১। তৎসম শব্দ
সংস্কৃতের শব্দভাণ্ডার থেকে সব সময়েই প্রয়োজনীয় শব্দাবলি বাংলা ভাষায় গ্রহণ করা হয়। এ ধরনের সংস্কৃত শব্দ যদি অপরিবর্তিত রূপে হুবহু বাংলায় ব্যবহৃত হয় তাহলে সেই শব্দকে ‘তৎসম শব্দ’ বলা হল। ‘তৎসম’ অর্থ তার (তৎ) সমান (সম)। ‘তার’ অর্থ সংস্কৃতের; অর্থাৎ সংস্কৃতের সমান শব্দই তৎসম। তৎসম শব্দ খুব গুরুগম্ভীর হয়ে থাকে, কেননা সংস্কৃত ভাষাও অত্যন্ত গুরুগম্ভীর। তাই গুরুগম্ভীর বাংলা লিখতে গেলে তৎসম শব্দ ব্যবহার করা প্রয়োজন। বাংলা সাধু ভাষার শতকরা প্রাং ৪৫ ভাগ শব্দ তৎসম। তৎসম শব্দের উদারণ : চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মনুষ্য, আকাশ, পানি, স্থল, হস্ত, পদ, মস্তক, চক্ষু, কর্ণ, নর, নারী, বৃক্ষ, লতা ইত্যাদি। মনে রাখা দরকার তৎসম শব্দ বানানের দিক দিয়েই শুধু সংস্কৃতের সমান, উচ্চারণের ক্ষেত্রে নয়।
সংস্কৃতের শব্দভাণ্ডার থেকে সব সময়েই প্রয়োজনীয় শব্দাবলি বাংলা ভাষায় গ্রহণ করা হয়। এ ধরনের সংস্কৃত শব্দ যদি অপরিবর্তিত রূপে হুবহু বাংলায় ব্যবহৃত হয় তাহলে সেই শব্দকে ‘তৎসম শব্দ’ বলা হল। ‘তৎসম’ অর্থ তার (তৎ) সমান (সম)। ‘তার’ অর্থ সংস্কৃতের; অর্থাৎ সংস্কৃতের সমান শব্দই তৎসম। তৎসম শব্দ খুব গুরুগম্ভীর হয়ে থাকে, কেননা সংস্কৃত ভাষাও অত্যন্ত গুরুগম্ভীর। তাই গুরুগম্ভীর বাংলা লিখতে গেলে তৎসম শব্দ ব্যবহার করা প্রয়োজন। বাংলা সাধু ভাষার শতকরা প্রাং ৪৫ ভাগ শব্দ তৎসম। তৎসম শব্দের উদারণ : চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মনুষ্য, আকাশ, পানি, স্থল, হস্ত, পদ, মস্তক, চক্ষু, কর্ণ, নর, নারী, বৃক্ষ, লতা ইত্যাদি। মনে রাখা দরকার তৎসম শব্দ বানানের দিক দিয়েই শুধু সংস্কৃতের সমান, উচ্চারণের ক্ষেত্রে নয়।
২। অর্ধ-তৎসম শব্দ
তৎসম মনে সংস্কৃত। আর অর্ধ-তৎসম মানে আধাসংস্কৃত। তৎসম শব্দ থেকে বিকৃত উচ্চারণের ফলে অর্ধ-তৎসম শব্দ উৎপন্ন হয়ে থাকে। সংস্কৃতের উচ্চারণরীতি বাংলায় অনুসরণ করা হয় না। ফলে সাধারণ লোকজন সংস্কৃত শব্দের উচ্চারণে বহু রকম ভুল করে ফেলে এবং সে-সব ক্ষেত্রে সংস্কৃত শব্দ বিকৃত হয়ে যায়। বিকৃত তৎসম শব্দকেই অর্ধ-তৎসম বা ভগ্ন-তৎসম শব্দ বলে। যেমন:
তৎসম | অর্ধ-তৎসম |
---|---|
সূর্য | সুর্যি / সুয্যি |
ক্ষুধা | খিদে |
মিত্র | মিত্তির |
মহার্ঘ | মাগ্গি |
পুরোহিত | পুরুত |
কৃষ্ণ | কেষ্ট |
বৈষ্ণব | বোষ্টম |
মিষ্ট | মিষ্টি |
বিষ্ণু | বিষ্টু |
পুত্র | পুত্তুর |
শত্রু | শত্তুর |
‘তদ্ভব’ শব্দের অর্থ ‘তা থেকে উৎপন্ন’ (তৎ+ভব)। এখানেও ‘তা’ মানে সংস্কৃত, অর্থাৎ সংস্কৃত ভাষা থেকে উৎপন্ন হয়েছে এ রকম শব্দকে ‘তদ্ভব শব্দ’ বলা হয়। সংস্কৃত শব্দ যখন প্রাকৃত ভাষার ভিতর দিয়ে রূপ পাল্টাতে পাল্টাতে শেষকালে বাংলায় এসে পৌঁছায়, তখন তা তদ্ভব শব্দ হিসেবে পরিগণিত হয়। সংস্কৃত শব্দ থেকে তৈরি এই সব শব্দ দেখলে অনেক সময় বোঝাই যায় না যে, প্রথমে এগুলো সংস্কৃত শব্দ ছিল। উদাহরণ :
