অন্নদাশঙ্কর রায়
অন্নদাশঙ্কর রায় কবে, কোথায় জন্ম গ্রহণ করেন? — ১৫ মার্চ, ১৯০৪ ; ভারতের উড়িষ্যার ঢেঙ্কানলে।
তাঁর বাবা–মার নাম কী? — পিতা — নিমাইশঙ্কর রায় এবং মাতা – হেমনলিনী দেবী।
অন্নদাশঙ্কর রায় পেশায় কি ছিলেন? — নদীয়া জেলার ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লার জজ এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিচার বিভাগের সচিব।
অন্নদাশঙ্কর রায় মূলত কি ছিলেন? — বাংলা এবং উড়িষ্যা ভাষার দক্ষ কবি, ঔপন্যাসিক এবং প্রবন্ধকার।
অন্নদাশঙ্কর রায়ের প্রকাশিত প্রথম লেখার নাম কী? — তিনটি প্রশ্ন (প্রবাসী, ১৯২০)।
অন্নদাশঙ্কর রায়ের প্রথম উপন্যাসের নাম কী? — অসমাপিকা (১৯৩০)।
অন্নদাশঙ্কর রায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী? — রাখী (১৯৩২)।
অন্নদাশঙ্কর রায়ের রচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য কী? — গদ্যভাষায় বীরবলি (অনেকটা প্রমথ চৌধুরীর মতো) চমক ও গভীর মননশীলতা তার রচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য।
অন্নদাশঙ্কর রায়ের উল্লেখযোগ্য ভ্রমণকাহিনীসমূহ কী কী? — পথে প্রবাসে ; ইউরোপের চিঠি – ইত্যাদি।
অন্নদাশঙ্কর রায়ের লেখা কবিতাগুলোর ভেতর অন্যতম যেসব ছিলো তার উদাহরণ দাও। — রাখী (১৯৩২), কালের শাসন (১৯৩৩), নূতনা রাধা (১৯৪৩), ক্রীডো ইত্যাদি।
অন্নদাশঙ্কর রায়ের রচিত প্রবন্ধগুলোর মধ্যে অন্যতম যেসব? — তারুণ্য (১৯৩৭), ইশারা (১৯৪৩), জীয়ন কাটি (১৯৪৯), নতুন করে বাঁচা (১৯৫৩), আধুনিকতা (১৯৫৩) ইত্যাদি।
অন্নদাশঙ্কর রায়ের বিখ্যাত সব উপন্যাসের নাম কী কী? — যার যেথা দেশ (১৯৩২), অজ্ঞাতবাস (১৯৩৩), দুঃখমোচন (১৯৩৬), অপসরণ (১৯৪২), মর্তের স্বর্গ (১৯৪০) ইত্যাদি।
অন্নদাশঙ্কর রায়ের রচিত ছোটগল্প সমূহ উল্লেখ করো? — মন পবন (১৯৪৬), যৌবন জ্বালা (১৯৫০), কামিনী কাঞ্চন (১৯৫৪), প্রকৃতির পরিহাস (১৯৩৪) ইত্যাদি।
অন্নদাশঙ্কর রায় কবে মৃত্যুবরণ করেন? — ২৮ অক্টোবর, ২০০২ (কলকাতায়)।
অমিয় চক্রবর্তী
অমিয় চক্রবর্তী কবে জন্মগ্রহণ করেন? — ১০ এপ্রিল, ১৯০১।
অমিয় চক্রবর্তী কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? — পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে।
অমিয় চক্রবর্তীর পিতা কে ছিলেন? — দ্বিজেশচন্দ্র চক্রবর্তী।
কর্মজীবনে অমিয় চক্রবর্তী কোন পেশায় যুক্ত ছিলেন? — শিক্ষকতা।
অমিয় চক্রবর্তী মূলত কোন পরিচয়ে পরিচিত? — একজন আধুনিক কবি হিসেবে।
অমিয় চক্রবর্তী কোন সময়কার কবি ছিলেন? — ৩০ শের দশকের।
কোন সব বিদেশী কবিসাহিত্যিকদের সংস্পর্শে এসে অমিয় চক্রবর্তী মূলত কাব্য রচনা শুরু করেন? — ইয়েটস, জর্জ বার্নাড শ, রর্বাট ফ্রস্ট প্রমুখ।
বাংলা কাব্যের ক্ষেত্রে অমিয় চক্রবর্তীর অবস্থান কোথায়? — রবীন্দ্র প্রভাবিত কাব্য–বলয়ের বাইরে।
অমিয় চক্রবর্তী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের সাথে কিভাবে সম্পর্কযুক্ত ছিলেন? — তিনি রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত সচিব এবং প্রায় সময়ের ভ্রমণ সফরসঙ্গী ছিলেন।
কবিতা ছাড়াও অমিয় চক্রবর্তীর পরিচিতি আছে সাহিত্যের কোন ক্ষেত্রে? — গদ্য রচনায়।
অমিয় চক্রবর্তীর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে অন্যতম কোনগুলো? — খসড়া (১৯৩৮), এক মুঠো (১৯৩৯), মাটির দেয়াল (১৯৪২), অনিঃশেষ (১৯৭৬) ইত্যাদি বিখ্যাত।
অমিয় চক্রবর্তীর রচিত গদ্য রচনাগুলো কী কী? — চলো যাই, সাম্প্রতিক, পুরবাসী, পথ অন্তহীন ইত্যাদি।
'বাংলাদেশ' কবিতাটি অমিয় চক্রবর্তী কোন প্রেক্ষাপটে রচনা করেছিলেন? — বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে।
অমিয় চক্রবর্তীর রচিত 'এক মুঠো' কাব্যগ্রন্থের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও? — এটি ১৯৩৯ সালে প্রকাশিত হয়। বিশ শতকে বিজ্ঞানের ব্যবহারে মানুষের জীবনের জটিলতা এবং মানব—মানবীর অন্তর্গত সুখ ও সমস্যার কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
অমিয় চক্রবর্তী কবে মৃত্যুবরণ করেন? — ১৯৮৬ সালে।