাষা কোনটি? – হিব্রু ভাষা (সেমেটিক ভাষা)।
গ্রীক সভ্যতার উপর ভিত্তি করে রচিত মহাকাব্য কোনটি? – ‘ইলিয়ড’ ও ‘ওডেসী’।
পৃথিবীর প্রথম সভ্যতা কোনটি? – মিশরীয় সভ্যতা।
ময়নামতি কোন সভ্যতার নিদর্শন – বৌদ্ধ সভ্যতার।
সর্বপ্রথম লোহার অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করে কারা? – আসেরীয়রা।
সভ্যতার ইতিহাসে ফিনিশীয়দের সবচেয়ে বড় অবদান – বর্ণমালার উদ্ভাবন।
সিন্ধু সভ্যতার উল্লেখযোগ্য দুটি নির্দশন কী কী? – হরপ্পা (১৯২১ সালে আবিষ্কৃত) এবং মহেঞ্জদারো (১৯২২ সালে আবিষ্কৃত)।
ইরাকের পূর্ব নাম কী? – মেসোপটেমিয়া।
সর্বপ্রথম পঞ্জিকা প্রচলন হয় কোন সভ্যতার সময়? – ব্যাবিলনীয় সভ্যতার সময়।
‘ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান’ কোন দেশে অবস্থিত? – ইরাকে।
রেঁনেসা শব্দটির অর্থ – পুণর্জন্ম।
কারা ব্যঞ্জণবর্ণের সাথে স্বরবর্ণ যোগ করেছিল? – গ্রীকরা।
বর্তমান ইরান পূর্বে কী নামে পরিচিত ছিল? – পারস্য।
মিশরীয় সভ্যতা
বিশ্ব সভ্যতার যাত্রা শুরু হয় কখন? – খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ থেকে।
মিশরীয় সভ্যতা কোন নদের তীরে গড়ে ওঠেছিল? – নীলনদ।
মিশরকে “নীলনদের দান” বলে অভিহিত করেছেন কে? – হেরোডোটাস (ইতিহাসের জনক)।
মিশরে নগর সভ্যতা গড়ে ওঠে কোন সময়? – খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দে।
পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশ কোনটি? – ফারাও রাজবংশ (মিশরের)।
মিশরীয় সভ্যতার সবচেয়ে বড় অবদান কী? – পিরামিড, লিখন পদ্ধতি।
মিশরীয় সভ্যতার নতুন লিখন পদ্ধতির নাম কী? – হায়রোগ্লিফিক (অক্ষরভিত্তিক চিত্রলিপি), অর্থ-পবিত্র লিপি।
সিন্ধু সভ্যতা
পাক-ভারত উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা কোনটি? – সিন্ধু সভ্যতা।
সিন্ধু সভ্যতা কোন নদীর তীরে গড়ে ওঠে? – সিন্ধু নদ (পাকিস্তান)।
সিন্ধু সভ্যতার নির্দশন পাওয়া গেছে কোথায়? – পাকিস্তানের করাচিতে।
সিন্ধু নদের তীরে গড়ে ওঠা হরপ্পা নগরী বর্তমানে কোথায় অবস্থিত? – পাকিস্তানের পাঞ্জাবে।
সিন্ধু সভ্যতার পতন ঘটে কখন? – ২৭৫০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে।
হিব্রু সভ্যতা
হিব্রু সভ্যতা কোন নগরীকে কেন্দ্র করে বিকশিত হয়? – জেরুজালেম (প্যালেস্টাইন)।
হিব্রু সভ্যতার সবচেয়ে বড় অবদান কোন ক্ষেত্রে? – ধর্মীয় ক্ষেত্রে।
যিশু খৃষ্টের জন্মস্থান কোথায়? – বেথলেহেম, প্যালেস্টাইন।
হিব্রু কী জাতীয় ভাষা? – সেমিটিক।
হিব্রুদের প্রথম ধর্মীয় নেতা কে ছিলেন? – মূসা (আঃ)।
মূসা (আঃ) হিব্রুদের কোন উপদ্বীপে নিয়ে আসেন? – সিনাই উপদ্বীপে।
মেসোপটেমীয় সভ্যতা
পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতা কোনটি? – মেসোপটেমীয় সভ্যতা।
