ছয়দফা আন্দোলনের পটভূমি ও গুরুত্ব আলোচনা

দীর্ঘ দুইশত বছরের ব্রিটিশ শাসন শোষণের অবসান ঘটিয়ে ১৯৪৭ সালে দুই খন্ডে বিভক্ত পাকিস্তান নামক স্বাধীন রাষ্ট্রটির জন্ম হলে এতদ অঞ্চলের (পূর্ব পাকিস্তান) মানুষ নতুনভাবে বাঁচার স্বপ্নে আশায় বুক বাঁধে। কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার অল্পকালের মধ্যেই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের ওপর ঔপনিবেশিক কায়দায় শাসন চালাতে শুরু করে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর অব্যহত শাসন, নিপীড়ন, বঞ্চনা, বৈষম্য ও শোষণ নীতি পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের মধ্যে ক্রমেই তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি করে। এরূপ পরিস্থিতিতে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার প্রশ্নে ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহেরে বিরোধি দলগুলোর এক মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে তৎকালীন দেশবরেণ্য নেতা শেখ মজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অথনৈতিক ও প্রতিরক্ষার দাবি সম্বলিত ৬ দফা কর্মসূচি পেশ করেন। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠা ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতি ছয়দফা দাবিকে তাদের জাতীয় মুক্তির সনদ হিসেবে গ্রহণ করে। 

৬ দফা কর্মসূচির পটভূমি

 : ৬ দফা কর্মসূচি ছিল দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি জাতির উপর চাপিয়ে দেওয়া শাসন, শোষণ, বঞ্চনা ও নিপীড়নের পটভূমিতে গড়ে উঠা জাতীয় মুক্তির অব্যর্থ মূলমন্ত্র। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে বাঙালিদের ওপর চালিয়ে যাওয়া শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ছয়দফা ছিল সর্বপ্রথম সুসংগঠিত পদক্ষেপ। ছয়দফা কর্মসূচির পটভূমি নিম্নরূপ: 

১. অর্থনৈতিক বৈষম্য

 : পাকিস্তান সৃষ্টির পর প্রথম দিকে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য কম থাকলেও ক্রমেই বিশেষ করে আইয়ুবী দশকে এ বৈষম্য চরম আকার ধারণ করে। পাকিস্তানের প্রায় সকল অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, স্টেট ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিমা ও বৈদেশিক প্রতিষ্ঠানসমূহ পশ্চিমাংশে থাকার কারণে অর্থের মজুদ গড়ে উঠে সেখানে। পূর্ব পাকিস্তানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন বরাদ্দ ছিল মাত্র ২০% থেকে ২৫% কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতো ৫০% থেকে ৭০%। অপরপক্ষে বৈদেশিক আমদানি পূর্ব পাকিস্তানের জন্য ছিল মাত্র ২৫% থেকে ৩০% এ সীমিত। কেন্দ্রীয় সরকারের মোট রাজস্বের ৬০% পূর্ব পাকিস্তান থেকে অর্জিত হতো। কিন্তু তা সত্ত্বেও পূর্ব পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের প্রায় অর্ধেকের সমান। এভাবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উভয় অঞ্চলের মধ্যে পাহাড়সম বৈষম্য গড়ে উঠে। 

২. প্রতিরক্ষা ব্যয়ে বৈষম্য

 : পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যয়ে ছিল ব্যাপক বৈষম্য। ১৯৫০-৫১ থেকে ১৯৬৯-৭০ সালের এক সারণিতে দেখা যায় যে, ১৬ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের মোট ব্যয়ের ৩৭৯৫.৫৮ কোটি টাকার মধ্যে ২১১৭.১৮ কোটি টাকা ছিল প্রতিরক্ষা ব্যয় যার শতকরা হার ৫৬% অথচ এ সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের জন্য প্রতিরক্ষা ব্যয় বরাদ্দ ছিল মাত্র ১০%। তাছাড়া ১৯৫৬ সালের ১৭ দিনের পাক ভারত যুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তান সম্পূর্ণ অরক্ষিত। যা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে তাদের প্রতিরক্ষার ব্যাপারে সম্পূর্ণরূপে নিরাপত্তাহীন করে তুলেছিল। 

