৬ষ্ঠ শ্রেণি এ্যাসাইনমেন্ট : চারু ও কারুকলা : ৪র্থ সপ্তাহ
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রম :
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ :
আদিম মানুষের ছবি আঁকা ও বর্তমান মানুষের ছবি আঁকার তুলনামূলক বর্ণনা :
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-১
আদিম মানুষের ছবি আঁকা ও বর্তমান মানুষের ছবি আঁকার তুলনামূলক বর্ণনা :
নমুনা সমাধান
মনের ভাবকে প্রকাশ করার জন্য একটি মাধ্যম হলো ছবি আঁকা। প্রাচীন কাল হতে বর্তমান
সময়কাল পর্যন্ত এর প্রচলন বিস্তৃত।
আদিমকালের মানুষের কাছে ছবি আঁকার কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। না জানত তারা
রান্না করতে না জানত ঘর বানাতে। বনের ফলমূল খেয়ে ও পশু শিকার করে খুদা নিবারণ
করত। বসবাস করত গুহায়। যে সকল পশু তারা শিকার করত মূলত তার ছবি গুহার দেয়ালে এঁকে
রাখত, অনেক সময় সে পশুদের গায়ে বর্শা, তীর এসব এঁকে দিত। যার অর্থ এই হাতিয়ার
দিয়ে পশুটি শিকার করা হয়েছে। তাদের কাছে না ছিল রং না ছিল তুলি। পশুর শক্ত হাড়
সুচালো করে তা দিয়ে আঁচড় কেটে রেখা টানত, জীবজন্তুর পশম একসাথে বেঁধে তুলি বানাত
আর নানা রকম মাটির সাথে চর্বি মিশিয়ে রঙ বানাতো। আর সেসব গুহায় আঁকা ছবি আজও খুব
সুন্দর ও অক্ষত।
অন্যদিকে দিনে দিনে ছবি আঁকার জন্য বিভিন্ন রং সহ বিভিন্ন কাগজ, কাপড়, মাটির ফলক,
ক্যানভাস সহ নিত্য নতুন জিনিস বানানো হচ্ছে। তৈরি হয়েছে কাঠের পাটাতন, শক্ত মাটির
ফলক এমনকি কাচের উপর ও নানা ধরনের ছবি আঁকা হয়। বর্তমানে শুধু পশু নয় ফুল-ফল,
রংধনু, আকাশ, বৃষ্টি, পাহাড়-পর্বত, মানুষ, বিভিন্ন ঋতুর প্রভাব ইত্যাদি অঙ্কনের
মাঝে ফুটে উঠে। পানি ও রং মিশিয়ে জল রং মোম মেশানো প্যাস্টেল রং, রঙের সাথে তেল ও
তারপিন মিশিয়ে তৈল রং ইত্যাদি রং ব্যবহার করে বর্তমানে ছবি আঁকা হয়। বর্তমানে তা
আরো আধুনিক ও উন্নতমানের হয়েছে যা মানুষকে এক স্বর্গীয় প্রশান্তির অনুভব করায়।
আরো দেখুন :
৫ম সপ্তাহের নমুনা সমাধান :
৪র্থ সপ্তাহের নমুনা সমাধান :