মেসোপটেমীয় সভ্যতা কোন দুটি নদীর মধ্যবর্তী স্থানে গড়ে ওঠে? – টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস অপর নাম দজলা ও ফোরাত।
সুমেরীয় সভ্যতা
মেসোপটেমিয়ায় গড়ে ওঠা সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা কোনটি? – মুসেরীয় সভ্যতা।
সুমেরীয়দের নতুন লিখন পদ্ধতির নাম কী? – কিউনিফম (কিউনিফর্মকে অক্ষরভিত্তিক বর্ণলিপিও বলা হয়)।
ব্যাবিলনীয় সভ্যতা
ব্যাবিলনীয় সভ্যতা গড়ে ওঠেছিল কোথায়? – মেসোপটেমিয়ায়।
ব্যাবিলনীয় সভ্যতার স্থপতি ছিলেন কে? – আমোরাইট নেতা হাম্বুরাবি।
পৃথিবীতে প্রথশ লিখিত আইনের প্রচলন হয় কোথায়? – ব্যাবিলনের ইরাক।
নতুন ব্যাবিলনীয় সভ্যতা গড়ে তুলেছিলেন কে? – নেবুচাদ নেজার।
কিউনিফর্ম কী? – ব্যাবিলনীয়দের লিখন পদ্ধতি।
সভ্যতায় ব্যাবিলনীয়দের সবচেয়ে বড় অবদান কোন ক্ষেত্রে? – আইন সংস্কারের ক্ষেত্রে।
আসেরীয় সভ্যতা
সর্বপ্রথম লোহার অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করে কারা? – আসেরীয়রা।
কারা বৃত্তকে প্রথম ৩৬০ ডিগ্রিতে ভাগ করে? – আসেরীয়রা।
কোন সভ্যতার লোকেরা সর্বপ্রথম পৃথিবীকে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ ভাগ করেছিল? – আসেরীয় সভ্যতার।
ক্যালডীয় সভ্যতা
‘ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান’ কে গড়ে তোলেন? – নেবুচাঁদ নেজার (ক্যালডীয় সম্রাট)।
‘ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান’ কোন দেশে অবস্থিত? – ইরাকে।
কারা সর্বপ্রথম সপ্তাহকে সাতদিনে বিভক্ত করে এবং প্রতিদিনকে ১২ জোড়া ঘণ্টায় ভাগ করার পদ্ধতি বের করে? – ক্যালডীয়রা।
ফিনিশীয় সভ্যতা
ফিনিশীয় সভ্যতা কোথায় গড়ে ওঠেছিল? – লেবানন পর্বত এবং ভূ-মধ্যসাগরের মাঝামাঝি।
ফিনিশীয় সভ্যতার সবচেয়ে বড় অবদান কোনটি? – আধুনিক বর্ণমালার উদ্ভাবন।
কারা ২২টি ব্যঞ্জনবর্ণের উদ্ভাবন করে? – ফিনিশীয়রা।
কারা ফিনিশীয়দের উদ্ভাবিত বর্ণমালার সাথে স্বরবর্ণ যোগ করে বর্ণমালাকে সম্পূর্ণ করেছিল? – গ্রীকরা।
পারস্য সভ্যতা
পারস্য সভ্যতা বর্তমান কোন দেশের অন্তর্ভুক্ত? – ইরান।
পারস্য সাম্রাজ্যের অপর নাম কী? – একমেনিড সাম্রাজ্য।
পারসীয়রা লিপি লিখনে কয়টি কিউনিফর্ম চিহ্ন ব্যবহার করত? – ৩৯টি।
সভ্যতার ইতিহাসে পারসীয়দের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল কোন ক্ষেত্রে? – দুটি ক্ষেত্রে। প্রথমত : সুষ্ঠু ও দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা; দ্বিতীয়ত : ধর্মীয় ক্ষেত্রে একটি নতুন ধারণা সংযোজন।
জরথুস্ত্রবাদ কী? – পারস্যের ধর্ম।
পারস্যের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল শাসক ছিলেন কে? – দারিয়ুস।
চৈনিক সভ্যতা
