খাদ্যে ভেজাল রোধের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের
জন্য একটি পত্র লেখো।
১৬ই অক্টোবর ২০২১
বরাবর
বার্তা সম্পাদক
দৈনিক ইত্তেফাক
কারওয়ান বাজার, ঢাকা ১২১৫
বিষয় : খাদ্যে ভেজালের প্রতিকার প্রসঙ্গে।
জনাব,
অনুগ্রহপূর্বক আপনার বহুল প্রচলিত জনপ্রিয় পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ কলামে সংশ্লিষ্ট
চিঠিখানা প্রকাশের ব্যবস্থা করলে কৃতজ্ঞ থাকব।
বিনীত
আবীর হোসেন
ঢাকা
খাদ্যে ভেজাল ও তার প্রতিকার
খাদ্যে ভেজাল একটি মারাত্মক অপরাধ। এটি কেবল আমাদের অর্থই নষ্ট করে না, আমাদের
নৈতিক চরিত্রের অবক্ষয়ের শেষ সীমানায় পৌঁছে দেয়। এই ভেজাল কেবল খাদ্যে নয়, আমাদের
চরিত্রেও বাসা বেঁধেছে। ভেজাল শব্দটির সাথে অসৎ ব্যবসায়ীর লোভী মনোভাবও জড়িত। অসৎ
ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় চালের সাথে পাথর মেশায়, ঘি-এর সাথে তেল মেলায়,
ভোজ্য তেলের সাথে ক্যারন অয়েল মেশায়, নারকেল তেলের সাথে সয়াবিন বা পামঅয়েল মেশায়।
এভাবে ক্রেতারা প্রতিনিয়তই প্রতারিত হচ্ছে। এটা হলো ভেজালের প্রথম স্তর। ভেজালের
দ্বিতীয় স্তর আরও ভয়ংকর। কোনো কোনো কোম্পানির খাদ্যের কৌটা বা প্যাকেটে মেয়াদ
উত্তীর্ণের সিল থাকে না। ফলে অনেক সময় মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও দ্রব্যগুলো বাজারে
থেকে যায়। ভেজালের ফলে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে কিছু কিছু খাবার বা ওষুধ বিষে
পরিণত হয়, যা মানুষের জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনে। কেননা এগুলো খেয়ে ফুসফুস, লিভার বা
হার্ট ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে মানুষ মারা যায়। তাই জনস্বার্থে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ
করা আশু প্রয়োজনীয়। ভেজাল প্রতিরোধের জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভেজাল দ্রব্য বিক্রেতাকে শাস্তি জরিমানা করা উচিত। তাহলেই
ভেজাল প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
এ অবস্থায় ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ করে জনগণের জীবনের নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্যের
নিশ্চয়তা দানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ
করছি।
বিনীত
আবীর হোসেন
ঢাকা