আবুল কালাম শামসুদ্দীন
আবুল কালাম শামসুদ্দীন এর জন্ম পরিচয় দাও। — ১৮৯৭ সালের ৩ নভেম্বর, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার ধানিখোলা গ্রামে।
তাঁর মূল পরিচিতি দাও? — তিনি একজন সাংবাদিক, সাহিত্যিক এবং একজন রাজনীতিবিদ।
অসহযোগ আন্দোলনে কংগ্রেসের ডাকা আহ্বানে সাড়া দিতে তিনি কোন পরীক্ষা বর্জন
করেন? — বি.এ পরীর।
তিনি কবে অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন? — ১৯২১ সালে।
পেশা জীবনে তিনি কোন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন? — সাংবাদিকতা এবং সাহিত্য সাধনায়।
‘দৈনিক মোহাম্মদী’ পত্রিকায় তিনি কোন পদে কবে যোগদান করেছিলেন? — ১৯২৩ সালে ‘দৈনিক মোহাম্মদী ’পত্রিকায় সহযোগী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন।
মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন প্রতিষ্ঠিত এবং সম্পাদিত ‘সওগাত’ পত্রিকার কোন বিভাগে
তিনি চাকুরী করেন? — সম্পাদনা বিভাগে (১৯২৬)।
মওলানা আকরাম খাঁ প্রতিষ্ঠিত ও সম্পাদিত দৈনিক ‘আজাদ’ পত্রিকায় তিনি কবে কোন
পদে যোগদান করেন? — সম্পাদনা বিভাগে ১৯৩৬ সালের ৩১ অক্টোবরে।
তিনি দৈনিক ‘আজাদ’ পত্রিকায় কত বছর কর্মরত ছিলেন? — সুদীর্ঘ ২২ বছর।
তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন কবে? — ৩০শের দশকে।
বাঙালি মুসলমান সমাজকে ইসলামিক ভাবধারায় অনুপ্রাণিত করতে প্রতিষ্ঠিত ‘পূর্ব
পাকিস্তান রেনেসাঁ সোসাইটি’ তে তিনি কোন পদে নিয়োজিত ছিলেন? — সভাপতি পদে।
তিনি মুসলিম লীগের মনোনয়নে ময়মনসিংহ জেলা থেকে বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য হিসেবে
নির্বাচিত হন কবে? — ১৯৪৬ সালে।
১৯৫২ সালের মহান ভাষ আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা কেমন ছিল? — খুবই প্রতিবাদ মুখর এবং বাংলা ভাষা প্রীতি মনোভাব।
ভাষা আন্দোলনের মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণের কারণে তিনি পূর্ববঙ্গ পরিষদের সদস্য
পদ থেকে ইস্তফা দেন কবে? — ১৯৫২ সালের ২২ শে ফেব্রুয়ারি।
তিনি প্রথম কবে কোথায় ভাষা শহীদের জন্য নির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন? — ১৯৫২ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গনে নির্মিত
শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন।
আইয়ুব খানের সরকার বিরোধী আন্দোলনে সরকারের দমন নীতির প্রতিবাদে তিনি কোন খেতাব
লাভ করেন? — সিতারা এ খেদমত ও সেতারা এ ইমতিয়াজ খেতাব (১৯৬০ সালে)।
তিনি কোন বিষয়ে বহু চিন্তামূলক সরস প্রবন্ধ রচনা করেন? — সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে।
তিনি কোন বিষয়ে রচনা সৃষ্টির মাধ্যমে ব্যাপক কৃতিত্বের পরিচয় দেন? — বাংলা সাহিত্যের মুসলিম ধারা এবং নজরুল কাব্যের বিচার বিশ্লেষণের ও
নবমূল্যায়নে।
কাজী নজরুল ইসলামকে তৎকর্তৃক প্রথম কী বনে অভিহিত করা হয়? — যুগ প্রবর্তক বলে।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থাবলির পরিচয় দাও। — কচিপাতা (শিশু সাহিত্য, ১৯৩২), ত্রিস্রোতা (অনুবাদ সাহিত্য, ১৯৩৯), দৃষ্টিকোণ
(প্রবন্ধ সংকলন, ১৯৬১), ইলিয়ড (অনুবাদ, ১৯৬৭), পলাশি থেকে পাকিস্তান (ইতিহাস,
১৯৬৮), অতীত দিনের স্মৃতি (আত্মজীবনী ও স্মৃতিচারণ, ১৯৬৮) ইত্যাদি।
তাঁর অর্জিত পুরস্কার সমূহ কোনগুলো? — অনুবাদ সাহিত্যের জন্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭০), সাংবাদিকতা ও
সাহিত্যের জন্য একুশে পদক (১৯৭৬) সালে লাভ করেন।
কোন পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে তিনি অমর কীর্তি গড়ে রেখেছেন? — দৈনিক আজাদ।
তিনি কবে মৃত্যুবরণ করেন? — ১৯৭৮ সালের মার্চের ৩ তারিখ।