রচনা : শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস

↬ সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন


ভূমিকা : শিক্ষাজ্গন একটি পবিত্র স্থান। শিক্ষার এ পাদপীঠে দাড়িয়েই আমাদের ভবিষ্যৎ নাগরিকরা তাদের জাবিনকে গড়ে তোলে। মক্ত ভিত যেমন একটি অট্টালিকাকে করে তোলে মজবুত ও স্থায়ী, ঠিক তেমনি শিক্ষাঙ্গনের সুশিক্ষাই একটি ছাত্রের ভাবষাৎ নাগরিক জীবনকে সার্থক ও সফল করে গড়ে তোলে। কাদজেই পবিত্র শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসের মাধ্যমে অপবিত্র করা একটি ঘৃণ্য ও জঘন্য অপরাধের কাজ। তবুও আমাদের দেশে শিক্ষাঙ্গনে কাজ। তবুও আমাদের দেশে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস আজ একটি দৈনন্দিন ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

সন্ত্রাসের উৎস : শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস মূলত সামাজিক সন্ত্রাসেরই প্রতিচ্ছবি। বর্তমানে আমাদের সমাজজীবনে চরম অবক্ষয়ের চিত্র জীবন্ত হয়ে আছে। এ অবক্ষয় যুবসমাজকেও প্রভাবিত করছে, দোলা দিচ্ছে তাদের মন-মানসিকতাকে। আমাদের যুবসমাজের সামনে আজ কোনো আদর্শ নেই। নেই অনুপ্রাণিত করার মত কোনো মহৎ-প্রাণ মানুষ। ঘরে-বাইরে সর্বত্রই আজ মনুষ্যত্বের দীনতার চিত্র। যুব সমাজকে নতুন চেতনায় উদ্দীপ্ত করার মত কোনো পরিকল্পনা নেই, ফলে তারা প্রতিনিয়ত অবক্ষয়ের দিকে অগ্রসরমান। একদিকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-কলহ, অপরদিকে অর্থনৈতিক দুর্দশা, ফলে শিক্ষাজগতে নৈরাজ্য, সমাজসেবার নামে নিজের স্বার্থ হাসিল এবং স্বেচ্ছাচারিতা যুবসমাজকে বিপথগামী করছে। তরুণসমাজ অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করে, সমাজে সমাজবিরোধীর যে সম্মান, যে প্রতিপত্তি, সেখানে একজন জ্ঞানী, সৎ মানুষের মূল্য তুচ্ছ। সততা সেখানে লাঞ্ছিত, অসহায়। বিবেক সেখানে বিবর্জিত। জ্ঞানী-গুণীরাও তাদের খাতির করে। রাজনৈতিক নেতাদের তারা ডান হাত। জঘন্য, নিষ্ঠুর কাজকর্ম করেও তারা আইনের চোখে নিরাপদ। প্রশাসন প্রয়োজন মত ওদের ব্যবহার করে। কি তাদের মূলধন? তারা অনায়াসে মানুষ খুন করে, ডাকাতি করে, জনজীবনে ত্রাসের সৃষ্টি করে। এই মূলধন নিয়েই ওরা সমাজের বিশিষ্ট মানুষ। আজ তাই মানবিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধও গৌণ হয়ে ওঠেছে। বস্তুত সমাজের সর্বস্তরে আজ যে মূল্যবোধের অভাব, তার মারাত্মক প্রতিক্রিয়া যুবকদের মাঝে প্রতিনিয়ত বিস্তৃতি ঘটছে। সৃষ্টি হয়েছে জঘন্য সামাজিক অপরাধ ও উচ্ছৃঙ্খলতার বিভীষিকাময় রূপ সন্ত্রাস। 

শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের সূত্রপাত ও বিস্তার : শান্তি, শৃঙ্খলা ব্যাহত করে সশস্ত্র হামলা বা অন্য কোনো উত্তেজনাপূর্ণ আক্রমণের মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনের স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট করাই হল শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস। 

পাকিস্তান আমলে শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ ছিল এবং ১৯৭৩ সাল থেকে বিষয়টি জাতীয় উৎকণ্ঠায় পরিণত হয়। কিন্তু ১৯৭৩ সালের পর দৃশ্যপট সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। পাকিস্তানি শাসনের অবসান এবং যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ছাত্রকর্মীদের প্রত্যাবর্তনের পর নতুন করে ছাত্রদের মধ্যে রাজনৈতিক ও আদর্শগত মেরুকরণের ফলে শিক্ষাঙ্গন স্বার্থ-দ্বন্দ্বে জড়িয়ে অভ্যন্তরিণ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এর ফলে ১৯৭৪ সালের ৪ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হলে সংঘটিত হয় সাত জন ছাত্র হত্যার মতো নারকীয় ঘটনা। এর পর থেকে শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতার রাজনীতি চলতে থাকে অবাধ গতিতে। জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা এমনি ভয়াবহ রূপ নেয় যে, তা বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ১৯৯৩ সালে নিউইয়র্ক টাইমস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘বিশ্বের সর্বাধিক সংঘাতপূর্ণ শিক্ষাঙ্গন’ বলে চিহ্নিত করে। ‘তিন দশকব্যাপী শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা’ শিরোনামে দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত (৪ মে ২০০১) একটি জরিপে দেখা গেছে যে, ১৯৭৪ সাল থেকে শিক্ষাঙ্গনে খুন, জখম ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে সহিংসতা চরম রূপ ধারণ করলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছাত্রীদের উপর হামলা শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ধর্ষণ, সম্ভ্রমহানি, অপহরণ, উত্যক্ত করা এবং জোরপূর্বক বিয়ে করা এখন শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতার অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও রয়েছে বলপূর্বক হল দখল করা। 