সংস্কৃত > | প্রাকৃত > | বাংলা |
---|---|---|
চন্দ্র | চন্দ | চাঁদ |
চর্মকার | চম্মআর | চামার |
মাতা | মাআ | মা |
হস্ত | হত্থ | হাত |
ভক্ত | ভত্ত | ভাত |
কাষ্ঠ | কট্ঠ | কাঠ |
নৃত্য | ণচ্চ | নাচ |
অদ্য | অজ্জ | আজ |
মৃত্তিকা | মিটিআ | মাটি |
কর্ণ | কন্ন | কান |
সন্ধ্যা | সঞ্ঝা | সাঁঝ |
তদ্ভব শব্দের আরেক নাম ‘প্রাকৃতজ শব্দ’। প্রাকৃতজ অর্থ ‘প্রাকৃত থেকে যা জন্মেছে’; প্রাকৃত ভাষার ভিতর দিয়ে পরিবর্তিত হয়ে সংস্কৃত শব্দ বাংলায় রূপান্তরিত হয়েছে বলে এই নাম।
৪। দেশি শব্দ
আর্য জাতি বাংলাদেশে আসার আগে দ্রাবিড়, অস্ট্রিক প্রভৃতি যে-সব প্রাক্-আর্য জাতি এদেশে বসবাস করত তাদের ভাষার অনেক শব্দ বাংলায় রয়ে গেছে। সে-সব শব্দরাজিই ‘দেশি শব্দ’। অর্থাৎ সংস্কৃতের সাথে সম্পর্কশূন্য, বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের ভাষার শব্দাবলিকে ‘দেশি শব্দ’ বলা হয়। বহু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের নামে দেশি শব্দ খুঁজে পাই; এসব শব্দের মূল সংস্কৃতে বা প্রাকৃতে পাওয়া যাবে না। যেমন : খুঁটি, ঝিঙে, চিংড়ি, চাল, ট্যাংরা, ডিঙা, ঢিল, চিপি, ঝাঁটা, মুড়ি, মুড়কি, ঢেঁকি, ঢোল, ঝোল, ডাহা, ডাঙ্গা, বঁটি, কামড়, দোয়েল, ফিঙে, খাঁচা, খড়, কুলা, গাড়ি, ঘোড়া, ঘোমটা, ঝাঁকা, ধামা, বোঝা ইত্যাদি।
৫। বিদেশি শব্দ
বাংলাদেশের সাথে বিদেশের সংশ্রব প্রাচীন কাল থেকে ঘটে এসেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, ধর্ম প্রচার ইত্যাদির জন্য বহুকাল পূর্ব থেকেই ভিন্ দেশের লোক এদেশে আসা-যাওয়া করেছে। পারস্পরিক ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে বিদেশি বহু শব্দ বাংলা ভাষায় এখনও অবিকৃতভাবে, কখনও-বা পরিবর্তিত হয়ে পাল্টে প্রবেশ করেছে। বাংলা ‘দাম’ (’মূল্য’ অর্থে) শব্দ যে আসলে বাংলা নয়, এ তথ্য অবিশ্বাস্য মনে হয় না কি? ‘দাম’ শব্দ এসেছে গ্রিক শব্দ ‘দ্রাখ্মে’ থেকে। এমন শব্দ আরও আছে, যেমন-সুড়ঙ্গ, মুচি, কাহন ইত্যাদি।
তৎসম, তদ্ভব ও দেশি শব্দের কোনোটাই যা নয় এবং যে শব্দ বিদেশ থেকে আমদানি হয়ে বাংলা ভাষায় নিজের স্থান করে নিয়েছে সেগুলোই ‘বিদেশি শব্দ’।
যত ধরনের বিদেশি শব্দ বাংলা ভাষার রয়েছে সে-সব বিচার করে দেখা গেছে যে, তারা প্রধানত ৬ ধরনের : আরবি, ফারসি, তুর্কি, পর্তুগিজ, ইংরেজি, ফরাসি, ওলন্দাজ ও অন্যান্য ভাষায় শব্দ। বাংলা ভাষায় তুর্কি, ফারসি, আরবি শব্দের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার।
(ক) আরবি-ফারসি : আইন, আদালত, দলিল, দালাল, খবর, তারিখ, কাগজ, কমল, দোয়াত, খাতা, দরখাস্ত, হাকিম, হুকুম, কৈফিয়ত, মেরামত, আমির, উজির, সিপাই, দোকান, নালিশ, মোকদ্দমা, কারখানা, কারিগর, শিশি, সিন্দুক, রুমাল ইত্যাদি।
