অনুচ্ছেদ : পল্লি উন্নয়ন

পল্লি উন্নয়ন


সুজলা, সুফলা, শস্য-শ্যামল বাংলাদেশের প্রাণ পল্লি। কৃষিনির্ভর এদেশের মানুষের জীবনে প্রাচুর্য এবং স্বাচ্ছন্দ্য এনেছে পল্লিগ্রাম। এক সময় সফলের চৈচিত্র্য ও প্রাচুর্যপূর্ণ উৎপাদন ও সমৃদ্ধির উৎস ছিল পল্লি। দেশের কৃষি উৎপাদন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পল্লি এখন আর নেই। অথচ জাতির সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে পল্লি ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। তাই আজকের দিনে পল্লি উন্নয়নের চিন্তা-চেতনা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও গতিশীল করার প্রয়াস চলছে। কারণ আমরা জানি যে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য শহরকেন্দ্রিক যে জীবনধারা তার পেছনে পল্লির অশেষ অবদান। জীবনধারণের প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য পল্লিতেই উৎপন্ন হয়। এভাবে ‘পল্লি’ দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে যুগ যুগ ধরে আমাদের জীবনের আনন্দধারাকে অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু জীবিকা উপার্জন ও ব্যবসায়-বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে শহরগুলো গড়ে ওঠায় পল্লি নানাভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে। পল্লিকে এভাবে শ্রীহীন ও ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। পল্লির উন্নয়নের জন্য বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নে তৎপর হতে হবে। দেশের খাদ্যঘাটতির যে জটিল সমস্যা তা পল্লির কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। পল্লি বা গ্রামের উন্নয়ন ছাড়া জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। তাই দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থে গ্রাম উন্নয়নের সর্বাত্মক উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তাসহ মৌলমানবিক চাহিদা পূরণে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়ে পল্লির মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন করতে হবে। পল্লিতে যে বিপুল জনগণ বসবাস করে তাদেরকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। শিক্ষা স্বাস্থ্যে পেশায় সংস্কৃতিতে গ্রামের জীবনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। তাহলেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।


একই অনুচ্ছেদ আরেকবার সংগ্রহ করে দেয়া হলো


সুজলা, সুফলা, শস্য-শ্যামল বাংলাদেশের প্রাণ পল্লি। কৃষিনির্ভর এদেশের মানুষের জীবনে প্রাচুর্য এবং স্বাচ্ছন্দ্য এনেছে পল্লিগ্রাম। এক সময় ফসলের বৈচিত্র্য ও প্রাচুর্যপূর্ণ উৎপাদন ও সমৃদ্ধির উৎস ছিল পল্লি। দেশের কৃষি উৎপাদন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পল্লি এখন আর নেই। অথচ জাতির সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে পল্লি ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। তাই আজকের দিনে পল্লি উন্নয়নের চিন্তা-ভাবনা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও গতিশীল করার প্রয়াস চলছে। কারণ আমরা জানি যে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য শহরকেন্দ্রিক যে জীবনধারা তার পেছনে পল্লির অশেষ অবদান। জীবনধারণের প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য পল্লিতেই উৎপন্ন হয়। এভাবে ‘পল্লি’ দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে যুগ যুগ ধরে আমাদের জীবনের আনন্দধারাকে অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু জীবিকা উপার্জন ও ব্যবসায়-বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে শহরগুলো গড়ে ওঠায় পল্লি নানাভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে। পল্লিকে এভাবে শ্রীহীন ও ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচতে হবে। পল্লির উন্নয়নের জন্য বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নে তৎপর হতে হবে। দেশের খাদ্যঘাটতির যে জটিল সমস্যা তা পল্লির কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। পল্লি বা গ্রামের উন্নয়ন ছাড়া জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। তাই দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থে গ্রাম উন্নয়নের সর্বাত্মক উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তাসহ মৌলমানবিক চাহিদা পূর্ণ টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়ে পল্লির মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন করতে হবে। পল্লিতে যে বিপুল জনগণ বসবাস করে তাদেরকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। শিক্ষা স্বাস্থ্যে পেশায় সংস্কৃতিতে গ্রামের জীবনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। তাহলেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post