মোট কয়টি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে প্রাচীন চৈনিক সভ্যতার উত্থান ঘটেছিল? – তিনটি অঞ্চল। হোয়াংহো নদীর তীরে, ইয়াংসিকিয়াং নদীর তীর এবং দক্ষিণ চীনে।
চীনা জনগোষ্ঠী মূলত কোন গোষ্ঠীল বংশোদ্ভুত? – মঙ্গোলীয়।
গ্রীক সভ্যতা
গ্রীক সভ্যতার উপর ভিত্তি করে রচিত মহাকব্য কোনটি? – ‘ইলিয়ড’ ও ‘ওডেসী’। (গ্রিক কবি হোমার)।
প্রাচীন গ্রীক সভ্যতার শ্রেষ্ঠ অবদান কোনটি? – গণতন্ত্র উদ্ভাবন। (প্রাচীন গণতন্ত্র)
পৃথিবীতে প্রধান নগর রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয় কোথায়? – গ্রীসের রাজধানী এথেন্সে।
স্পার্টা কোথায়? – গ্রিসে।
গ্রীসের মূল ভূ-খণ্ডের সাথে মিনীয় সংস্কৃতির যুক্তধারাকে কী বলা হয়? – ইজিয়ান সভ্যতা।
ইতিহাসের জনক বলা হয় কাকে? – গ্রীক ইতিহাসবেত্তা হেরোডোটাসকে।
বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের জনক বলা হয় কাকে? – থুকিডাইডিস।
পৃথিবীর মানচিত্র কারা প্রথম অঙ্কন করেন? – গ্রীক বিজ্ঞানীরা।
রোমান সভ্যতা
কোন নগরকে কেন্দ্র করে রোমান সভ্যতা গড়ে ওঠেছিল? – ইতালির ছোট্ট শহর রোমকে কেন্দ্র করে।
সভ্যতার ইতিহাসে কোন ক্ষেত্রে রোমানদের অবদান সবচেয়ে বেশি? – আইনের ক্ষেত্রে।
জুলিয়াস সীজার কে ছিলেন? – রোমান রাজা।
রোম নগরীর পত্তন ঘটে কখন? – ২০০০ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে।
কোন সম্রাট খ্রিস্ট ধর্মকে রোমের রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা দেন? – কনস্টানটাইন।
মায়া সভ্যতা
মায়া সভ্যতার সূত্রপাত হয় কোথায়? – মধ্য আমেরিকার কেক্সিকো, গুয়েতেমাল অঞ্চলে।
মায়া সভ্যতার উল্লেখযোগ্য নিদর্শন কী কী? – বিজ্ঞান চর্চা, জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, সৌর ক্যালেন্ডার প্রণয়ন, পাথরের মন্দির নির্মাণ এ সভ্যতার নিদর্শন।
নারা সভ্যতা
নারা সভ্যতা কোথায় গড়ে ওঠে? – জাপানে।
নারা সভ্যতার উল্লেখযোগ্য দিক কোনটি? – বিশ্বব্যাপি বৌদ্ধদের প্রভাবিত করা, বৌদ্ধ সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধন।
নারা সভ্যতা গড়ে ওঠে কখন? – খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ অব্দে।
ইসলামী সভ্যতা
ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক কে? – হযরত মুহাম্মদ (স)।
আরিবা জাতির মূল আবাস ছিল কোন অঞ্চলে? – দক্ষিণ আরবের ইয়েমেন অঞ্চলে।
ইসলামের সর্বপ্রথম ঘর কোনটি? – কাবা।
ইসলামের সর্বপ্রথম শিক্ষা কেন্দ্র কোনটি? – দারুল আরকাম, মদীনা।
সর্বপ্রথম ইসলামী মুদ্রা কে চালু করেন? – হযরত উমর ফারুক (রাঃ)।
রেঁনেসা শব্দটির অর্থ – পুণর্জন্ম।
হিজরী সন গণনা শুরু হয় – ৬২২ সাল থেকে।
ইনকা সভ্যতা
ইনকা সভ্যতা কোথায় গড়ে ওঠে? – চিলিতে (দ. আমেরিকার একটি দেশ)।
দক্ষিণ আমেরিকায় কোন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল? – ইনকা সভ্যতা।