জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে পালিত অনুষ্ঠানে
প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
২৭শে মে, ২০২১
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
সেন্ট যোসেফস উচ্চ বিদ্যালয়, বনপাড়া, নাটোর
বিষয়: কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে প্রতিবেদন।
সূত্র : স.য.উ.বি./৯৭/৩/২১
জনাব,
সম্প্রতি সেন্ট যোসেফস উচ্চ বিদ্যালয়, বনপাড়া, নাটোর কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮তম
জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন সম্পর্কে প্রতিবেদন রচনায় আদিষ্ট হয়ে নিম্নের প্রতিবেদন
উপস্থাপন করছি।
কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী পালিত
গত ২৪মে, ২০২১ (১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮) ছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২১তম
জন্মজয়ন্তী। এ উপলক্ষে স্থানীয় লোকজন সরকারি ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা
মিলনায়তনে সেমিনার, আবৃত্তি ও নজরুলসংগীতের আয়োজন করে। বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে
বক্তব্য রাখেন নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। আলোচনায়
অংশ নেন কবি আসাদ উল্লাহ, কবি রোকসানা আফরীন, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মো. আবুল
কাশেম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির ভাষণে ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, নজরুলের কবিতা অবিচ্ছিন্ন পরিশ্রম ও
সাধনালব্ধ কাব্যশিল্পকল্পের সমৃদ্ধ ফসল। তাঁর কবিতাই তাঁর নন্দনতাত্ত্বিক
পরিমাপের একান্ত উপকরণ। নজরুলের বহুখ্যাত অভিধা ‘বিদ্রোহী’। তাঁর বিদ্রোহ
চিহ্নিত হয়েছে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিদ্রোহ হিসেবে। পাশাপাশি, তাঁর বিদ্রোহ
বিষয়াণুগ ও প্রেরণাদায়ী। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, তাঁর খ্যাত-অখ্যাত প্রায় সব
কবিতাই এ সত্যের দ্যোতক। তিনি আরও বলেন, নজরুল আমাদের জাতিসত্তার উৎসমূলে নিহিত
রয়েছেন বলেই তিনি আমাদের জাতীয় কবি। তাঁর কবিতা, সংগীত, গদ্যরচনা বাংলাসাহিত্য
ও সংস্কৃতিতে নতুন চলমানতা সৃষ্টি করেছে।
বিশেষ অতিথি কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নজরুলের অবদান
অনস্বীকার্য। সামাজিক ভণ্ডামির বিশাল ছদ্মবেশ ছিঁড়ে নজরুল মানুষের সার্বিক
মুক্তি ঘটাতে চেয়েছিলেন। মানুষকে দানবদৃষ্টির কবল থেকে রক্ষা করার জন্যে নজরুল
তাঁর কবি খ্যাতিকে, শিল্পের সুষমাকে, অমর হওয়ার সৌভাগ্যকে নির্দ্বিধায় বিসর্জন
দিতেও কুণ্ঠিত ছিলেন। তিনি বলেন, নজরুলের কবিতার প্রতি পাঠকের সমর্থন তাঁর
জীবিতকালেই এসেছে অজস্র ধারায়। সেই সঙ্গে তাঁর কবিতার প্রতি কটূক্তিও কম বর্ষিত
হয়নি। এ প্রশংসা ও প্রতিবাদ, অভিনন্দন ও তিরস্কার তাঁর কবিতার স্বীকৃতি রূপেই
বিবেচিত হতে পারে।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, নজরুলের কবিতায় রয়েছে আত্মসম্বোধন ও
আত্মঘোষণা। নজরুলের কবিতার বলিষ্ঠতা তাঁর স্বকীয়তা ও শক্তিকে প্রমাণ করেছে।
তাঁর কবিতায় রয়েছে চড়া গলায় রাজনৈতিক বক্তৃতার ঢং। এর মধ্য দিয়েই নজরুলের কবি
ব্যক্তিত্বের ও কবিতার চারিত্রিক সন্ধান করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, কাজী
নজরুল ইসলাম রূপার চামচ মুখে নিয়ে না জন্মালেও সোনার কাঠি হাত নিয়ে এসেছিলেন,
যার প্রমাণ আমরা পাই তাঁর সৃষ্ট সাহিত্যে, সংগীতে। সোনার কাঠি দিয়ে তিনি দেশের
মানুষকে জাগাতে চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন জাগ্রত মানুষ গড়ে তুলুক শ্রীমণ্ডিত
দেশ এবং সেই সঙ্গে জাতি হয়ে উঠুক শক্তিমান।
আসাদ উল্লাহ বলেন, নজরুল নিজে আত্ম-অনুশীলনে ব্রতী এবং পাঠক কবির এ
আত্ম-অভিজ্ঞানের প্রবাহমানতা লাভ করেছে।
রোকসানা আফরীন বলেন, নজরুলের কবিতায় রয়েছে ‘Hero worship’ বা
‘বীরপূজা’।
সভাপতির ভাষণে প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম বলেন, নজরুলের কবিসত্তা সময়ের
দাবিতেই আমাদের জন্যে প্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছে। সেমিনার শেষে বিশিষ্ট আবৃত্তি
শিল্পী শফি কামাল নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল
প্রখ্যাত নজরুল সংগীত শিল্পী শবনম মুশতারীর নজরুলসংগীত সন্ধ্যা।
নিবেদক
মিতা আহসান
সহকারী শিক্ষক
আহবায়ক নজরুল জয়জয়ন্তী উদ্যাপন উপ-কমিটি
সেন্ট যোসেফস্ উচ্চ বিদ্যালয়
বনপাড়া, নাটোর।
ধন্যবাদ 🥰🥰🥰।খুব সুন্দর হয়েছে কিন্তু একটু বেশি বড় প্রতিবেদন হয়ে গেছে।😅😅😅
ReplyDeleteসত্যিই একটু বড়
Deleteপ্রতিবেদনটি
omg ami sesh amnei kisu boji na protibedon er abar eto boro protibedon😑🙂🙃
ReplyDelete