বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন
তৈরি করো।
বা, মনে করো, তোমার নাম ফাহিম। তোমার বিদ্যালয়ে ‘বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক
সপ্তাহ’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠান মালা বর্ণনা দিয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট
প্রতিবেদন লেখো।
বা, তোমার বিদ্যালয়ে আয়োজিত বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিবরণ তুলে ধরে প্রধান
শিক্ষক বরাবর একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
বা, মনে করো, তুমি শিমুলতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একজন ছাত্র ‘হীরা’। তোমার
বিদ্যালয়ের ‘বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ’ উপলক্ষে আয়োজিত
অনুষ্ঠানমালার বর্ণনা দিয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি প্রতিবেদন লেখো।
বা, তোমার বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিবরণ তুলে ধরে একটি
প্রতিবেদন রচনা করো।
১৪ই অক্টোবর, ২০২১
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
ঢাকা করেজিয়েট স্কুল, ঢাকা।
বিষয় : ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল আয়োজিত বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কিত প্রতিবেদন।
সূত্র : ঢা.ক.স্কুল/৭/২০২১
জনাব,
নিবেদক
মাহফুজ হাসান
সহকারী শিক্ষক
আহবায়ক, বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্যাপন কমিটি
জনাব,
সম্প্রতি সমাপ্ত ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ
সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পেশ সম্পর্কে আদিষ্ট হয়ে নিম্নলিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপন
করছি।
ঢাকা করেজিয়েট স্কুলের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্যাপিত
১. ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা বিগত ৭ই
অক্টোবর থেকে ১৩ই অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানসূচির মাধ্যমে
সম্পন্ন হয়েছে।
২. সারাবছর নিয়মিত লেখাপড়ার পর বার্ষিক পরীক্ষার শেষে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন
অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা
যেমন আনন্দ লাভ করেছে, তেমনি সারাবছরের অর্জিত পুরস্কারসহ বার্ষিক সাহিত্য ও
সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার একটি সুন্দর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লাভ করায়
ছাত্রছাত্রীরা অত্যন্ত উৎসাহিত হয়েছে।
৩. প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল বৈচিত্র্যময়। সব ধরনের শিক্ষার্থী যাতে বিভিন্ন
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সুপ্ত মেধার বিকাশ ঘটাতে পারে সেজন্যে বিষয়গুলো ছিল এ
রকম: আবৃতি, উপস্থিত বক্তৃতা, নির্ধারিত বক্তৃতা, বিতর্ক, গদ্যপাঠ, পুথিপাঠ,
হাসির গল্প বলা, ধারাবাহিক গল্প বলা, সুন্দর হস্তাক্ষর, প্রবন্ধ রচনা, স্বরচিত
গল্প-কবিতা পাঠ, একক অভিনয়, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি,
আধুনিক গান, পল্লিগীতি, দেশাত্মবোধক গান ইত্যাদি। এতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী
অংশগ্রহণে আগ্রহী থাকায় বাছাইয়ের মাধ্যমে সীমিতসংখ্যক প্রতিযোগীকে চূড়ান্ত
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন
করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। প্রতিদিন চতুর্থ ঘণ্টা পর্যন্ত ক্লাস হওয়ার পর
বিদ্যালয় মিলনায়তনে প্রতিযোগিতা শুরু হতো। হল উপচে পড়া দর্শকের সামনে প্রতিযোগিতা
অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার
হিসেবে দেওয়া হয়েছে মূল্যবান বই। সারাবছরের একাডেমিক পুরস্কারও এ সময়ে বিতরণ করা
হয়। শ্রেণিশৃঙ্খলা, নিয়মিত উপস্থিতি ইত্যাদি বিষয়েও পুরস্কারের ব্যবস্থা ছিল।
৫. বার্ষিক সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা উপলক্ষে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মধ্যে
বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল। তা প্রতিযোগীদের সংখ্যাধিক্য থেকে সহজেই অনুধাবন করা
যায়। প্রতিযোগিতার সময় প্রতিযোগী ও সাধারণ ছাত্ররা অত্যন্ত শৃঙ্খলার পরিচয়
দিয়েছে। শিক্ষকগণ শৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বক্ষণিকভাবে তৎপর ছিলেন। ছাত্র ও শিক্ষকগণ
শৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বক্ষণিকভাবে তৎপর ছিলেন। ছাত্র ও শিক্ষকদের পারস্পরিক
সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সফল হয়ে ওঠে।
৬. প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং শেষ দিন
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয়
ট্রেজারার পুরস্কার বিতরণ করেন।
৭. পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্থানীয় অভিভাবকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
বিপুলসংখ্যক অভিভাবক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
৮. পুরস্কার বিতরণের পর ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে
বিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করে।
৯. বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার
মধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতার সৃষ্টি হয়েছে।
নিবেদক
মাহফুজ হাসান
সহকারী শিক্ষক
আহবায়ক, বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্যাপন কমিটি
Valo laglo
ReplyDelete