(খ) তুর্কি শব্দ : কাঁচি, চাকু, দারোগা, লাশ, কুলি, উজবুক, বেগম, বিবি, বাবুর্চি ইত্যাদি।
(গ) পর্তুগিজ শব্দ : আচার, আনারস, আতা, আলকাতরা, আলপিন, আলমারি, ইস্তিরি, ইস্পাত, কামরা, কাকাতুয়া, কামিজ, কেরানি, গামলা, গুদাম, গির্জা, চাবি, জানালা, তামাক, তোয়ালে, পাদ্রি, পাঁউরুটি, পেঁপে, পেরেক, পেয়ারা, পিস্তল, ফিতে, বালতি, বাসন, বোতাম, সাবান, সায়া ইত্যাদি।
(ঘ) ইংরেজি শব্দ : চেয়ার, টেবিল, আপিস (অফিস), জেল, মাইল, সিনেমা, থিয়েটার, টেলিভিশন, ইস্টিশন (স্টেশন), হাসপাতাল, পুলিশ, মোটর, সাইকেল, রেল, স্টিমার, প্লেন, কোট, কলেরা, বাস, ট্রাম, লাইব্রেরি, ডাক্তার, ইত্যাদি।
(ঙ) ফরাসি-ওলন্দাজ : কুপন, কার্তুজ, বুর্জোয়া, ফিরিঙ্গি, রেস্তোরাঁ, ইস্কাপন, রুইতন, হরতন, তুরুপ, ইস্ক্রুপ ইত্যাদি।
(চ) অন্যান্য ভাষার শব্দ : রিকসা (জাপানি)। চা, চিনি, লিচু, তুফান (চীনা)। লুঙ্গি, ঘুঘনি (বামী)। স্টুডিও, ম্যালেরিয়া (ইতালীয়)। সাগু (মালয়ী)। কচুরি, লোটা, খানাপিনা, টালমাটাল (হিন্দি)। হরতাল, খাদি (গুজরাটি) ইত্যাদি।
বাংলা শব্দের শ্রেণিবিভাগ |
মিশ্র শব্দ
উপরের আলোচনায় শব্দের যে শ্রেণীবিভাগ দেখানো হয়েছে, তা ছাড়াও বাংলা ভাষায় ‘মিশ্র শব্দ’ নামে আরেক ধরনের শব্দ আছে। এই শব্দগুলো বিভিন্ন ভাষার বিদেশি শব্দ কিংবা দেশি ও বিদেশি শব্দের মিশ্রণে তৈরি হয়েছে। যেমন পাঁউরুটি (‘পাউ’ শব্দের অর্থ রুটি, শব্দটি (পর্তুগিজ) পুলিশ সাহেব (‘পুলিশ’ শব্দ ইংরেজি), হেড মৌলভী (‘হ’ শব্দ ইংরেজি) ‘মৌলভী’ শব্দ আরবি, পণ্ডিত স্যার (‘স্যার’ শব্দটি ইংরেজি)।
ধ্বন্যাত্মক শব্দ ও শব্দদ্বৈত
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আমরা বাংলা শব্দসম্ভারের একটি হিসেব পেয়েছি। আরও একটি ব্যাপার বিবেচনা না করলে বাংলা শব্দ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান সম্পূর্ণ হবে না। তা হল- বাংলা শব্দের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য। আমরা পূর্বেই বলেছি যে, অর্থপূর্ণ ধ্বনির নামই শব্দ। বাংলা ভাষায় কিছু শব্দ আছে যা শুধুমাত্র ধ্বনির জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জাতীয় শব্দ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন যে, এদের ‘ভাব প্রকাশের শক্তি অসাধারণ’। ‘ধ্বন্যাত্মক শব্দ’ ও ‘শব্দদ্বৈত’ এর মধ্যে পড়ে।
ধ্বন্যাত্মক শব্দ
সে রেগে টং হয়ে আছে। ঠাস করে তোকে একটা চড় মারব। চিনু ফিক্ করে হেসে ফেলল। তার মেজাজ খারাপ, কিন্তু বলতে গেলে এখনি ফোঁস করে উঠবে।