শিক্ষাঙ্গনে দীর্ঘমেয়াদী সহিংস প্রবণতায় দেখা গেছে যে, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন দাপটের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে; প্রধান বিরোধী ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা বোমা নিক্ষেপের পথ বেছে নেয় এবং আদর্শগতভাবে চিহ্নিত একটি তৃতীয় দল একদিকে পুলিশ ও বিরোধী পক্ষকে কাবু করার জন্য অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার এবং অন্যদিকে ছুরি ও ছোরা দিয়ে প্রতিপক্ষের হাত-পায়ের রগ কেটে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। 

শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতার পদ্ধতি ও ধরনে মৌলিক পরিবর্তন ঘটছে। বিশ শতকের সত্তরের দশকে এবং আশির দশকের প্রথম দিকে সহিংসতার ধরন ছিল ঐ সময়ের রাজনৈতিক ও আদর্শগত চরিত্রের। আশির দশকের শেষে এই সহিংসতা মুক্তিপণের জন্য অপহরণ, বলপূর্বক চাঁদা আদায়, অস্ত্রের মুখে প্রশাসনকে প্রভাবিত করা, ধর্ষণ, আবাসিক হল দখল, টেন্ডার ব্যবসা প্রভৃতি ধরনের সাধারণ অপরাধের পর্যায়ে নেমে আসে। ফলে সমাজের শীর্ষস্থান শিক্ষাঙ্গন আজ অস্ত্রের ঝন-ঝনানীতে, রাজনীতির চাপ প্রয়োগে, চাঁদাবাজি আর মাস্তানির দৌরাত্ম্যে ডাস্টবিনের নোংরা আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। আজ পচন ধরে গেছে সেই পবিত্র স্থানটিতে। শিক্ষাঙ্গন আজ আর শিক্ষাঙ্গন নেই যেন এক অপ্রত্যাশিত সন্ত্রাসাঙ্গনে পরিণত হয়েছে। 

শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কারণ ও প্রভাব : এ কথা নিশ্চিত যে, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের অন্যতম কারণ হল সুষ্ঠু প্রশাসনের অভাব। পত্রিকার রিপোর্ট মতে, শিক্ষাঙ্গনে সর্বাধিক সহিংস শক্তি হল ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বের প্রশ্রয়ে লালিত ছাত্রদের দল ও উপদল। নির্বাচনের বিধান থাকা সত্ত্বেও শিক্ষাঙ্গনের প্রধান নির্বাহী নিয়োগ করা হয় ক্ষমতাসীন দলের সমর্থন ও আশীর্বাদপুষ্ট ব্যক্তিদের। এ কারণে তারা শাসকগোষ্ঠীর ক্যাডারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না। 

এছাড়া যে সব কারণ রয়েছে তা হল : শিক্ষকদের আদর্শচ্যুতি, শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির মতাদর্শের অপপ্রয়োগ ইত্যাদি। শিক্ষাঙ্গনে যে সন্ত্রাসী ঘটনাবলি ঘটছে তার সঙ্গে ছাত্রসমাজের ক্ষুদ্র একটি অংশ জড়িত। কেউ কেউ এদের ছাত্রনামধারী বলে অভিহিত করেন। এ কথা যেমন সত্যি তেমনি এটাও সত্যি যে, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের জন্যে ঢালাওভাবে ছাত্ররা দায়ী নয়। তারা বরং সন্ত্রাসীচক্রের হীন তৎপরতার শিকার। ছাত্রদের রাজনীতি সচেতন থাক উচিত। কিন্তু ছাত্র রাজনীতির নামে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে আজ এক অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আজকাল ছাত্ররা রাজনীতির নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ হিসেবে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন রকম মাস্তানি-গুণ্ডামির আশ্রয় নিচ্ছে, শিক্ষাঙ্গনকে রক্তে রঞ্জিত করছে অস্ত্রের খেলায়। 

