আবদুল গাফফার চৌধুরী
আবদুল গাফফার চৌধুরী কবে জন্মগ্রহণ করেন? — ১২ ডিসেম্বর, ১৯৩৪ সালে।
তিনি কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? — বরিশালের উলানিয়ায়।
আবদুল গাফফার চৌধুরী প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থের নাম কী? —
ডানপিটে শওকত (১৮৫৩ সাল)।
তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ 'ডানপিটে শওকত' কোন জাতীয় রচনা? —
শিশুতোষ গ্রন্থ।
আবদুল গাফফার চৌধুরীর প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের নাম কী? —
কৃষ্ণপক্ষ (১৯৫৯ সাল)।
তাঁর রচিত প্রথম উপন্যাস কোনটি এবং কবে এটি প্রকাশিত হয়? —
চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান, ১৯৬০ সালে।
আবদুল গাফফার চৌধুরী প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে অন্যতম কিছুর নাম লিখ। —
গল্পগ্রন্থ : সম্রাটের ছবি (১৯৫৯) ; সুন্দর হে সুন্দর (১৯৬০)। উপন্যাস : নাম
না জানা ভোর (১৯৬২) ; নীল যমুনা (১৯৬৪) ; শেষ রাত্রির চাঁদ (১৯৭৬)। সম্পাদনা :
বাংলাদেশ কথা কয় (১৯৭২)।
আবদুল গাফফার চৌধুরীর কোন কর্মটি তাকে বাংলার ইতিহাসে অমর করে রেখেছে? —
ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি স্মরণে তাঁর রচিত অমর গান — 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
/ একুশে ফেব্রুয়ারী / আমি কি ভুলিতে পারি।'
তাঁর এই অমর গানটি কবে প্রথম প্রকাশিত হয়?—
হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত 'একুশে ফেব্রুয়ারী' সংকলন গ্রন্থে ১৯৫৩ সালে।
এই গানটির সুরকার কে? —
গানটির প্রথম সুরকার আবদুল লতিফ।তারপর সেই সুর পরিবর্তন করে আলতাফ মাহমুদ নতুন
করে এর সুরারোপ করেন।বর্তমানে যেটি শুনতে পাই বা বলবৎ আছে তা আলতাফ মাহমুদের
সুর করা।
বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভিক্তিক কোন চলচ্চিত্রের
কাহিনী রচনা করে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন? —
পলাশী থেকে ধানমন্ডি। ২০০৭ সাল।
একুশের গান
থেকে গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা
'একুশের গান' প্রথম কোথায় ছাপা হয়? —
হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত 'একুশে ফেব্রুয়ারী' সংকলনে।
'একুশে ফেব্রুয়ারী' সংকলন কত খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশ পায়? —
১৯৫৩ খ্রষ্টাব্দে।
'একুশে ফেব্রুয়ারী' সংকলনের অপর পরিচয় কী? —
এটি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন নিয়ে প্রকাশিত প্রথম সংকলন।
'রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী' বলতে কি বুঝানো হয়েছে? —
অনেক মানুষের রক্তের বিনিময়ে একুশে ফেব্রুয়ারী পাওয়া হয়েছে।
'অশ্রু-গড়া' কী? — অশ্রু দিয়ে গড়া।
'ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু—গড়া' এখানে শত কোন ধরনের সংখ্যাবাচক? —
অনিদের্শক সংখ্যাবাচক।
'অনিদের্শক সংখ্যাশব্দ' কী? — যেখানে সংখ্যা নিদির্ষ্ট নয়।
এই কবিতায় 'নাগিনী' ও 'কালবৈশাখী' কারা? —
বাঙালির লোক—ঐতিহ্যের প্রধান সহায়ক নাগিনা আর প্রাকৃতিক প্রচণ্ডতা হল
কালবৈশাখী। কবি এই দুই শক্তিকে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে আহ্বান
করেছেন।
'ক্রান্তি' কী? — অগ্রগতি।
'তবু তোরা পার পাবি?' —কারা? — পাকিস্তানিরা।
একুশে ফেব্রুয়ারী কী রায় দেয়? —
অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ন্যায় সঙ্গত এবং অত্যাচারীর পতন
অনিবার্য।
'অলকানন্দা' কী? — স্বর্গের নদীর ধারা বা স্বর্গের গঙ্গা।
'আঁধারের পশু' কারা? —
যারা ২১ শে ফেব্রুয়ারী বাঙালিদের ওপর গুলি চালিয়েছে।
'ওরা এদেশের নয়' কাদের বলা হয়েছে? — পশ্চিম পাকিস্তানিদের।
'জালিম' কোন শব্দ? — আরবি শব্দ।