শীতের সকাল
প্রকৃতির অবারিত সৌন্দর্যভেলায় আনন্দ উপাদানের কোনো কমতি নেই। ঘর থেকে দু পা ফেলে বাইরে দৃষ্টি মেললেই চোখে পড়ে নিসর্গের অমৃত লহরী। তার মধ্যে শীতের সকাল অন্যতম। বাংলাদেশের ঋতুচক্রে শীত আসে রূপ ও রসের ডালি সাজিয়ে। শীতের মোহনীয় নৈসর্গিক রূপ ধরা পড়ে শিশির স্নাত সকাল বেলায়। কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে চারপাশ। সূর্যিমামা মুখ লুকায় লজ্জায়, অভিমানে। ধীরে ধীরে মুখ বাড়িয়ে হাসে সোনালি সূর্য। ঘাসের ডগায় পড়ে থাকা শিশির বিন্দুতে রোদের আলো পড়ে মুক্তোর মতো চকচক করে। শীতের সকালে গ্রামে শুরু হয় পিঠা উৎসব। হিম শীতল ঠান্ডায় ভাপা, দুধপুলি, দুধচিতই, পাটিসাপটা প্রভৃতি পিঠা রসনায় আনে তৃপ্তির আস্বাদ। চাদর মুড়ি দিয়ে রোদে বসে পিঠা খাওয়ার সে কী তৃপ্তি! অন্যদিকে গৃহহীন, বস্ত্রহীন মানুষ খোঁজে একটু আশ্রয়, প্রশান্তির উষ্ণ চাদর। দরিদ্র ছেলেমেয়েরা উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে রোদের আদরের ভরসায়। রাত্রি জেগে সকালের প্রত্যাশায়, সকাল জাগে সূর্যের স্পর্শ কামনায়। তবুও সবকিছু মিলিয়ে শীতের সকাল একটি প্রিয় মুহূর্ত, অপূর্ব নৈসর্গিক উপাদানে ভাস্মর।
একই অনুচ্ছেদ আরেকবার সংগ্রহ করে দেয়া হলো
একই অনুচ্ছেদ আরেকবার সংগ্রহ করে দেয়া হলো
একটি শীতের সকালের নিজস্ব ব্যতিক্রমধর্মী প্রাকৃতিক আবহের পাশাপাশি মানবজীবনে এর প্রভাব রয়েছে। শীতের সকাল কুয়াশাচ্ছন্ন ও ঠাণ্ডা। সর্বত্রই ঘন কুয়াশা। কখনও কখনও কুয়াশা এত ঘন যে সূর্যরশ্মি এর ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। সবকিছু অস্পষ্ট দেখায়। গ্রামাঞ্চলে শীতের সকালের দৃশ্যাবলি সত্যিই মনোমুগ্ধকর। ঘাস ও পাতার ওপরে শিশিরবিন্দু সূর্যরশ্মিতে মুক্তোর মতো ঝলমল করে। সাধারণত মানুষজন সকালবেলা দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে। তারা শীতে কাঁপতে থাকে। তারা গরম পোশাক পরিধান করে। বয়স্ক মানুষ এবং বাচ্চাদেরকে সকালে রোদ পোহাতে দেখা যায়। লোকজন সকালের নাস্তায় সাধারণত খেজুরের রস এবং বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেয়ে থাকে। গবাদি পশু তাদের গোয়ালেই থাকে। যাহোক, শহরগুলোতে খুব ঠাণ্ডা না পড়ায় শীতের সকাল জীবনে তেমন পরিবর্তন আনে না। মানুষজন স্বাভাবিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠে রঙিন উষ্ণ পোশাক পরিধান করে তাদের কর্মস্থলে যায়। শিক্ষার্থীদেরকে সবচেয়ে বর্ণিল পোশাকগুলোতে দেখা যায়। প্রকৃতি এখানেও নিষ্প্রাণ এবং বিষণ্ণ। গ্রাম ও শহর উভয় অঞ্চলেই দরিদ্র লোকেরা সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয়। তীব্র ঠাণ্ডা হতে নিজেদের রক্ষা করার জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত গরম পোশাক নেই। পথশিশুরা খড় ও কাগজ আগুনে পুড়িয়ে নিজেদের উষ্ণ রাখার ব্যবস্থা করে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে যা জনগণের ব্যাপক দুর্ভোগ ঘটায়। যাহোক, শীতের সকালের দৃশ্যাবলি খুবই ক্ষণস্থায়ী। দিন শুরু হওয়ার সাথে সাথে এটি অদৃশ্য হতে থাকে। শীতের সকাল নিয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, এটি গরিবের জন্য অভিশাপ কিন্তু ধনীর জন্য আশীর্বাদ।
আরো দেখুন :
Thank you for this paragraph it was very helpful for me
ReplyDeleteThanks💕💕💕
ReplyDeleteThank you
ReplyDeleteThank you so much 💖
ReplyDeleteThanks
ReplyDeleteSo beautiful
ReplyDelete