ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার কুফল জানিয়ে ছোট ভাইকে পত্র লেখো।
শাহজাহানপুর, ঢাকা
৩০শে মে, ২০২০
স্নেহের কাওসার,
আমার অশেষ স্নেহাশিস রইল। তোমার চিঠি গতকাল পেয়েছি। তোমার চিঠিতে বাড়ির সকলের কথা লেখা থাকে তাই পড়তে বেশ ভালো লাগে। চিঠি পড়ে জানতে পারলাম তুমি রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছ। হঠাৎ করেই আশঙ্কার মেঘে ছেয়ে গেল মন। মনে রেখো, অধ্যয়নই একজন ছাত্রের তপস্যা এবং বিদ্যার্জনই তার ধর্ম। ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ এসময় হচ্ছে জীবনকে গঠন করার প্রকৃত সময়। এ সময়কে হেলায় নষ্ট করে দিলে পরিণামে অবশ্যই দুঃখ পেতে হবে। লেখাপড়া করে আদর্শ মানুষ হয়েই রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করাটা যুক্তিযুক্ত। মনে রেখো, স্বার্থান্বেষী নেতারা ছাত্রদের লেলিয়ে দিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করে। তাতে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যায়। পরবর্তীকালে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া তো দূরের কথা, জীবনসংগ্রামে টিকে থাকাই তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই তোমার প্রতি আমার উপদেশ, এ অমূল্য ছাত্রজীবনে রাজনীতির মরীচিকার পেছনে দৌঁড়ে জীবন নষ্ট কোরো না। বরং এখন লেখাপড়া শিখে জীবনকে উপযুক্ত করে গড়ে তুললে ভবিষ্যতে স্বনামধন্য নেতা হতে পারবে।
যা হোক, অনেক উপদেশ দিলাম। আশা করি তুমি তা উপলব্ধি করবে এবং মেনে চলবে। আমি ভালো আছি। তোমার সুস্থতা কামনা করি।
তোমার বড় ভাই
ফিরোজ আহমেদ