বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলি
জাতীয় ভাষা — বাংলা।
জাতীয় সঙ্গীত — আমার সোনার বাংলা (১ম ১০ চরণ)।
জাতীয় পাখি — দোয়েল।
জাতীয় ফুল — শাপলা।
জাতীয় ফল — কাঁঠাল।
জাতীয় পশু — রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
জাতীয় বন — সুন্দরবন।
জাতীয় বৃক্ষ — আমগাছ।
জাতীয় মাছ — ইলিশ।
জাতীয় জাদুঘর — জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ, ঢাকা।
জাতীয় পতাকা — সবুজের মাঝে লাল বৃত্ত।
জাতীয় কবি — কাজী নজরুল ইসলাম।
জাতীয় পার্ক — শহীদ জিয়া শিশু পার্ক।
জাতীয় উৎসব — বাংলা নববর্ষ।
জাতীয় খেলা — কাবাডি (হাডুডু)।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ — সম্মিলিত প্রয়াস, সাভার।
জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস — ২৬ মার্চ।
জাতীয় প্রতীক — উভয় পাশে ধানের শীষ পরিবেষ্টিত পানিতে ভাসমান জাতীয় ফুল শাপলা।তার মাথায় পাট গাছের পরস্পর সংযুক্ত তিনটি পাতা এবং উভয় পাশে দুটি করে তারকা।
জাতীয় ধর্ম — ইসলাম।
জাতীয় মসজিদ — বায়তুল মোকাররম।
জাতীয় মন্দির — ঢাকেশ্বরী মন্দির।
জাতীয় খেলার মাঠ — বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম।
জাতীয় চিড়িয়াখানা — ঢাকা চিড়িয়াখানা, মিরপুর।
জাতীয় উদ্যান — সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
জাতীয় পতাকা
বর্তমান ডিজাইনার — পটুয়া কামরুল হাসান।
মানচিত্র খচিত বাংলাদেশের পতাকার প্রথম ডিজাইনার – শিব নারায়ণ দাস।
প্রথম উত্তোলন করা হয় — ২ মার্চ, ১৯৭১ সালে।
প্রথম উত্তোলন করা হয় যে স্থানে — ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের বটতলায়।
প্রথম উত্তোলন করেন – তৎকালীন ছাত্রনেতা ডাকসু ভিপি আ.স.ম. আবদুর রব।
জাতীয় পতাকা দিবস পালন করা হয় — ২ মার্চ।
জাতীয় সংগীতের সাথে প্রথম উত্তোলন করা হয় – ৩ মার্চ, ১৯৭১ সালে, পল্টন ময়দানে।
বিদেশী মিশনে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয় — ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতাস্থ বাংলাদেশ মিশনে।
বিদেশী মিশনে প্রথম উত্তোলন করেন — এম হোসেন আলী।
জাতীয় পতাকা দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও লাল বৃত্তের অনুপাত যথাক্রমে — ৫:৩:১।
জাতীয় পতাকার বর্তমান রূপটি সরকারীভাবে গৃহীত হয় — ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি।
জাতীয় সংসদ ভবন
অবস্থান – ঢাকার শেরে বাংলানগরে।
স্থপতি – প্রখ্যাত মার্কিন স্থপতি লুই আই কান।
নির্মাণ কাজ শুরু হয় – ১৯৬১ সালে।
উদ্বোধন করা হয় – ১৯৮২ সালে।
উদ্বোধন করেন – তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার।
সংসদ ভবন এলাকার আয়তন – ২১৫ একর।
সংসদ সংলগ্ন লেকটির নাম – ক্রিসেন্ট লেক।
বর্তমান সংসদ ভবনের পূর্বে পূর্ব বাংলার আইনসভা হিসেবে ব্যবহৃত হয় – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল।
স্থাপত্য উৎকর্ষের জন্য আগা খান পুরষ্কার লাভ করেন – ১৯৮৯ সালে।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ – এক কক্ষ বিশিষ্ট।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রতিক – শাপলা ফুল।
*এ পর্যন্ত বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে জাতীয় সংসদে বক্তৃতা করেছেন – ২ জন।
বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ
অবস্থান – ঢাকার সাভারের নবীনগরে।
স্থাপতি – সৈয়দ মাইনুল হোসেন।
উচ্চতা – ১৫০ ফুট (৪৬.৫ মিটার)।
অপর নাম – সম্মিলিত প্রয়াস।
ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭২ সালে।
উদ্বোধন করেন – তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসেন মুহাম্মদ এরশাদ, ১৯৮২ সালে।
