পহেলা বৈশাখ

অনুচ্ছেদ : বিজ্ঞান মেলা

বিজ্ঞান মেলা


বিজ্ঞান মেলা একটি সমাজ ও জাতির বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষ এবং সভ্যতাকে প্রদর্শনের দায়িত্ব পালন করে। বছরের বিভিন্ন সময়ে আমাদের দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করে। বিজ্ঞান মেলার আওতা বা পরিধি প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের অসংখ্য প্রবীণ, তরুণ ও খুদে বিজ্ঞানী দর্শনার্থী কিংবা বিজ্ঞান প্রদর্শন যেমন আস্রবণ, লাল আলোর সংকেত-দায়ক ঘড়ি, উন্নত দোলক ইত্যাদির প্রদর্শনকারী হিসেবে এ মেলায় অংশগ্রহণ করে। বর্তমান বিজ্ঞান মেলায় কম্পিউটার স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে। মেলায় বিভিন্ন সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামের উপরে প্রক্ষেপণ আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়ে থাকে। এ ধরনের বিজ্ঞান মেলা থেকে স্কুল-কলেজের খুদে বিজ্ঞানীরাও উপকৃত হয়। শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ বিশেষ করে শিক্ষকরা এ মেলায় বেশি আসেন। আমাদের দেশে বিজ্ঞান মেলা একটানা বেশ কয়েকদিন চলে। চাক্ষুস জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিজ্ঞানমেলা আসলেই একটি বাস্তব ও কার্যকর ক্ষেত্র। বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। তাই বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য বিজ্ঞান মেলার আয়োজন নিতান্ত প্রয়োজন। নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞান প্রতিভার সাথে পরিচিত করাতে হলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ইত্যাদি জেলাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে বিজ্ঞান মেলার আয়োজনের মাধ্যমে বিজ্ঞানের ব্যবহার সম্পর্কে প্রচারণা চালাতে হবে। বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে আমাদের সভ্যতাকে খাপ খাওয়ানোর জন্য বিজ্ঞান মেলার প্রয়োজনীয়তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিজ্ঞান মেলা আমাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বিজ্ঞানমুখী হতে সহযোগিতা করে। বিজ্ঞান মেলা একটি সভ্য জাতির জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তাচেতনা ও ধ্যানধারণার নিশ্চায়ক।

9 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post