উদ্ভিদ বৈচিত্র্য
উদ্ভিদের কাণ্ডের প্রকৃতি, বিস্তৃতি ও কাষ্ঠলতার উপর ভিত্তি করে পৃথিবীর সমস্ত
উদ্ভিদ জগতকে কত ভাগে ভাগ করা হয়েছে? —
৪ ভাগে ( বীরুৎ, গুল্ম, উপগুল্ম, বৃক্ষ )।
উক্ত প্রকারভেদ কি কার মত অনুসারে? — থ্রিওফ্রাসটাস।
ট্রি বা বৃক্ষ কী? —
কাণ্ডবিশিষ্ট উঁচু কাষ্ঠল উদ্ভিদকে ট্রি বা বৃক্ষ বলে।
প্রতি বছর ভাস্কুলার টিস্যুতে একটি নতুন লেয়ার জাইলেম সৃষ্টির মাধ্যমে গাছের
গুড়ির মধ্যে যে লাল দাগ পড়ে তাকে বলে — বর্ষ বলয়।
বর্ষ বলয় কোন ধরনের উদ্ভিদে হয়ে থাকে? — পত্র পতনশীল উদ্ভিদে।
যে সকল উদ্ভিদ কাষ্ঠল, সাধারণত কাণ্ডহীন এবং গোড়া থেকে অনেক শাখা–প্রশাখা বের হয়ে
ঝোপে পরিণত হয় তাকে কী বলে? — গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ।
কোনগুলো গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ? — জবা, রঙ্গন, গন্ধরাজ, গোলাপ, লেবু ইত্যাদি।
উপগুল্ম উদ্ভিদ কী? — গুল্ম অপেক্ষা ছোট আকারের কাষ্ঠল উদ্ভিদ।
কোনগুলো উপগুল্ম উদ্ভদি? — কাল্কাসুন্দা, আঁশশেওড়া ইত্যাদি।
নরম কাণ্ডবিশিষ্ট উদ্ভিদ কে কী বলে? — বীরুৎ বা হার্ব উদ্ভিদ।
ধান, গম, সরিষা, কচুরিপানা, লাউ, কুমড়ো, শিম ইত্যাদি কোন জাতীয় উদ্ভিদ? —
বীরুৎ বা হার্ব।
আয়ুস্কাল অনুসারে বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদকে কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে? — ৩ ভাগে।
যেসকল উদ্ভিদ বছরে কোনো একটি নিদির্ষ্ট সময়ে জন্মে এবং একবার ফল দিয়ে মরে যায়
তাকে বলে — বর্ষজীবী / একবর্ষবীজী উদ্ভিদ।
ধান, গম, ভুট্টো ইত্যাদি কোন জাতীয় উদ্ভিদ? — একবর্ষজীবী উদ্ভিদ।
দ্বিবর্ষজীবী উদ্ভিদ কোনগুলো? — মুলা, বাধাকপি ইত্যাদি।
বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদের উদাহরণ কোনগুলো? — দুর্বা ঘাস, আদা, হলুদ ইত্যাদি।
লেবু গাছ কোন জাতীয় উদ্ভিদ? — গুল্ম।
ফুল ও ফল ধারণ অনুযায়ী উদ্ভিদ জগতকে কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে? —
২ ভাগে (সপুষ্পক ও অপুষ্পক)।
যে সকল উদ্ভিদে কখনো ফুল ও ফল হয়না তাদের বলা হয় — অপুষ্পক উদ্ভিদ।
ক্লোরেলা, মর্স, ফার্ন ইত্যাদি কি ধরনের উদ্ভিদ? — অপুষ্টির উদ্ভিদ।
সমাঙ্গদেহী উদ্ভিদ বলে —
যাদের দেহকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায় না।
স্বভোজী বা অটোফাইট উদ্ভিদের খাদ্য প্রণালী — নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করে।
চা পাতার রেড ব্লাস্ট রোগের জন্যে দায়ী ধরা হয় কোনটিকে? — শৈবালকে।
পুকুরে ওয়াটার ব্লুম সৃষ্টি করে কোনটি? — শৈবাল।
ছত্রাককে পরভোজী বা মৃতজীবী বলার কারণ কোনটি? — দেহে ক্লোরোফিল না থাকায়।
পাউরুটি ও কেক তৈরিতে কোন অণুজীব ব্যবহার করা হয়? — ঈস্ট নামক ছত্রাক।
মহাকাশ গবেষণায় খাদ্য ও অক্সিজেন উৎপাদনের উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হয় —
ক্লোরোলা উদ্ভিদ।
উদ্ভিদের মূল, কাণ্ড, পাতা নেই কিন্তু ক্লোরোফিল আছে? — শৈবাল।
বাণিজ্যিক ভাবে বর্তমানে কোনটি থেকে পেনিসিলিন তৈরি করা হয়? —
Penicillium chrysogenum
মিউকর কি? — একটি ছত্রাক।
ব্যাঙের ছাতা কোন শ্রেণির উদ্ভিদ? — ছত্রাক।
ধানের বাদামী রোগ হয় কোনটির দ্বারা? — ছত্রাক দ্বারা।
'লেটব্লাইট' কোন ফসলের রোগ? — আলু।
'লালপচা' কোন ফসলের রোগ? — আখ।
একবীজপত্রী উদ্ভিদ কোনগুলো? — ভুট্টো, ধান, খেজুর, গম ইত্যাদি।
সকল সপুষ্পক উদ্ভিদ— স্বভোজী।
কোন শ্রেণির উদ্ভিদের ক্লোরোফিল নেই? — ছত্রাক।
ফার্ণ উদ্ভিদের উদাহরণ কোনগুলো? — ফণিমনসা, ঢেঁকিশাক ইত্যাদি।
দেহ মূল কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায় — ফার্ণ উদ্ভিদের।
সপুষ্পক উদ্ভিদকে আবার কয়ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে? —
২ ভাগে (নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী)।
যেসকল সপুষ্পক উদ্ভিদের বীজ হয় কিন্তু ফল হয়না তাদেরকে বলে? —
নগ্নবীজী উদ্ভিদ।
সাইকাস, পাইনাস, নিটাম ইত্যাদি হলো — নগ্নবীজী উদ্ভিদ।
যেসকল উদ্ভিদের ফল ও বীজ হয়, তাদেরকে বলা হয় — আবৃতবীজী উদ্ভিদ।
আবৃতবীজী উদ্ভিদ কত প্রকার? — ২ প্রকার (একবীজপত্রী এবং দ্বিবীজপত্রী)।
যেসকল উদ্ভিদের বীজে ১ টি বীজপত্র থাকে তাদের — একবীজপত্রী বলে।
একবীজপত্রী উদ্ভিদের উদাহরণ —
ধান, গম, ভুট্টো, ইক্ষু, তাল, নারিকেল, সুপারি, খেজুর ইত্যাদি।
যাদের বীজে দুটি বীজপত্র থাকে তারা হলো — দ্বিবীজপত্রী।
দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের উদাহরণ —
আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, ছোলা, শিম, মটর, মেহগনি ইত্যাদি।