অধিকরণ কারক
অধিকরণ কারক কাকে বলে?
ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। অধিকরণ কারকে সপ্তমী
অর্থাৎ 'এ', 'য়', 'তে' ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়। যথা—
আধার অধিকরণ বা আধারাধিকরণ তিন প্রকার।যথা:
১. ঐকদেশিক : বিশাল স্থানের যে কোনো অংশে ক্রিয়া সংঘটিত হলে তাকে ঐকদেশিক আধরাধিকরণ বলে।যেমন— পুকুরে মাছ আছে।
২. অভিব্যাপক : উদ্দিষ্ট বস্তু যদি সমগ্র আধার ব্যাপ্ত করে বিরাজমান থাকে, তবে তাকে অভিব্যাপক আধারাধিকরণ বলে। যেমন — তিলে তৈল আছে।
৩. বৈষয়িক : বিষয় বিশেষে বা কোনো বিশেষ গুণে কারও কোনো ক্ষমতা বা দক্ষতা থাকলে সেখানে বৈষয়িক অধিকরণ হয়। যেমন — রাকিব অঙ্কে কাঁচা, কিন্তু ব্যাকরণে ভালো।
সম্বন্ধ পদকে কারক বলা হয় না কারণ ক্রিয়ার সাথে এই পদের কোনো সম্পর্ক নেই।
আধার (স্থান) :
আমরা রোজ স্কুলে যাই।
এ বাড়িতে কেউ নেই।
কাল (সময়) :
প্রভাতে সূর্য ওঠে।
অধিকরণ কারক কত প্রকার ও কি কি?
অধিকরণ কারক ৩ প্রকার। যথা :- (ক) কালাধিকরণ
- (খ) ভাবাধিকরণ
- (গ) আধারাধিকরণ
ভাবাধিকরণ কাকে বলে?
যদি কোনো ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য অন্য ক্রিয়ার কোনোরূপ ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ
করে, তবে তাকে ভাবাধিকরণ বলে। ভাবাধিকরণে সর্বদাই সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ হয়
বলে একে বলে ভাবে সপ্তমী।
আধার অধিকরণ বা আধারাধিকরণ তিন প্রকার।যথা:
১. ঐকদেশিক : বিশাল স্থানের যে কোনো অংশে ক্রিয়া সংঘটিত হলে তাকে ঐকদেশিক আধরাধিকরণ বলে।যেমন— পুকুরে মাছ আছে।
২. অভিব্যাপক : উদ্দিষ্ট বস্তু যদি সমগ্র আধার ব্যাপ্ত করে বিরাজমান থাকে, তবে তাকে অভিব্যাপক আধারাধিকরণ বলে। যেমন — তিলে তৈল আছে।
৩. বৈষয়িক : বিষয় বিশেষে বা কোনো বিশেষ গুণে কারও কোনো ক্ষমতা বা দক্ষতা থাকলে সেখানে বৈষয়িক অধিকরণ হয়। যেমন — রাকিব অঙ্কে কাঁচা, কিন্তু ব্যাকরণে ভালো।
অন্যান্য আলোচনা
সম্বন্ধপদঃ— নামপদের সঙ্গে সাধারণত ক্রিয়ার সম্পর্ক থাকে। কোনো বাক্যে যদি তা
না থাকে এবং নামপদ অন্য পদের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়, তাকে সম্বন্ধ পদ বলে।
যেমন: রতনের বন্ধু ভালো ছাত্র। এ খানে 'রতনের' সম্বন্ধ পদ। এই পদের সাথে
ক্রিয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
সম্বন্ধ পদকে কারক বলা হয় না কারণ ক্রিয়ার সাথে এই পদের কোনো সম্পর্ক নেই।
সম্বোধন পদঃ— বাক্যে যে পদের মাধ্যমে কাউকে ডাকা বা আহ্বান করা হয়। যেমন:
হে মাধবী, দ্বিধা কেন?
সম্বোধন পদ কারক নয় কারণ এর সাথে ক্রিয়াপদের কোনো সম্পর্ক নেই।
সম্বোধন পদ কারক নয় কারণ এর সাথে ক্রিয়াপদের কোনো সম্পর্ক নেই।