উপরের এইসব উদাহরণে টং, ঠাস, ফিক্, ফোঁস শব্দগুলো ধ্বন্যাত্মক শব্দের পরিচয়। ধ্বন্যাত্মক শব্দের বৈশিষ্ট্য এই যে, নিছক ধ্বনির সাহায্যে তা মনের ভাব স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে এবং চোখের সামনে একটা ছবি ফুটিয়ে তোলে। ‘সে রেগে আছে’ কিংবা ‘সে ভীষণ রেগে আছে’ বললে একটা লোকের ক্রোধের পরিমাণ ঠিকই বুঝতে পারি, কিন্তু কতখানি রাগ সে করেছে তা পরিষ্কার বোঝা যায় না। কিন্তু যে মুহূর্তে বলা হয় ‘সে রেগে টং হয়ে আছে’ তখনি সে যে কী পরিমাণ রেগে আছে তার একটি ছবি মনের মধ্যে স্পষ্ট ভেসে ওঠে। ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রকৃতিই এরকম-মাত্র দু-একটি ধ্বনির দ্বারা গিলে ফেল তো; চট্ করে একবার বাজার থেকে ঘুরে আয়; সে দড়াম করে পড়ে গেল; বেলুনটা ফট্ করে ফেটে গেল; সে উত্তর না দিয়ে সাঁ করে চলে গেল।
শব্দদ্বৈত
‘শব্দদ্বৈত’ মানে একই শব্দ দু বার করে ব্যবহার করা। এটিও বাংলা ভাষার বৈশিষ্ট্য। একে দ্বিরুক্ত শব্দও (অর্থাৎ দু বার উক্ত বা বলা হয়েছে এমন শব্দ) বলে।
শব্দদ্বৈতের কিছু উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেল। বলে বলে মুখ ব্যাথা হয়ে গেল, তুবুও তাকে কথা শোনাতে পারলাম না। তুই আমার কাছে কাছে থাক, দরকারের সময়ে যেন পাই। একই কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেল। বাক্সটা আস্তে আস্তে নামাও, ওর মধ্যে কাচের জিনিস আছে। আজ বেশ শীত শীত ভাব। হাসি হাসি মুখ করে তোমাকে বলতে এল, আর তুমি ওকে ধমক দিলে?
ধ্বন্যাত্মক শব্দ যেমন সংক্ষেপে ভাব প্রকাশের কাজে লাগে, শব্দদ্বৈতও তেমনি বিশদভাবে মনের ভাব প্রকাশ করতে সহায্য করে। শব্দদ্বৈতে নানান অর্থ প্রকাশ করা যায় : কখনও সাদৃশ্য বোঝায় (যেমন : ‘হাসি হাসি’) কখনও সন্দেহ বোঝায় (তোমার কি অসুখ করেছিল? রোগা রোগা লাগছে), কখনও পরিমাণের আধিক্য বোঝায় (যেমন : শুনতে শুনতে; বলে বলে) ইত্যাদি।
ধ্বন্যাত্মক শব্দ ও শব্দদ্বৈত (বা দ্বিরুক্তি শব্দ) বাংলা ভাষার অন্যতম সম্পদ।
পারিভাষিক শব্দ
বাংলা ভাষায় প্রচলিত বিদেশি শব্দের ভাবানুবাদমূলক প্রতিশব্দকে পারিভাষিক শব্দ বলে। উদাহরণ :
অম্লজান – oxygen; উদযান – hydrogen; নথি – file; প্রশিক্ষণ – training; ব্যবস্থাপক – manager; বেতন – radio; মহাব্যবস্থাপক – general manager; সচিব – secretary; স্নাতক – graduate; স্নাতকোত্তর – postgraduate; সমাপ্তি – final; সাময়িক – periodical; সমীকরণ – equation ইত্যাদি।
জ্ঞাতব্য : বাংলা ভাষার শব্দসম্ভার দেশি, বিদেশি, সংস্কৃত – যে ভাষা থেকেই আসুক না কেন, এখন তা বাংলা ভাষার নিজস্ব সম্পদ। এগুলো বাংলা ভাষার সঙ্গে এমনভাবে মিশে গেছে যে, বাংলা থেকে আলাদা করে এদের কথা চিন্তা করা যায় না। যেমন- টেলিভিশন, টেলিগ্রাফ, টেলিফোন, রেডিও, স্যাটেলাইট ইত্যাদি প্রচলিত শব্দের কঠিনতর বাংলা পরিভাষা সৃষ্টি নিষ্প্রয়োজন।
সংগ্রহ : ভাষা-শিক্ষা, বাংলা ব্যাকরণ ও রচনারীতি; ড. হায়াৎ মামুদ