অনুচ্ছেদ : নিরক্ষরতা দূরীকরণ

নিরক্ষরতা দূরীকরণ


শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। পৃথিবীতে শিক্ষা বা জ্ঞানই একমাত্র সম্পদ যা জীবনের মতো মূল্যবান। সুতরাং নিরক্ষরতা জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ। নিরক্ষর ব্যক্তি অন্ধের ন্যায়। অন্ধের মতো তাকে অগ্রসর হতে হয়। অন্যের গলগ্রহ হয়ে জীবন যাপন করতে হয়। তাই, কোনো জাতির কাছেই নিরক্ষরতা কাম্য নয়। বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদ (স.) শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। জ্ঞানার্জনের জন্য তিনি সুদূর চীনদেশে যাওয়ার কথা বলেছেন। অথচ আমাদের ঘোল কোটি জনসংখ্যার দেশে বাষট্টি ভাগ মাত্র তথাকথিত শিক্ষিত অর্থাৎ অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। নিরক্ষরতার জন্য আজ বাংলাদেশের অর্থনীতি অনগ্রসর ও পঙ্গু। নিরক্ষরতার জন্যেই জীবনের সুখের আস্বাদন থেকে মানুষ বঞ্চিত। নিরক্ষরতার অভিশাপ মাথায় নিয়ে কোনো জাতি উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। নিরক্ষরতা ব্যক্তিজীবনকে যেমন পঙ্গু করে, দেশ-জাতিকেও তেমনি নিমজ্জিত করে অবনতির অন্ধকারে। তাই আমাদের জাতীয় জীবন থেকে এ নির্মম অভিশাপ দূর করতে হবে। দেশকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হলে দেশের মানুষকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। আর এ লক্ষ্য নিয়েই চালু করা হয়েছে বাধ্যতামূলক অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা। নিরক্ষরতা দূরীকরণের জন্যে গ্রহণ করা হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। শিক্ষার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। হযরত মুহম্মদ (স.) বলেছিলেন, “দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষার সময়।” তাই শৈশবে যারা শিক্ষা গ্রহণ করেনি তাদের জন্য চালু করা হয়েছে বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম। নিরক্ষরতা দূরীকরণ শুধু সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post