জলবায়ু পরিবর্তন
জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান শতাব্দীর সবচেয়ে জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। কেননা এটি মানবসভ্যতা এবং প্রকৃতির জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। পৃথিবীর স্বাভাবিক পরিবেশ দূষিত ও বিষাক্ত হওয়ার কারণে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়েছে। কাজেই এটির কারণ নির্ণয় এবং তার দ্রুত সমাধানের ওপর নির্ভর করছে জলবায়ুর স্বাভাবিক স্থিতিশীলতা এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য। পৃথিবীকে ক্রমশ উষ্ণ করার জন্য মানুষই দায়ী এবং মানুষকেই এটির প্রতিকারের জন্য সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে প্রকৃতি ও মানবসভ্যতাকে রক্ষা করতে হবে, রুখতে হবে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ংকর হুমকি। বিশ শতকের আশির দশক থেকে গ্রিনহাউজ গ্যাসের প্রভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা ০.৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হারে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে এ শতাব্দীর শেষের দিকে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাবে। ইতোমধ্যে হিমালয় অঞ্চলের ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। ২০৫০ সালে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১৫৩ সেন্টিমিটার বেড়ে যাবে। দ্রুত হবে জলবায়ুর পরিবর্তন। এর ফলে দ্রুত নেতিবাচক প্রভাব পড়বে অভ্যন্তরীণ জলজ, সামুদ্রিক ও উপকূলীয়, কৃষি, বন, দ্বীপাঞ্চল, পার্বত্য অঞ্চল, মেরু প্রতিবেশের ওপর। বিভিন্ন প্রতিবেশের এই পরিবর্তনে প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের ২৫ ভাগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, প্লাবিত হবে নিম্নাঞ্চল। খরা, তাপপ্রবাহ, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টিতে ফসল উৎপাদন ও অরণ্য সম্পদে দেখা দেবে ভয়াবহ বিপর্যয়। কোটি কোটি মানুষ পরিবেশ বিপর্যয়ের নির্মম শিকার হবে। ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ২০ শতাংশ এলাকা ডুবে যাবে। ১.৪ মিলিয়ন হেক্টর উপকূলীয় এলাকায় লোনা পানিতে প্ররিবেশে বিভ্রাট ঘটবে। বন্যার হার বেড়ে যাবে, ফসল উৎপাদন হ্রাস পাবে, অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক বিপর্যয় ঘটাবে। পৃথিবী ক্রমশ ধ্বংসের প্রান্তমুখী হওয়ায় পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের সরকার ও বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির মাত্রা কমাতে সমঝোতায় এসেছে এবং চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। শিল্পোন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমালে এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অর্থ সহায়তা করলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি ক্রমশ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
পড়তে পড়তে জীবন শেষ
ReplyDelete😂😂😂
ReplyDelete😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😘😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍
ReplyDelete