কিছু স্বার্থান্বেষী মহল কোমলমতি ছাত্রদের একটি নগণ্য অংশকে বিভিন্ন কায়দায় প্রলুব্ধ করে শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসের রণক্ষেত্রে পরিণত করেছে। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের সৃষ্টি করে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সন্ত্রাসীরা ছাত্র না হয়েও ছাত্র সংগঠনের নাম ব্যবহার করছে শিক্ষাঙ্গন দখল করে অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার জন্যে। শিক্ষাঙ্গনে এ এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের জন্য এরা ভাড়াটিয়া বাহিনীর সাহায্য নেয়। ব্যাপারটি আরো জটিল রূপ পরিগ্রহ করে তখনই যখন ছাত্রসংগঠনগুলো নিজ নিজ আধিপত্য বিস্তারের জন্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবহার করতে চায়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের চাপের মুখে নতি স্বীকার না করলেই স্লোগান ওঠে, বিশেষ বিশেষ কর্মকর্তা বা অধ্যক্ষ এমনকি উপাচার্যের অপসারণ চায়। এটি শুধুমাত্র শিক্ষাঙ্গনের জন্যেই নয়, সমগ্র জাতির জন্যেও বিরাট ক্ষতির কারণ। কারণ শিক্ষা জাতির দর্পণস্বরূপ এবং শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। জাতি শিক্ষিত না হলে যে কোনো সময় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে। তাই একে প্রতিহত করার জন্য, শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসমুক্ত করা সকলের দায়িত্ব এবং এখনই এর পতিরোধের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন। 

সন্ত্রাসীদের প্রভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষাঙ্গন : শিক্ষাঙ্গন একটি পৃথক সত্তা বা বিচ্ছিন্ন ঘটনার তাৎপর্য বহন করে না, এটি আমাদের জাতীয় জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যেহেতু শিক্ষাঙ্গন হল জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনক্ষেত্র সেহেতু দেশের ভবিষ্যৎ সন্তান তথা ভাবি নাগরিকের প্রশিক্ষণক্ষেত্র হিসেবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই শিক্ষাঙ্গনের সন্ত্রাস জাতীয় জীবনে বিরাট অশুভ ফলশ্রুতি বহন করে। বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় হল জ্ঞানাহরণের কেন্দ্রবিন্দু। তাই সেখানে অব্যাহতভাবে সন্ত্রাস চললে ছাত্রসমাজের মেরুদণ্ড অচিরেই ভেঙে পড়বে। 

সন্ত্রাসের ক্ষতিকর প্রভাব : শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কারণে সারাদেশে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান শিক্ষাবর্ষ। অভিভাবকবৃন্দ ভুগছেন দুশ্চিন্তায়, দ্রুত নেমে যাচ্ছে শিক্ষার মান, জনসাধারণ হয়ে পড়ছে শিক্ষার প্রতি বীতশ্রদ্ধ। এককথায়, অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে জাতীয় ভবিষ্যৎ। 

সন্ত্রাস দমনের কার্যকরী পদক্ষেপ : ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড’ -এ সত্যকে উপলব্ধি করে আজ এ সন্ত্রাস দমনে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক এবং সরকারকে ঐক্যবদ্ধভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। সন্ত্রাসের প্রতিরোধকল্পে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে- 
  • রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছাত্রদের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
  • শিক্ষাঙ্গনে ছাত্ররাজনীতি ও শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
  • রাজনৈতিক দলগুলোকে মতৈক্যে এসে সন্ত্রাসীদের পরিহার করতে হবে।
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ও অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
  • বেকার সমস্যার সমাধান করতে হবে।
  • ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিক উন্নতি বিধানের জন্য স্কুল পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
  • প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, ক্লাসরুটিন মত ক্লাস নেয়া, নিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণ এবং যত দ্রুত সম্ভব ফলাফল প্রকাশ করা।
  • রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সন্তানদের স্কলারশীপ ও উচ্চতর ডিগ্রি ব্যতীত বিদেশে পাঠানো নিষিদ্ধ করতে হবে।
  • সরকারকে সন্ত্রাসীদের রক্ষক নয় ভক্ষক হতে হবে।
  • অবৈধ পথে যেন দেশে অস্ত্র আসতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সর্বোপরি সরকার ও জনগণ একত্রিত হলে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস বন্ধ করা তেমন কঠিন নয়। তাই সকলের উচিত শিক্ষাঙ্গন থেকে সন্ত্রাসের মূলোৎপাটন করে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। 

উপসংহার : সন্ত্রাস সম্পর্কে জনমত গঠনের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীদের স্বদেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল এবং নেতৃবৃন্দকে ‘দলের চেয়ে দেশ বড়’ এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত করে দেশের ভবিষ্যৎ ছাত্রসমাজকে রক্ষা করতে হবে। তাদের মনে রাখতে হবে, অরক্ষিত শিক্ষাঙ্গন মানেই একটি অরক্ষিত দেশ। নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে তাদের মনপ্রাণ উৎসর্গ করতে হবে।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post