৩. চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য

 : পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানিরা প্রবল বৈষম্যের শিকার হতে থাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের বেসামরিক পদে ৮৪% পশ্চিম পাকিস্তানি, ১৬% বাঙালি এবং বৈদেশিক চাকরির ক্ষেত্রে ৮৫% পশ্চিম পাকিস্তানি ও ১৫% বাঙালিকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাছাড়া সামরিক বাহিনীতে বাঙালিদের নিয়োগের হার ১০% এর বেশি ছিল না। এমনকী বাঙালিদের কোন সময় উচ্চ পদে নিয়োগ দেওয়া হত না। স্থল, নৌ, বিমান ও কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির সকল সদর দপ্তর ছিল পশ্চিম পাকিস্তানে। চাকরির ক্ষেত্রে এরূপ বৈষম্য বাঙালিদের তাদের মুক্তির সনদ ছয়দফা প্রণয়নের পটভূমি রচনা করে দিয়েছিল। 

৪. শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসন

 : পাকিস্তান ছিল দুই অংশে বা প্রদেশে বিভক্ত একটি রাষ্ট্র। তাত্ত্বিকভাবে পাকিস্তানের দুই প্রদেশ স্বায়ত্তশাসিত হওয়ার কথা থাকলেও কার্যত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কেন্দ্রকে শক্তিশালী করে তৎকালীন পূর্ব বাংলাকে স্বায়ত্তশাসনের অধিকার থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত রেখে রাজনৈতির কর্মধারাকে জোর করে স্তব্ধ করার চেষ্টা চালায়। বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত। যা পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তানের উপনিবেশে পরিণত করে। 

৫. সাংস্কৃতিক আগ্রাসন

 : পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী বাঙালির সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার চক্রান্তের মধ্য দিয়ে এ চক্রান্তের সূচনা হয়। তাছাড়া পশ্চিমা শাসকরা বাঙালি সংস্কৃতিকে সর্বদা হিন্দু সংস্কৃতি হিসেবে গণ্য করে এর উপর পাকিস্তানি সংস্কৃতিকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এমনকি পূর্ব বাংলার সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য তারা রবীন্দ্র সংগীতকে বেতারে প্রচার নিষিদ্ধ করে। আপন সংস্কৃতি ধ্বংসের এই হীন চেষ্টা বাঙালিকে তীব্রভাবে আঘাত করে। 

পাকিস্তান রাষ্ট্রে বিরাজমান এরূপ রাজনৈতির শোষণ, নিপীড়ন, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক বঞ্চনা এবং ১৯৬৫ সালের পাক ভারত যুদ্ধের ফলে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের সামরিক অসহায়ত্বের কারণে পূর্ব বাংলার জনগণ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে স্বায়ত্তশাসন অর্জনের পথ খঁজছিল। এমনি প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির প্রাণের দাবি সম্বলিত ছয়দফা কর্মসূচি পেশ করেন। 

ছয়দফার দাবিসমূহ

 : ১৯৬৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বায়ত্তশাসন ও গণতন্ত্রের দাবিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির সম্মুখে ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি পেশ করেন। ছয় দফা কর্মসূচি ছিল নিম্নরূপ: 

১. ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সত্যিকার পার্লামেন্টারি ফেডারেল পদ্ধতির সংবিধান রচনা করতে হবে; 

২.দেশরক্ষা ও পররাষ্ট্রসংক্রান্ত বিষয় ছাড়া আর সকল বিষয় প্রাদেশিক সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে; 

৩. পাকিস্তানের উভয় অংশের জন্য দুটি আলাদা অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রার প্রচলন থাকবে। অথবা পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন পাচার বন্ধের উদ্দেশ্য একটি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের মাধ্যমে দুই অঞ্চলের জন্য একই মুদ্রা থাকবে; 

৪. সকল প্রকার কর ও শুল্ক ধার্য করা এবং তা আদায়ের ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারের হাতে; 

৫. সকল বৈদেশিক বাণিজ্যকে প্রাদশিক বিষয় হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে; 

৬. পূর্ব পাকিস্তানের জন্য একটি আলাদা নিজস্ব গণবাহিনী বা আধা-সামরিক বাহিনী গঠন করা হবে। 

ছয়দফার গুরুত্ব ও তাৎপর্য

 : বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতা আন্দোলনের অথ্যাচার, নির্যাতন, শোষণ ও বাঞ্চনার বিরুদ্ধে ছয়দফা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। ছয়দফার গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে স্বয়ং শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘ছয়দফা বাংলার কৃষক, শ্রমিক, মজুর, মধ্যবিত্ত তথা গোটা বাঙালির মুক্তির সনদ এবং বাংলার স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ।’ ছয়দফা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আপামর বাঙালিকে দেখিয়েছিল নতুন আশায় বুক বাধার স্বপ্ন। বাঙালিকে দীক্ষা দিয়েছিল জাতীয়তাবাদের মূলমন্ত্রে। নিচে ছয়দফা আন্দোলনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের বিভিন্ন দিক সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো : 

