কম্পিউটার
কম্পিউটার (Computer) শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন কমপুটেয়ার (Computare) থেকে, যার ইংরেজি অর্থ কম্পিউট (Compute) বা গণনা করা। সে হিসেবে কমপিউটারের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। কিন্তু বর্তমানে কম্পিউটার শুধু গণনাকারী যন্ত্র নয়। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক আবিষ্কার হলো Computer. কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র যা মানুষের দেওয়া তথ্য যুক্তিসঙ্গত নির্দেশের ভিত্তিতে অতি দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে গণনার কাজ করে, তার সঠিক ফলাফল প্রদান করতে পারে। কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহারের মাধ্যে রয়েছে- লেখাপড়া করা, মুদ্রণ করা, তথ্য সংরক্ষণ করা, গাণ শোনা, সিনেমা দেখা, খেলা করা, টেলিফোন করা, দেশ-বিদেশের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করা ইত্যাদি। ব্যাপক ব্যবহারের ফলে আধুনিক জীবনে সবচেয়ে জরুরি যন্ত্র এটি। বৈদ্যুতিক কম্পিউটারগুলো দু’ধরনের হয়ে থাকে। (১) এনালগ, (২) ডিজিটাল। এনালগ কম্পিউটার ফিজিক্যাল গুণাবলি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডিজিটাল কম্পিউটারগুলো সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে। মূলত কম্পিউটার মানুষের কস্তিষ্কের বিকল্প হিসেবে মানব কল্যাণে অনেক কাজ করে চলছে এবং মানুষের শক্তি ও সময়ের অপচয় রোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। ঘরের, বাজারের হিসাব বা বাচ্চাদের গেম থেকে শুরু করে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করে। তাই কম্পিউটার আমাদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে জাতীয় জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
একই অনুচ্ছেদ আরেকবার সংগ্রহ করে দেয়া হলো
কম্পিউটার আবিষ্কার আধুনিক প্রযুক্তির একটি বড় অগ্রগতি। এটি আধুনিক যুগের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার। ব্রিটিশ গণিতবিদ চালর্স ব্যাবেজকে এর দিশারী মনেকরা হয়। কম্পিউটার আবিষ্কার প্রথমদিকে কেবল গণনার কাজে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু বর্তমানে বাস্তব জীবনের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখাবে এর ব্যবহার নেই। এটিকে মানুষের মস্তিস্কের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কম্পিউটার শিক্ষার সকল শাখায় জটিল সব ক্রিয়াকর্ম সম্পদান করতে সক্ষম। কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি কম্পিউটার অনেক জটিল হিসাব-নিকাশ করতে পারে। আজকাল কম্পিউটার অত্যাধুনিক হয়ে উঠেছে। একে বিভিন্ন গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি ব্যবসা চালাতে পারে, দাবা খেলতে পারে এমনকি সংগীত সৃষ্টি করতে পারে। এটি আমাদের জীবনে এনেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এর প্রয়োগের ফলে আমরা অতি সহজেই আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে উপনীত হতে পারি। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মকে কম্পিউটারের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারলে দেশের অতিদ্রুত উন্নতি হবে।