গঠন – ৭ টি ত্রিভুজ আকৃতির দেয়াল নিয়ে গঠিত হয়েছে। এই ৭ টি দেয়াল আমাদের জাতীয় সাতটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে নির্দেশ করে। যথা -
- ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন
- ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন
- ১৯৫৬ এর ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন
- ১৯৬২ শিক্ষা আন্দোলন
- ১৯৬৬ ছয়দফা আন্দোলন
- ১৯৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান
- ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত
রচয়িতা ও সুরকার – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রচনার প্রেক্ষাপট – ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ।
রচনাকাল – ১৯০৫ সাল, বাংলা ১৩১২ বঙ্গাব্দ।
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয় – বঙ্গদর্শন পত্রিকায় ১৯০৫ সালে।
ইংরেজি অনুবাদ করেন – সৈয়দ আলী আহসান।
সর্বপ্রথম যে চলচ্চিত্রে গানটি ব্যবহার করা হয় – ১৯৭০ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত জহির রায়হানের 'জীবন থেকে নেয়া' চলচ্চিত্রে।
গানটিতে মোট চরণ আছে – ২৫ টি।
জাতীয় সংগীত হিসেবে বিবেচিত – ১ম ১০ চরণ।
কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বাজানো হয় – ১ম ৪ চরণ।
বাংলাদেশের নদ–নদী
নদী গবেষণা বিদ্যাকে বলা হয় – পোটমোলোজি।
যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয় – ১৯৭২ সালে।
বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদী – ৫৭ টি।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন নদীর সংখ্যা – ৫৪ টি।
মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশকারী নদী – ৩ টি ( নাফ, সাঙ্গু, মাতামুহুরী)।
বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট গঠিত হয় – ১৯৭৭ সালে।
বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট অবস্থিত – ভাঙ্গা, ফরিদপুর।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের নদী – ১ টি (পদ্মা)।
বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী – হাড়িয়াভাঙ্গা নদী।
বাংলাদেশের প্রধান নদী বন্দর – নারায়ণগঞ্জ।
বাংলার সুয়েজখার বলা হয় – গাবখান নদী।
কুমিল্লার দুঃখ বলা হয় – গোমতী নদীকে।
বাংলার দুঃখ বলা হয় – দামোদার নদীকে।
চট্টগ্রামের দুঃখ বলা হয় – চাকতাই খালকে।
বাংলাদেশের জলসীমায় উৎপত্তি ও সীমান্ত নদী – হালদা।
বাংলাদেশ ও মায়ানমার কে বিভক্তকারী নদী – নাফ (৬৫ কি.মি দৈর্ঘ্য)।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র যে নদীতে অবস্থিত – কর্ণফুলী।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশকারী নদী – ১ টি (কুলিখ)।
ব্রহ্মপুত্র নদের তিব্বতীয় অংশের নাম – সানপো।
পশ্চিমা বাহিনীর নদী বলা হয় – বিল ডাকাতিয়াকে।
নদীর বর্তমান - পুরাতন নাম
যমুনা নদীর পুরাতন নাম → জোনাই।
পদ্মা নদীর পুরাতন নাম → নলিনী।
রচনার প্রেক্ষাপট – ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ।
রচনাকাল – ১৯০৫ সাল, বাংলা ১৩১২ বঙ্গাব্দ।
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয় – বঙ্গদর্শন পত্রিকায় ১৯০৫ সালে।
ইংরেজি অনুবাদ করেন – সৈয়দ আলী আহসান।
সর্বপ্রথম যে চলচ্চিত্রে গানটি ব্যবহার করা হয় – ১৯৭০ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত জহির রায়হানের 'জীবন থেকে নেয়া' চলচ্চিত্রে।
গানটিতে মোট চরণ আছে – ২৫ টি।
জাতীয় সংগীত হিসেবে বিবেচিত – ১ম ১০ চরণ।
কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বাজানো হয় – ১ম ৪ চরণ।
বাংলাদেশের নদ–নদী
নদী গবেষণা বিদ্যাকে বলা হয় – পোটমোলোজি।
যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয় – ১৯৭২ সালে।
বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদী – ৫৭ টি।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন নদীর সংখ্যা – ৫৪ টি।
মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশকারী নদী – ৩ টি ( নাফ, সাঙ্গু, মাতামুহুরী)।
বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট গঠিত হয় – ১৯৭৭ সালে।
বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট অবস্থিত – ভাঙ্গা, ফরিদপুর।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের নদী – ১ টি (পদ্মা)।
বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী – হাড়িয়াভাঙ্গা নদী।
বাংলাদেশের প্রধান নদী বন্দর – নারায়ণগঞ্জ।
বাংলার সুয়েজখার বলা হয় – গাবখান নদী।
কুমিল্লার দুঃখ বলা হয় – গোমতী নদীকে।
বাংলার দুঃখ বলা হয় – দামোদার নদীকে।
চট্টগ্রামের দুঃখ বলা হয় – চাকতাই খালকে।
বাংলাদেশের জলসীমায় উৎপত্তি ও সীমান্ত নদী – হালদা।
বাংলাদেশ ও মায়ানমার কে বিভক্তকারী নদী – নাফ (৬৫ কি.মি দৈর্ঘ্য)।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র যে নদীতে অবস্থিত – কর্ণফুলী।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশকারী নদী – ১ টি (কুলিখ)।
ব্রহ্মপুত্র নদের তিব্বতীয় অংশের নাম – সানপো।
পশ্চিমা বাহিনীর নদী বলা হয় – বিল ডাকাতিয়াকে।
নদীর বর্তমান - পুরাতন নাম
যমুনা নদীর পুরাতন নাম → জোনাই।
পদ্মা নদীর পুরাতন নাম → নলিনী।
বুড়িগঙ্গা নদীর পুরাতন নাম → দোলাই।
ব্রহ্মপুত্র নদীর পুরাতন নাম → লোহিত্য।
নদ - নদীর উৎপত্তিস্থল
পদ্মা নদীর উৎপত্তিস্থল – হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ।
যমুনা নদীর উৎপত্তিস্থল – কৈলাশ শৃঙ্গের মানস সরোবর।
মেঘনা নদীর উৎপত্তিস্থল – আসামের নাগ ও মনিপুর পাহাড়।
কর্ণফুলী নদীর উৎপত্তিস্থল – আসামের লুসাই পাহাড়ের লংলেহ উপত্যকা।
ব্রহ্মপুত্র নদীর উৎপত্তিস্থল – তিব্বতের কৈলাশ শৃঙ্গের মানস সরোবর।
করতোয়া নদীর উৎপত্তিস্থল – সিকিমের পার্বত্য অঞ্চল।
সাঙ্গু নদীর উৎপত্তিস্থল – আরাকান পর্বত।
নদ-নদীর – মিলিতস্থান এবং প্রবাহ
পদ্মা ও মেঘনা নদীর মিলিতস্থান – চাঁদপুর → প্রবাহ মেঘনা।
পদ্মা ও যমুনা নদীর মিলিতস্থান – গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী → প্রবাহ পদ্মা।
তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর মিলিতস্থান – চিলমারী,কুড়িগ্রাম → প্রবাহ ব্রহ্মপুত্র।
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর মিলিতস্থান – ভৈরব বাজার → প্রবাহ মেঘনা।
দ্বীপ
বাংলাদেশের বৃহত্তম ব-দ্বীপের নাম – সুন্দরবন।
পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপের নাম – বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ জেলা – ভোলা।
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ – সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের অপরনাম – নারিকেল জিঞ্জিরা।
সাগর দ্বীপ বা দ্বীপ জেলা – ভোলা।
সন্দীপ দ্বীপ অবস্থিত – চট্টগ্রাম।
বাতিঘরের জন্য বিখ্যাত দ্বীপ – মহেশখালী (কক্সবাজার)।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একমাত্র বিরোধপূর্ণ দ্বীপ – দক্ষিণ তালপট্টি।
সবচেয়ে বড় দ্বীপ – ভোলা।
দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের অপরনাম – নিউমুর/পূর্বাশা।
বাংলাদেশের চর
মহুরীর চর অবস্থিত – ফেনী।
দুবলার চর অবস্থিত – সুন্দরবনের দক্ষিণে।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী চর – নির্মল চর রাজশাহী।
চর নিউটন, চর মানিক, চর মনপুরা, চর জব্বার অবস্থিত – ভোলায়।
চর আলেকজান্ডার, চর গজারিয়া অবস্থিত– লক্ষ্মীপুরে।
দুবলার চর, পাটনি চর অবস্থিত – সুন্দরবনে।
আজিবুল হাসান
১ এপ্রিল, ২০২১