১. মুক্তির আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি : র্দীঘদিন ধরে শোষিত ও বঞ্চিত বাঙালি জাতির মুক্তির আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টিতে ছয়দফা ছিল সুস্পষ্ট মাইলফলক। ছয়দফার মাধ্যমে জাগ্রত বাঙালিরা পশ্চিম পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তির উদগ্র আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে। Dr. R. Jahan বলেন যে, ছয়দফা আন্দোলন ক্ষণস্থায়ী হলেও তা বাঙালি জাতির রাজনীতির ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটায়। 

২. মুক্তির সদন : ছয়দফা কর্মসূচির প্রবক্তা শেখ মুজিবুর রহমান এর গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে উল্লেখ করে যে, “Six Point demand was the demand for the survival of the Bangalis.” অর্থাৎ ছয়দফা হলো বাঙালির বাঁচার দাবি, মুক্তির দাবি। মূলত পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর শোষণ, নিপীড়ন ও অবিচারের বিরুদ্ধে মুক্তির সনদ হিসেবে ছয়দফা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করলে এ আন্দোলন আরো বেগবান হয়ে উঠে। 

৩. জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রেরণা : ছয়দফা আন্দোলন বাঙালি জাতিকে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিকে করেছিল আরও সুদৃঢ়। এ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছিল যে, পূর্ব পাকিস্তান কেবল একটি প্রদেশ নয়; এক একটি স্বতন্ত্র্য ভৌগোলিক অঞ্চল। এ অঞ্চলের জনগণের একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা আছে। স্বতন্ত্র ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, আচার-আচরণ, রীতিনীতি ইত্যাদি করণে তারা পশ্চিম পাকিস্তানিদের থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। স্বতন্ত্র জাতিয়তাবাদের এই প্রেরণাই পরবর্তীতে বাঙালিকে স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে। 

৪. গণ-আন্দোলনের সূত্রপাত : ছয়দফা কর্মসূচি বাঙালিকে গণ-আন্দোলনের মন্ত্রে দীক্ষিত করেছিল। বলা যায় ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে উন্মেষ ঘটে তা ছয়দফা আন্দোলনের সংস্পর্শে এসে পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয় এবং ছয়দফা এক পর্যায়ে গণ-আন্দোলনে রূপ নেয়। এ আন্দোলনের মাধ্যমেই পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ সর্বপ্রথম সরকারি কর্তৃত্বকে অস্বীকার করে সংগ্রামী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়, শাসক কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে চরম দুঃসাহসের পরিচয় দেয়। 

৫. পরবর্তী আন্তোলনেসমূহের অনুপ্রেরণা : ছয়দফা কর্মসূচি পরবর্তীকালে বাঙালিদের সকল সফল আন্দোলনের মূল প্রেরণা ভূমি হিসেবে ভূমিকা পালন করে। ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান, সত্তরের সাধারণ নির্বাচন ও একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামের পথকে ছয়দফা সুগম করে দেয়। যার সোনালি ফসল হিসেবে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে এবং বাঙালি জাতি স্বাধীন স্বতন্ত্র সত্তা হিসেবে মর্যাদা লাভ করে বিশ্বের বুকে। 

একথা সত্য যে, মুক্তিসংগ্রামের পূর্ব পর্যন্ত পাকিস্তানের আন্দোলন ছিল ছয়দফাভিত্তিক। তাই ছয়দফাতেই মুক্তিযুদ্ধের বীজ নিহিত ছিল, এরকম মনে হতে পারে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের কারণ কিছুটা ভিন্ন। ১৯৭০-এর নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগকে গণপরিষদে বসতে না দেওয়া ও ২৫ মার্চের গণহত্যাই মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ কারণ। এর পূর্বে ছয়দফাভিত্তিক আন্দোলন হলেও তা ছিল শুধুই আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের জন্য, যা উপরিউক্ত আলোচনায় পরিষ্কার হয়েছে। তাই বলা যায়, ছয়দফা বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ছিল না; বরং তা ছিল পরবর্তীকালের আন্দোলনের মাইলফলক।

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post