একুশে পদক
জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যক্তিবিশেষ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে কয়েক ধরনের পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এসব পুরস্কারের মধ্যে ‘একুশে পদক’ পুরস্কার অন্যতম। এ পদকটির ডিজাইন করেছেন নিতুন কুণ্ডু। ‘একুশে পদক’ বাংলাদেশের একটি জাতীয় এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। এটি ভাষা আন্দোলনে আত্মদানকারীদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। ১৯৭৬ সালে প্রথম এ পুরস্কার চালু করা হয়। জাতীয় জীবনে নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশিষ্ট অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার ‘একুশে পদক’ প্রদান করে থাকে। এ পুরস্কারের জন্য বিশেষ ক্ষেত্রগুলো হলো সাহিত্য, সাংবাদিকতা, শিক্ষা, গবেষণা, অর্থনীতি ও দারিদ্র্যবিমোচন, শিল্প ও সংস্কৃতি, সংগীত, নৃত্য, চারুকলা, নাট্যাভিনয়, ভাস্কর্য এবং ভাষা আন্দোলনে অবদান। প্রতিটি পুরস্কারে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১৮ ক্যারেট মানের তিন ভরি ওজনের স্বর্ণপদক, সম্মাননা সনদ ও নগদ অর্থ। শুরুতে পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ ছিল পঁচিশ হাজার টাকা। পরবর্তী সময়ে এ অর্থের পরিমাণ চল্লিশ হাজার টাকায় উন্নীত হয়। বর্তমানে এটি এক লক্ষ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ১৯৭৬ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৪০৩ জন গুণী ব্যক্তি এবং ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক’ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া সরকার ভাষা আন্দোলনে আত্মদানকারী আবুল বরকত, রফিক উদ্দিন আহমদ, আবদুস সালাম ও আবদুল জব্বার- এ চার জন শহীদকে ২০০০ সালে ‘মরণোত্তর একুশে পদকে’ ভূষিত করে।