তোমার বিদ্যালয়ে উদ্যাপিত স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
বা তোমার বিদ্যালয়ে ‘স্বাধীনতা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ওপর একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
বা, মনে করো, তুমি রাহাত। তুমি খুলনা জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। তোমার বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের বিবরণ দিয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন করো।
২৯শে মার্চ, ২০২১
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
জাজিরা মোহর আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
জাজিরা, শরীয়তপুর
বিষয় : স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে প্রতিবেদন।
সূত্র: জা.মো.ম.বি/৫১(৩)/২১
জনাব,
নিবেদক
নাঈম হাসান, দশম শ্রেণি
জাজিরা মোহর আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়।
বা তোমার বিদ্যালয়ে ‘স্বাধীনতা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ওপর একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
বা, মনে করো, তুমি রাহাত। তুমি খুলনা জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। তোমার বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের বিবরণ দিয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন করো।
২৯শে মার্চ, ২০২১
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
জাজিরা মোহর আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
জাজিরা, শরীয়তপুর
বিষয় : স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে প্রতিবেদন।
সূত্র: জা.মো.ম.বি/৫১(৩)/২১
জনাব,
জাজিরা মোহর আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন সম্পর্কে একটি
প্রতিবেদন তৈরির আদিষ্ট হয়ে নিম্নরূপ প্রতিবেদন উপস্থাপন করছি।
জাজিরা মোহর আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপিত
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গত ২৬শে মার্চ, ২০২১ জাজিরা উপজেলা সদরের জাজিরা
মোহর আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যথাযথ মর্যাদায় উদ্যাপিত স্বাধীনতা দিবসের মূল
অনুষ্ঠান ছিল আলোচনা সভা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শরীতপুর জেলা প্রশাসক জনাব আমিরুল হক,
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, কবি মারুফ রায়হান, কবি
নাসির আহমেদ ও কবি তারেক রেজা। আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান
চৌধুরী।
প্রধান অতিথি তাঁর ভাষণে বলেন, স্বাধীনতা আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন।
দীর্ঘ নয় মাস স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষে আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম। এজন্যে ৩০ লক্ষ
মানুষকে শহীদ হতে হয়েছে, ২ লাখ মা-বোনকে সম্ভ্রম হারাতে হয়েছে। আমাদের
মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ২৬শে মার্চ হলেও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি হয় ’৫২ সালের
ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে।
এভাবেই স্বাধিকার ও স্বাধীনতার বীজ বপণ করা হয়েছিল। তারপর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন,
৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ‘সর্বদলীয়
ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ’ কর্তৃক ১১ দফা আন্দোলন, ৭০-এর সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে
১৯৭১-এ আমরা মুক্তিযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাই। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে আমরা
স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। স্বাধীনতা এলেও এখনও অর্থনৈতিক মুক্তি আমাদের
আসেনি। এজন্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে যে,
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।
বিশেষ অতিথির ভাষণে মোঃ মোহর আলী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর আমাদের
স্বপ্ন ছিল আমরা সুখী, সমৃদ্ধিশালী একটি বাংলাদেশ গড়ব। কিন্তু, আমরা তা করতে
পারিনি। স্বাধীনতার সুফল আমরা সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিতে পারিনি। এ আমাদের
চরম ব্যর্থতা। এ ব্যর্থতার গ্লানি মোচন করার জন্যে এবং সাধারণ মানুষের ভাগ্য
উন্নয়নের জন্যে দলমত নির্বিশেষে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যৎ
প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।
কবি মারুফ রায়হান বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে যাঁরা শহীদ হয়েছেন জাতি তাঁদের যুগ যুগ
ধরে মনে রাখবে। তাঁদের ঋণ কোনোদিন জাতি শোধ করতে পারবে না। জাতির এ
সূর্যসন্তানদের স্বপ্ন বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। এজন্যে আমরা
যে যে অবস্থানে আছি, সে অবস্থানে থেকে কাজ করে যাব।
কবি নাসির আহমেদ বলেন, স্বাধীনতা আমাদের জন্যে একটি স্বর্ণদুয়ার খুলে দিয়েছিল। যে
দুয়ার দিয়ে প্রবেশ করে আমরা আমাদের যুগসঞ্চিত জঞ্জাল দূর করতে পেরেছিলাম।
পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত হয়ে আমরা পেয়েছিলাম একটি স্বাধীন দেশ, একটি
মানচিত্র, একটি পতাকা। তখন আমাদের চোখের তারায় স্বপ্ন ছিল, আমরা সব অন্যায়,
অত্যাচার, নির্যাতন দূরে করে একটি সুস্থ, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারব।
কিন্তু সে স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে গেল। স্বপ্ন পূরণ হলো না। আমরা যেন হারিয়ে ফেলেছি
স্বপ্নলোকের চাবি। এমনটি চলতে দেওয়া যায় না। স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে একটি
সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে
বিশ্বের দরবারে। সেজন্যে সদিচ্ছা নিয়ে দেশ গঠনে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।
কবি তারেক রেজা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এদেশের মানুষের
মনের প্রবল স্বাধিকার চেতনা কাজ করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে
আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন, সাধ, আশা ও আকাঙ্ক্ষা একটি স্থির রূপ পেয়েছে। আমাদের
চেতনালোকে উদ্ভাসিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্যে চাই অর্থনৈতিক মুক্তি।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের
ইতিহাসে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতা দিবসের কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে,
অনন্তকাল আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
স্বাধীনতার শহীদদের স্মরণে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে স্বরচিত
কবিতা পাঠের আসর, স্বাধীনতার চেতনাভিত্তিক নাট্যানুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠানেরও আয়োজন
করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন ছিল স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত
অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ।
নিবেদক
নাঈম হাসান, দশম শ্রেণি
জাজিরা মোহর আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়।
- রচনা : বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য – [ eNS ]
- রচনা : বিজয় দিবস (প্রতিযোগিতার উপযোগী)
- রচনা : বিজয় দিবস (১৬ পয়েন্ট) - (Visit : eNS)
- রচনা : স্বাধীনতা দিবস
- রচনা : শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু
- রচনা : জাতীয় শোক দিবস
- রচনা : বাংলাদেশের সমাজ কাঠামো পরিবর্তনে মুক্তিযুদ্ধ
- রচনা : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আমাদের সংস্কৃতি
- রচনা : আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা
- রচনা : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- রচনা : স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান বিজয় দিবস
- কলেজে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অভিজ্ঞতা
- অনুচ্ছেদ : স্বাধীনতা দিবস
Very helpful carry on 👑💥
ReplyDeleteAwesome
ReplyDelete